বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, অন্যান্য বছর জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে ২১ জুলাইয়ের আগে সারা জেলাজুড়ে একাধিক কর্মসূচি হতো। তাতে সভাপতি লোক নিয়ে যাওয়ার টার্গেট বেঁধে দিতেন। এবার তাঁর অসুস্থতার জন্য তা সম্ভব হয়নি। দলের কর্মীদের মধ্যে উন্মাদনাও কিছুটা কম লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, শনিবার থেকে বিভিন্ন স্টেশনে আমাদের কর্মীরা ক্যাম্প করে অন্যদের সাহায্য করেছেন। সেখানে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল। ব্লক, শহর মিলিয়ে প্রায় ৭০০টি ছোটগাড়ি ও বাস কলকাতায় গিয়েছে। ছুটির দিন থাকায় বহু মানুষ ট্রেনে গিয়েছেন। আমাদের দেড় লক্ষ লোক নিয়ে যাওয়ার টার্গেট পূরণ হয়েছে। জেলায় সাধারণ যাত্রীদের কোথাও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়নি।
বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, আগে যে পরিমাণ লোক যেত। এবার তার অর্ধেক যায়নি। কিছু মানুষকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাস দখল করা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এদিন সকাল থেকে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডের ছবি কার্যত স্বাভাবিকই ছিল। সিউড়ি থেকে বিভিন্ন রুটের বাস স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করেছে। আইএনটিটিইউসির সিউড়ি বাস ইউনিয়নের সহ সভাপতি শেখ বাবুলাল বলেন, কর্মী-সমর্থকরা ট্যুরিস্ট বাস ভাড়া করে গিয়েছেন। রুটের বাস নেওয়া হয়নি। সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে থেকে গড়ে ১৮০টি বাস চলাচল করেছে। তবে ছুটির দিন হওয়ায় এবং সভার কারণে এদিন সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীসংখ্যা অনেক কম ছিল।
রামপুরহাটে অন্যান্য বছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে বহু বাস বুকিং থাকায় যাত্রীরা ভোগান্তির মুখে পড়তেন। কিন্তু এবার রামপুরহাট মহকুমা জুড়ে বিপরীত চিত্র ছিল। এদিন বাস পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিক ছিল। বীরভূম জেলা বাস মালিক সমিতির রামপুরহাট মহকুমার সভাপতি জামারুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েকবছর ধরে ২১ জুলাই অধিকাংশ বাস বুকিং থাকত। গতবছর ৫০টিরও বেশি রুটের বাস ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এবছর একটিও বাস ভাড়া নেওয়া হয়নি। তবে রামপুরহাটের তিনটি লাক্সারি বাস মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম, করিমপুর ও হরিহরপাড়া থেকে ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে যাত্রী চাপিয়ে বাসগুলি কলকাতায় গিয়েছে।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, মানুষ তৃণমূল থেকে সরে আসছে। লোকসভা ভোটেই তার প্রমাণ মিলেছে। ওদের মিটিং-মিছিল মানুষ এড়িয়ে চলছেন। তাই ওরা বাস ভাড়া নেয়নি। কারণ, ফাঁকা বাস নেতারা কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কী করবেন? যদিও তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমার অবজার্ভার তথা জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা করছে। মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন। আর প্রতিবারই রামপুরহাট মহকুমার মানুষ ট্রেনে চড়েই শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হন। এবারাও তাঁরা ট্রেনেই গিয়েছেন।
এদিন বোলপুর মহকুমা এলাকাতেও বাস পরিষেবা কার্যত স্বাভাবিক ছিল। কিছু লাক্সারি বাসে কর্মী-সমর্থকরা কলকাতায় গিয়েছেন। অনেক কর্মী-সমর্থক ট্রেনেও গিয়েছেন। অন্যদিকে, ২১ জুলাইয়ের জন্য এদিন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে পুলিস। সড়কের একধারে ট্রাকগুলিকে আটকে দেওয়া হয়। তার জেরে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের নলহাটির নগরা মোড় পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে উত্তরবঙ্গগামী লরিগুলি দাঁড়িয়ে পড়ে। ফলে অন্যান্য যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।