খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এদিকে লকডাউন নিয়ে ক্রমশ কড়া হচ্ছে পুলিস। এদিন নবদ্বীপে বহু মানষকে ঘুরতে দেখা যায়। নির্দেশ না মানায় এদিন নবদ্বীপে ছ’জন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। এদিন লক ডাউন উপেক্ষা করে রানাঘাট শহরে সকালের দিকে সুভাষ অ্যাভিনিউ, জিআরপি গেট সংলগ্ন জিএনপিসি রোড সহ বেশ কিছু এলাকায় মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন জায়গায় মোটর বাইক নিয়ে ঘুরতেও দেখা যায় অনেক মানুষকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। এরপর বেলা গড়াতে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিস। অভিযান চলিয়ে বিভিন্ন এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। রাস্তায় নামে রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলাররা। একই ছবি দেখা যায় শান্তিপুর শহরে। সেখানে শাড়ির দোকান থেকে চায়ের দোকান অনেক জায়গাতেই খোলা থাকার অভিযোগ ওঠে এদিন সকালে। অভিযোগ পাওয়ার পর বেলার দিকে পুলিস তৎপর হয়ে সমস্ত দোকান বন্ধ করে দিতে বলে। রানাঘাট পুলিস জেলাজুড়ে কোথাও উঠেছে পুলিসের সক্রিয়তার ছবি তো কোথাও আবার ঢিলেঢালা ছবি। যদিও বেলা গড়াতেই অনেকটা শুনশান হয়ে যায় শহরগুলির রাস্তাঘাট। তবে শহরের ব্যাঙ্কগুলি খোলা থাকলেও সেখানে ক্রেতার উপস্থিতি খুবই কম ছিল। রানাঘাট পুলিস জেলার পুলিস সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ বলেন, পুলিস প্রথম থেকেই তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। সব জায়গাতেই জমায়েত হতে এবং বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
কৃষ্ণনগর শহর সহ তেহট্ট, করিমপুরেও পুলিসি টহল এদিন চোখে পড়েছে। কৃষ্ণনগর জেলা পুলিসের সুপার জাফর আজমল কিদওয়াই ফোন ধরেননি। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, মানুষকে বোঝানো হচ্ছে। বাড়িতেই থাকতে বলা হচ্ছে। এরপরও কেউ কথা না শুনলে বল প্রয়োগ করা হবে। জেলাশাসক বিভু গোয়েল এদিন নিজে বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেন। পরে তিনি বলেন, মানুষকে বলা হয়েছে, খুব প্রয়োজন ছাড়া কোথাও না বেরতে। কিছু মানুষ তা শুনছেন না। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, বাড়িতে থাকুন। এরপর কিন্তু কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের তরফে আমাদের যা যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সব মেনে চলা হচ্ছে।
লক ডাউন না মানার অভিযোগে ছয় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিস। নবদ্বীপ থানার আইসি কল্লোলকুমার ঘোষ বলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই ছয় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রতিটি মানুষের ভালোর জন্যই এই কঠিনতম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। মানুষ যাতে কোনওভাবে লক ডাউন ভেঙে রাস্তার মোড়ে কিংবা বাড়ির রোয়াকে আড্ডা না মারতে পারে সেজন্য বাধ্য হয়ে অভিযান চালাতে হয়েছে। মানুষ যাতে জমায়েত করতে না পারে সেজন্য লাগাতার অভিযান চালানো হবে। অন্যদিকে, তেঘরিপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বুধবার থেকে বাজার দু’বেলার পরিবর্তে একবেলা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁরা এলাকায় পোস্টারিং করেছেন। বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সম্পাদক লালমোহন মোদক বলেন, সমস্ত ব্যবসায়ী মিলিত হয়ে দুপুর ২টো পর্যন্ত দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে জনসাধারণকে জানানো হয়েছে।