খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় মেমারি থানার পুলিস মেমারি বাজারে ওই হোসিয়ারি দোকানে আচমকা অভিযান চালায়। দোকান থেকে ৩০০টি মাস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, সেগুলি এক একটি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছিল। অথচ, দোকানের মালিক এ ব্যাপারে কোনও নথিপত্র পুলিসকে দেখাতে পারেনি। তারপরই হোসিয়ারি ব্যবসায়ী সুখময় ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে, মঙ্গলবার সাত সকালেই মেমারির থানার পুলিস মেমারি স্টেশন বাজারে এক চাল ব্যবসায়ীর দোকানে হানা দেয়। সেখান থেকে ৫৯০ বস্তা চাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই ব্যবসায়ী ৫৯০ বস্তা চালের মজুত করার কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি। তারপরই পুলিস ধনঞ্জয় ঘোষকে গ্রেপ্তার করে।
অন্যদিকে, সোমবার রাতে মন্তেশ্বর থানার পুলিস মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রামে এক চাল ব্যবসায়ীর গোডাউনে হানা দেয়। সেখান থেকেও ১০০ বস্তা চাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই পরিমাণ চাল মজুত করার ব্যাপারে ওই ব্যবসায়ীও কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি। তারপরই পুলিস পলাশ কর নামে ওই চাল ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই এই মন্তেশ্বরে একটি চায়ের দোকানে বেআইনিভাবে মেডিক্যাল মাস্ক বিক্রি হচ্ছিল। খবর পেয়ে পুলিস ওই চায়ের দোকানে হানা দিয়ে দোকানদারকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই চায়ের দোকান থেকেও ২২টি মাস্ক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এদিকে, কোনও ব্যবসায়ী এই সময়ে যাতে কালোবাজারি না করেন, সেই আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অব টেডার্সের পক্ষ থেকে বর্ধমান শহরের নানা জায়গায় মাইকিং করে প্রচারও করা হয়।
কালোবাজারি রুখতে পুলিসি অভিযানের ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, কালোবাজারির বিরুদ্ধে আমাদের লাগাতার অভিযান চলছে। মেমারি ও মন্তেশ্বর থেকে তিনজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। এই অভিযান চলবে। আমরা সব সময় পুরো জেলায় নজরদারি চালাচ্ছি। জেলাজুড়ে টাস্কফোর্সও গঠন করা হয়েছে। তারাও নজরদারি চালাচ্ছে।