নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: আজ, শুক্রবার থেকে নদীয়া জেলায় দুয়ারে সরকার শিবির শুরু হচ্ছে। জেলায় ৬ হাজারের বেশি শিবির করা হবে। যেখান থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। যার মধ্যে ৩২ শতাংশ মোবাইল ক্যাম্প রাখা হয়েছে। বিভিন্ন গ্রামীণ ও শহর এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেবে প্রশাসন।
জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, দুয়ারে সরকার শুরু হচ্ছে। সেইমতো আমরা মোবাইল শিবিরে জোর দিয়েছি। যাতে সাধারণ মানুষকে তাঁর বাড়ির কাছে গিয়ে পরিষেবা দেওয়া যায়। জেলাজুড়ে কয়েক হাজার শিবির করা হবে। প্রত্যেক ব্লকেই বিভিন্ন দিন শতাধিক ক্যাম্প আয়োজন করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৬৩১৬টি শিবির করা হবে। বীরনগর পুরসভায় ১৪০টি, হাঁসখালি ব্লকে ৩৩৬, চাকদহ ব্লকে ২৫০, হরিণঘাটা ব্লকে ২০২, তেহট্ট-১ ব্লকে ২৭৬, কৃষ্ণনগর-২ ব্লকে ১৭৫, রানাঘাট পুরসভায় ১৫৫টি শিবির হবে। এছাড়া তাহেরপুর পুরসভায় ১০৪টি, কুপার্স ক্যাম্প এলাকায় ৯৩, চাপড়ায় ৩২৫, নবদ্বীপ ব্লকে ২০০, করিমপুর-২ ব্লকে ২৫৪, শান্তিপুর পুরসভায় ১৭৬টি শিবির হবে। কল্যাণী ব্লকে ১৭৫টি, শান্তিপুর ব্লকে ২৫০, রানাঘাট-১ ব্লকে ২৫০, নাকাশিপাড়া ব্লকে ৩৭৭, কৃষ্ণনগর পুরসভায় ১৭৫, কৃষ্ণগঞ্জে ১৭৬, নবদ্বীপ পুরসভায় ১৯৪, কালীগঞ্জ ব্লকে ৩৭৮, গয়েশপুর পুরসভায় ১৩১, তেহট্ট-২ ব্লকে ১৮২টি, চাকদহ পুরসভায় ১১৭, করিমপুর-১ ব্লকে ২০০, রানাঘাট-২ ব্লকে ৩৫০, কৃষ্ণনগর-১ ব্লকে ৩১২, হরিণঘাটা পুরসভায় ১৫৩, কল্যাণী পুরসভায় ২১০টি শিবির হবে।
আজ শুরু হচ্ছে নবম দুয়ারে সরকার শিবির। আগামী ১ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা চলবে। বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প চালানো হবে। শিবির থেকে মোট ৩৭টি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্যভাতা, কৃষকবন্ধু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করা যাবে। এছাড়া কৃষি যন্ত্রাংশ কিনতে উৎসাহীরা শিবিরে এসে আবেদন জমা করতে পারবেন। প্রাপ্ত আবেদন যাচাইয়ের কাজ চলবে ২৮ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদনপত্র জমা দিতে সাহায্য করার জন্য কোনওরকম টাকা চাওয়া যাবে না। কেউ টাকা নিলে তার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পে কাউকে কোনও নথির ফটোকপি করে দিয়ে টাকা নেওয়া যাবে না। এমনটা হলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।
কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সরকারি প্রকল্পকে মানুষের ঘরের কাছে পৌঁছে দিতে এই দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করেছেন। মানুষকে আর প্রশাসনিক ভবনে আসার কষ্ট করতে হয় না। প্রশাসন মানুষের ঘরের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।