বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ছেরুয়া ও বামুনডাঙা এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের বহু বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আক্রান্ত এলাকায় পরিদর্শনের জন্য শনিবার সকালে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের একটি প্রতিনিধি দল যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছেরুয়া, বামুনডাঙার পার্শ্ববর্তী গ্রাম হাতিহলকায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় শাসক দলের ওই প্রতিনিধি দল আর এলাকা পরিদর্শনে যাননি।
তৃণমূল বিধায়ক দীনেন রায় বলেন, বৃহস্পতিবার থেকেই ছেরুয়া, বামুনডাঙা এলাকায় গণ্ডগোল শুরু হয়েছে। আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট চালিয়েছে বিজেপির লোকজন। শনিবার আক্রান্তদের বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু, এদিন সকাল থেকে হাতিহলকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় আর যাইনি। বিজেপির হামলায় পুলিস জখম হয়েছে। আমাদের বহু কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা এলাকাজুড়ে বিজেপি সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। ওদের ভয়ে আমাদের বহু কর্মী এলাকা ছাড়া রয়েছেন।
অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক অরূপ দাস বলেন, পুলিসি অত্যাচারে ওই এলাকায় আমাদের কোনও কর্মী, সমর্থক নেই। ফলে, তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেওয়ার প্রশ্নই আসছে না। বরং, তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী এই কাজ করেছে। তার দায় আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। পুলিস এলাকায় তল্লাশির নামে আমাদের ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার করেছে। তৃণমূলের বাড়ি ভাঙচুরের সঙ্গে আমাদের কোনও কর্মী যুক্ত নন।
ইয়াসিন পাঠান ফোনে বলেন, আমি বিশেষ কাজে দিল্লি গিয়েছিলাম। বাড়ি ফেরার পথে ফোনে জানতে পারি, পুলিস আমার বাড়ি ঘিরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। বাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছে। পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। বিষয়টি আমি মহকুমা শাসক থেকে জেলা শাসক সকলকে জানিয়েছি। পরে, এক পুলিস অফিসার ফোন করে জানান, ভুল করে হয়ে গিয়েছে। পরিবারের লোকজনকে তাঁরা ফের ঘরে ঢুকিয়ে দেন। আমি সারাজীবন সমাজের কাজ করেছি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য রাষ্ট্রপতির হাত দিয়ে কবির পুরষ্কারও পেয়েছি। আমার মতো মানুষের বাড়িতে এভাবে চড়াও হওয়ায় পরিবারের লোকজন খুব আতঙ্কে রয়েছে।