খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
যানবাহন চলাচল বন্ধ হতেই মঙ্গলবার রাত থেকে থার্মাল স্ক্রিনিং বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু, হাজার হাজার শ্রমিক দূরপাল্লার ট্রেন ও বাসে চেপে বাড়ি রওনা দিয়েছেন। প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং হয়েছে, এমনটা নয়। তাই তাঁদের প্রত্যেককে এই মুহূর্তে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশকিছু জায়গায় বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ ছড়াচ্ছে। বাড়িতে যাওয়ার আগেই হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকেই। যদিও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের বক্তব্য, হাসপাতাল নয়, নিজেকে গৃহবন্দি রাখুন।
তমলুকের কুলবেড়্যায় এক আশাকর্মী ও তাঁর স্বামী বেঙ্গালুরুতে পড়তে যাওয়া ছেলেকে আনতে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তিনজন বাড়ি ফেরার পর তাঁদের কিছুতেই বাড়িতে থাকতে দিতে রাজি হননি পরিবারের অন্য সদস্যরা। এনিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। পরে তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হলেও আলাদা রান্না-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। গ্রামাঞ্চলে ব্যাঙ্ক মিত্ররা ডিজিটাল ডিভাইসকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাহকের ফিঙ্গার প্রিন্টের সাহায্যে টাকা জমা ও তোলার কাজ করেন। কারও কারও কিয়স্ক আছে। এই মুহূর্তে ব্যাঙ্কমিত্রদের মধ্যে ওই কাজ করতে কেউ রাজি হচ্ছেন না। তাঁরা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাচ্ছেন। এদিকে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের কর্মীরাও এই মুহূর্তে ডিউটি করতে চাইছেন না বলে সূত্রের খবর।
হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে এই মুহূর্তে ১০৫বছরের এক বৃদ্ধা আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় করোনা ভাইরাসের জন্য গঠিত আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এই মুহূর্তে প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে। কেউ যাতে বাড়ির বাইরে না বের হয়, সেজন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিক তালিকা সংগ্রহ করার কাজ চলছে। বিডিও অফিসেও তালিকা থাকছে। মঙ্গলবার কোলাঘাট বিডিও অফিসে এই ইস্যুতে একটি সর্বদলীয় সভা করে ব্লক প্রশাসন। লকডাউন কার্যকর করার জন্য পঞ্চায়েত ভিত্তিক নজরদারি কমিটি গঠন করার বিষয়ে আলোচনা হয়।