খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলাকে রক্ষা করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন পর্যটনমন্ত্রী। ইতিমধ্যে তিনি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেছেন। এদিন শিলিগুড়ি স্টেট গেস্ট হাউসে জেলা পুলিস প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে মন্ত্রী একটি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি, শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনার ত্রিপুরারি অর্থব, মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক ডাঃ প্রলয় আচার্য, শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আইএমএ’র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে জেলায় কয়েকটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেগুলি হাতিঘিসা ও দু’টি আইটিআইতে রয়েছে। এর বাইরে জৈন মন্দিরের উল্টো দিকে একটি বেসরকারি ভবনে এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে একটি ভবনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হচ্ছে। জৈন মন্দিরের উল্টো দিকের ভবনে ১০০ বেড পাতার ব্যবস্থা রয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ মতো মেডিক্যালের চিকিৎসা পরিষেবা বাড়ানো হচ্ছে। জুনিয়ার ডাক্তারদের বিষয়গুলি দেখা হচ্ছে। চা বাগানের শ্রমিকদের মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা বাগান কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। এ ব্যাপারে বাগান কর্তৃপক্ষকে চিঠি করবেন জেলাশাকসক। এ দিনের জরুরি বৈঠকে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এরপর শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী। পুরভবনে আয়োজিত বৈঠকে মেয়র ও মন্ত্রী ছাড়াও পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য শঙ্কর ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারও হাজির ছিলেন। পরে মন্ত্রী বলেন, পুরসভার ১০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলিতে কয়েকজন চিকিৎসক আছেন। আইএমের সহযোগিতায় ওগুলিতে এখন থেকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। আইএমের সদস্যরা ওই কেন্দ্রগুলিতে নিয়মিত বসবেন। তাছাড়া পুরসভা দু’টি দল তৈরি করেছে। আরএকটি দল তৈরির জন্য পুরকর্তৃপক্ষ চিকিৎসক চেয়েছে। তা ব্যবস্থা করা হবে। দলগুলি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে নাগরিকদের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করবে।
মেয়র বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় পুরসভার তরফ থেকে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। পুরসভার যতটুকু ক্ষমতা আছে, তা দেওয়া হবে। বৈঠকে পর্যটনমন্ত্রীকে এ কথা জানিয়েছি। পাশাপাশি, পুরসভার ১০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আউটডোর ও ৫০টি সাব সেন্টারকে কাজে লাগানো, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হলঘর এবং কিছু হোটেলকে ব্যবহার করার প্রস্তাব মন্ত্রীকে দিয়েছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য পুরসভার ২০০ জন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী, ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সদস্য, মহিলা আরোগ্য সমিতির সদস্য ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ব্যবহার করা যেতে পারে। এ জন্য তাঁদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব মন্ত্রীর কাছে দিয়েছি। মন্ত্রী বলেন, মেয়রের প্রস্তাবগুলি যথাস্থানে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে, এদিন ফোনে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেন পর্যটনমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, করোনা মোকাবিলায় শিলিগুড়ি সহ সমগ্র দার্জিলিং জেলার প্রস্তুতি নিয়ে মন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বার্তালাপ হয়েছে। পর্যটনমন্ত্রী বলেন, সমগ্র পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।