বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ

সরকারিভাবে ধান কেনায় গতি পুরুলিয়ায়, কমছে ফড়েদের দাপট

নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: সরকারিভাবে ধান কেনায় গতি এসেছে পুরুলিয়া জেলায়। যার ফলে নিয়ন্ত্রণে এল ‘ফড়েরাজ’। এতে সামগ্রিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরাও। তবে সরকারিভাবে ধান কেনা হলেও প্রতি কুইন্টালে পাঁচ থেকে ছ’কেজি ‘বাটা’ নেওয়ার অভিযোগ রয়েই গিয়েছে চাষিদের।
জেলা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলায় এবার ২ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল রাজ্য। যার মধ্যে গত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনেছে জেলা। গতবার এই সময় মাত্র ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা সম্ভব হয়েছিল। জেলার খাদ্য নিয়ামক জহর আলমের দাবি, এবছর ফলন যেমন বাম্পার হয়েছে, ধানের সহায়ক মূল্যও বেড়েছে। চাষিদের সিপিসিতে ধান বিক্রি করার ব্যাপারে আমরা লাগাতার প্রচার করেছি। তার সাফল্য পাচ্ছি। এর ফলে ফড়েদের রাজত্বও অনেক নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ওই আধিকারিক জানান, এবার সহায়ক মূল্য ১১৭ টাকা বেড়ে কুইন্টাল প্রতি হয়েছে ২৩০০ টাকা। সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে(সিপিসি) দিলে আরও ২০ টাকা উৎসাহ-ভাতা যোগ করে চাষিরা পাবেন। অর্থাৎ, এক কুইন্টাল ধানের দাম পাওয়া যাচ্ছে ২৩২০ টাকা। এছাড়াও পাড়ায় পাড়ায় ধান কেনার জন্য ভ্রাম্যমাণ সিপিসি থাকছে। এবছর সঙ্ঘ সহ প্রায় ৮২টি কো-অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমেও ধান কেনা হচ্ছে। ফলে চাষিরা লোকসান করে আর ফড়েদের ধান বিক্রি করছেন না। পাড়ার শেখ ইসমাইল, পুরুলিয়ার বিপ্লব মাহাত বলেন, সিপিসিতে বিক্রি করলে ২৩২০ টাকা পাচ্ছি। ফড়েরা কুইন্টাল পিছু দু’হাজার টাকার বেশি দিচ্ছে না। ফড়েরা নগদ টাকা অবশ্য দেয়। কিন্তু, সিপিসিতে বিক্রি করলেও তো তিন চারদিনের মধ্যে টাকা পেয়ে যাচ্ছি। তবে, সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে অনেক সময় ফড়েরা ‘ভুয়ো’ চাষি সেজে ধান বিক্রি করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরফলে অনেক সময় আসল চাষিরা বঞ্চিত হন। তবে গত কয়েক বছর ধরেই তা বন্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে সরকার। তারজন্য একাধিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে। জেলা খাদ্য নিয়ামক বলেন, চাষিকে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে। চাষি নিজে ই-পস মেশিনে আঙুলের ছাপ দিলে তবেই ধান বিক্রি করতে পারবেন। তাঁর জায়গায় অন্য কেউ এলে হবে না। তাছাড়া, কেউ অতিরিক্ত ধান বিক্রি করছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে জমির পরিমাণও খতিয়ে দেখা হবে। চাষির নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। ভাগ চাষিদের ক্ষেত্রেও কড়া নজরদারি থাকছে। ফলে ‘ভুয়ো’ চাষিদের সিপিসিতে প্রবেশের কোনও জায়গা নেই। 
যদিও জেলার বিভিন্ন প্রান্তের চাষিদের অভিযোগ, কুইন্টালে ন্যূনতম পাঁচ ছ’কেজি বাটা নেওয়া চলছেই। খাদ্যদপ্তরের এক আধিকারিক অবশ্য মানছেন,  ‘ধানে স্যাঁতসেঁতে ভাব বেশি থাকলে, ধুলো থাকলে কিছুটা বাটা নেওয়া হয়।’ যদিও চাষিদের দাবি, অনেক ক্ষেত্রে ‘ফ্রেশ’ ধান নিয়ে এলেও বাটা নেওয়া হচ্ছে। এব্যাপারে তাঁরা খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকদের হস্তক্ষেপ চাইছেন।
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

মাতৃকুল থেকে সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ডাক্তার, আইনজীবী, প্রমুখের পেশার প্রসার, সুনাম ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৯৮ টাকা৮৭.০৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.০৯ টাকা১০৮.০০ টাকা
ইউরো৮৮.৭০ টাকা৯১.৩৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা