দক্ষিণবঙ্গ

খনি অঞ্চলে পর পর ধস, ধুলিসাৎ বাড়ি

নিজস্ব প্রতিনিধি, সাঁকতোড়িয়া: আশঙ্কা সত্যি করেই ভয়াবহ ধসের কবলে শিল্পাঞ্চল। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত তিন জায়গায় ধস নামে। পাণ্ডবেশ্বরের হরিপুর দিয়ে শুরু। তার পর একে একে ধসের সাক্ষী থাকল সাঁকতোড়িয়ার রক্তা এবং রানিগঞ্জ শহর। সাঁকতোড়িয়ায় একটি বাড়ির একাংশ মাটির গর্ভে চলে যায়। রানিগঞ্জে পুরোনো একটি বাড়ি পুরোপুরি ধুলিসাৎ হয়ে যায়। তার চেয়েও বড় কথা, তিন জায়গাতেই ধসের এলাকা আরও বাড়তে পারে। তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল। ফলে,  সবমিলিয়ে গোটা শিল্পাঞ্চল কাঁপছে ধস-আতঙ্কে। কেউ কেউ কেরলে ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ের সঙ্গে তুলনা টেনে নিরাপদ আশ্রয়ের দাবি তুলেছেন। শিল্পাঞ্চলবাসীর এই দাবি অবশ্য দীর্ঘদিনের। সাঁকতোড়িয়ার ঘটনার পর ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে স্থানীয়দের। এদিন সকালে জোট বেঁধে সকলে চড়াও হন ইসিএলের সদর কার্যালয়ে। সেখানে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। রাস্তাও অবরোধ করে রাখা হয়। ইসিএলের আধিকারিকদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদেও জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। শেষে ইসিএলের তরফে ধস কবলিত এলাকায় সমীক্ষা করার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সেই মতো এদিন সাঁকতোড়িয়া ও পাণ্ডবেশ্বরে পরিদর্শনে যান ইসিএলের কর্তারা।    
ইসিএলের ডিরেক্টর (পার্সোনাল) আহুতি সোয়াইন বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ওঁদের দাবি মেনে ধসের বিষয়গুলি পর্যালোচনা করা হবে। এর জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির রিপোর্ট দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ 
সাঁকতোড়িয়ার রক্তা এলাকাটি আসানসোল পুরসভার ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তগর্ত। মঙ্গলবার বিকেলে দামোদর নদের অদূরে এই এলাকাতেই বড় ধস নামে। এখানকার একটি বাড়ির একাংশ ধসে পড়ে। গৃহকর্তা সুভাষ গোপ বলছিলেন, ‘ছাদে থাকা জলের ট্যাঙ্কটি ফেটে গিয়েছিল। সেটাই এদিন সারাই করছিলাম। হঠাৎ, ভূমিকম্পের মতো মাটি কেপে উঠল। সঙ্গে বিকট শব্দ। দেখলাম বাড়ির পিছনের দিকে অংশ মাটির গভীরে চলে গিয়েছে।’ বাড়ির মহিলা সদস্যা ফাল্গুনী গোপের কথায়, ‘ভাগ্যিস আমরা সবাই ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েছিলাম। গোরু-ছাগলদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। মনে হচ্ছিল পুরো বাড়িটা এখনই ভেঙে পড়বে!’ 
ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা সুভাষবাবুর সামনে জড়ো হন। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে এলাকাবাসী ইসিএলের সদর কার্যালয়ের গেট বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন। আটকে পড়েন কর্মী ও আধিকারিকরা। বরাকর সাঁকতোড়িয়া রাস্তা স্তব্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সও। পরে পুলিসের হস্তক্ষেপে রাস্তা অবরোধ মুক্ত হয়। তবে, গেট আটকে আন্দোলন চলতে থাকে। চাপে পড়ে ইসিএলের ডিরেক্টর (পার্সোনাল) আলোচনায় বসেন। স্থানীয় কাউন্সিলার তারকনাথ ধীবর বলেন, ‘আমার এলাকার মাঝে ম঩ধ্যেই ধস নামছে। একদিন বহু মানুষের বিপদ ঘটে যাবে। ইসিএল কোনও কিছু কর্ণপাত করছে না।’ তৃণমূল নেতা চন্দন আচার্য বলেন, ‘পুরো সাঁকতোড়িয়া দিসেরগড়ই ধস প্রবণ। ইসিএলে কোনও ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।’
ধসের আতঙ্ক ছড়িয়েছে পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের হরিপুরেও। গত বছরই হরিপুরে ধসের কারণে একটি বড় পুকুর শুকিয়ে গিয়েছিল। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ধস নেমেছিল। এবার ধস নামল হিন্দি হাইস্কুল থেকে ৫০ মিটারের মধ্যেই। অভিভাবক মহলে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। হরিপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপীনাথ নাগ বলেন, ‘ইসিএলেকে বার বার বলা সত্বেও কোন কাজ হচ্ছে না। মানুষ আতঙ্কিত।’ বুধবার সকালে আসানসোল পুরসভার ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত রানিগঞ্জ শহরের ডালপট্টি মোড়ে একটি পুরনো বাড়ির একাংশ ধসে গিয়েছে। জনবহুল এলাকায় এই বাড়ি ধসে পড়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে পড়ে। রানিগঞ্জের বরো চেয়ারম্যান মোজ্জামেল শাহাজাদা বলেন, ‘মালিক-ভাড়াটিয়ার দ্বন্দ্বে বাড়িটি ভাঙা যায়নি। আমরা এবার কঠোর পদক্ষেপ নেব।’ ( ইসিএলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ (উপরে)। (নীচে) ধসের খণ্ডচিত্র। নিজস্ব চিত্র)
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
21st     September,   2024
দিন পঞ্জিকা