খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এদিন সকাল থেকে মহকুমা এলাকার পাঁচটি ব্লকে কার্যত বন্ধের ছবি দেখা গেলেও বিভিন্ন জায়গায় বাসিন্দাদের ভিড় করতে দেখা গিয়েছে। ভরতপুর-১ ও ২, বড়ঞা, খড়গ্রাম, এমনকী কান্দি শহরে ভোর থেকেই বিভিন্ন চায়ের দোকান খোলা ছিল। বাজারের দিকের চায়ের দোকানগুলিতে অনেকে ভিড় জমান। ভিড় সরাতে কান্দি থানার সামনেই পুলিস লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। ভরতপুর, সালার ও খড়গ্রমেও পুলিস লাঠিচার্জ করে। ভরতপুর থানার আমলাই গ্রামে এদিন সাপ্তাহিক হাটে প্রচুর বাসিন্দা জমায়েত করেন। পরে সেখানে ভরতপুর-১ ব্লকের বিডিও অঞ্জন চৌধুরী ও পুলিস গিয়ে জমায়েত হটিয়ে দেয়।
বিডিও বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় নোটিস ও মাইকিং করে লক আউটের কথা জানিয়ে দিয়েছিলাম। এরপরেও কিছু জায়গায় জটলা হচ্ছে, সেটা দেখামাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে দু’দিন আগে ভরতপুর থানার মাসলা গ্রামে সাত যুবক ভিনরাজ্য থেকে গ্রামে ফিরেছেন। তাঁরা নিয়ম না মেনে বাড়ির বাইরে আড্ডা মারছেন বলে অভিযোগ। এব্যাপারে বিডিও বলেন, খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
কান্দি রেলওয়ে সংযুক্তিকরণ কমিটির সম্পাদক প্রভাত কর বলেন, মহকুমার কোথাও লকডাউন মানা হচ্ছে না। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ১৪৪ধারা জারি করার আবেদন জানিয়ে ই-মেল পাঠিয়েছি। ভরতপুর-১ ব্লকের বিএমওএইচ অবিনাশ কুমার বলেন, করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল নিজেকে গৃহবন্দি করে রাখা। এতে সমাজও বাঁচবে। কান্দি থানার পুলিস জানিয়েছে, লকডাউন উপেক্ষা করে কিছু বাসিন্দা রাস্তায় চলাফেরা করছিল, আড্ডা দিচ্ছিল। নির্দেশ অমান্য করায় ১২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন মুর্শিদাবাদ শহরের বেশ কিছু প্রবীণ দলবেঁধে প্রাতঃভ্রমণে বের হন। পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী তাঁদের বাড়ি থেকে না বেরনোর পরামর্শ দেন। অন্যদিকে, এদিন লালবাগ মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু মানুষকে পিকনিক করতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, শহরে এসে ফিরতে না পারা বেশ কিছু মানুষ একসঙ্গে রান্না করে খাওয়াদাওয়া করেন। সকাল থেকেই মহকুমার লালবাগ, জিয়াগঞ্জ, আজিমগঞ্জ সহ বিভিন্ন থানা এলাকায় বাজারে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। পরে পুলিস সরিয়ে দেয়। লক ডাউন সত্ত্বেও এদিন জিয়াগঞ্জ, লালবাগ, ভগবানগোলা, রানিতলা, লালগোলা এবং নবগ্রামে বহু দোকান খুলতে দেখা যায়। পুলিস বন্ধ করে দেয়।