দক্ষিণবঙ্গ

জঙ্গিপুরে বিপদসীমা পেরল গঙ্গা, আতঙ্ক, বন্যার আশঙ্কায় নিমতিতা ও নুরপুরে বাসিন্দারা

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: মুর্শিদাবাদে গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করল। রবিবার সকাল ছ’টা নাগাদ নিমতিতার কাছে গঙ্গার জলস্তর ছিল ২১.৯৯ মিটার। সেখানে জলস্তরের বিপদ সীমা নির্ধারিত আছে ২১.৯০ মিটার। একইভাবে জল বেড়েছে নুরপুরের কাছে গঙ্গাতে। সেখানে বিপদসীমা নির্ধারণ রয়েছে ২১.০৩ মিটার। কিন্তু এদিন গঙ্গার জলস্তর ২১.১৫ মিটারের কাছাকাছি ছিল। গেরিয়ার কাছেও গঙ্গার জল বাড়ছে। সেখানে বিপদসীমা নির্ধারণ রয়েছে ২০.৯৪ মিটার। এদিন ২০.৮০ মিটার পেরিয়ে গিয়েছে জলস্তর। লাগাতার গঙ্গার জলবৃদ্ধিতে আতঙ্ক বাড়ছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। 
এদিকে জেলার অন্য প্রান্তে ময়ূরাক্ষী, কুয়ে এবং দ্বারকা নদীর জলস্তর অনেকটাই নেমেছে। ফলে কান্দি মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে। বহরমপুরে ভাগীরথীর জলও অনেকটাই নেমেছে। বহরমপুর শহর লাগোয়া ভাগীরথীতে জলস্তরের বিপদ সীমা নির্ধারণ রয়েছে ১৭.২২ মিটার। এদিন এখানে জলস্তর ছিল ১৫.২২ মিটার। তবে ফের নিম্নচাপের ভ্রূকুটিতে কিছুটা চিন্তায় রয়েছে সাধারণ মানুষ। জেলা প্রশাসন নদীর জলস্তর বৃদ্ধির দিকেও নিয়মিত নজর রাখছে।
জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের আধিকারিক কমল চক্রবর্তী বলেন, নিমতিতা, গেরিয়া এবং নুরপুরের কাছে গঙ্গার জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি। ময়ূরাক্ষী, কুয়ে এবং দ্বারকা নদীর জল স্তর বিপদসীমা থেকে অনেকটাই নেমে গিয়েছে। ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। 
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ময়ূরাক্ষীর জলস্তর রয়েছে ২৩.৩২ মিটার। সেখানে বিপদসীমা নির্ধারণ রয়েছে ২৭.৮৬ মিটার। তারাপুরের কাছে কুয়ে নদী জলস্তর ছিল ২০.৯৬ মিটার। সেখানে বিপদ সীমা নির্ধারণ রয়েছে ২০.৪০ মিটার। সাঁকো ঘাটের কাছে দ্বারকা নদে এদিন জলস্তর ছিল ১৯.৪৯ মিটার। এখানে জলস্তরের বিপদসীমা নির্ধারণ রয়েছে ২০.৪০ মিটার। রণগ্রামের কাছে দ্বারকা নদের জলস্তর ছিল ১৬.৯১ মিটার। এখানে জলের বিপদ সীমা নির্ধারণ রয়েছে ১৭.৩৬ মিটার। যে নদীগুলির কারণে কান্দি মহকুমার বিস্তীর্ণ প্লাবন দেখা দিয়েছিল, সেগুলি জলস্তর অনেকটাই নেমেছে। যার ফলে স্বস্তি মিলেছে জেলা প্রশাসনের। 
খড়গ্রাম ব্লকের ঝিল্লি অঞ্চলের পাঁচটি গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। জল নামতে শুরু করেছে ভরতপুর-১ ব্লকের গড্ডা অঞ্চলেও। রাস্তাঘাট থেকে জল সরে গেলেও এদিন চাষের জমি ছিল জলের তলায়। বহরমপুরের সাটুই এলাকাতে বাবলা নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছিল। সেই জল এদিন অনেকটাই নেমেছে। তবে ধান ও সব্জি চাষের জমি জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। বানভাসি এলাকায় ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্প চলছে। সরকারিভাবে গ্রুয়েল কিচেন তৈরি করে রান্না করে অসহায় পরিবারদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। 
বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আইজুদ্দিন মণ্ডল বলেন, সব জায়গা থেকেই ধীরে ধরে জল নামছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তবুও আমরা মানুষের পাশে আছি। দুর্গতদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। 
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
21st     September,   2024
দিন পঞ্জিকা