দক্ষিণবঙ্গ

ফিরছেন অনুব্রত, সাজছে জেলা তৃণমূল অফিস, মোছা হল ধুলো জমে যাওয়া কাঠের চেয়ার

সৌম্যদীপ ঘোষ, সিউড়ি: সিউড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্রে জেলা তৃণমূলের দোতালা পার্টি অফিস। গ্রাউন্ড ফ্লোরটি মূলত মিটিং ও দলীয় কর্মীদের আলাপ-আলোচনার জন্য বরাদ্দ। দ্বিতীয় তলে জেলা সভাপতি বসেন। তাঁর জন্য রয়েছে একটি ঘর। অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট ওই ঘরে বসেই ‘তালুবন্দি’ গোটা জেলাকেই শাসন করতেন। সেটা প্রায় আড়াই বছর আগের কথা। তার পর গোরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার। আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে তিহারে যাত্রা। জেলা পার্টি অফিসে তাঁর ঘরটি কার্যত বন্ধই ছিল। এবার তিনি ফিরছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগেই ফিরবেন। ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন চনমনে দলীয় কর্মীরা। ‘দাদা’কে সসম্মানে পুনর্বহালের দায়িত্ব তাঁদেরই কাঁধে। পার্টি অফিসকে আগের মতো সাজিয়ে তুলতে কার্পণ্য করছেন না কেউই। কেষ্টদার ঘরের বাইরে ঠিকঠাক জায়গায় টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘জেলা সভাপতি’ লেখা বোর্ড। অতঃপর, স্বপদেই বহাল থাকছেন অনুব্রত। অন্তত, বোর্ড সেটাই জানান দিচ্ছে। দলের তরফেও এই সিদ্ধান্তের কোনও বদল হচ্ছে না বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।  
রবিবার ছিল ছুটির দিন। সকাল সকাল হাজির একদল তৃণমূল কর্মী। রয়েছেন শান্তব্রত চট্টোপাধ্যায়। চরম ব্যস্ত তিনি। নিঃশ্বাস ফেলার ফুরসত নেই তাঁর। দীর্ঘ আড়াই বছরে কেষ্টদা নিয়ন্ত্রিত দলের সাংগঠনিক কাঠামোর অনেকটাই রদবদল হয়েছে। তিনি ফিরলেই বুথস্তরের সংগঠন ও ভোটের সব খুঁটিনাটি তুলে ধরতে হবে। তাই এখন শান্তবাবুর একটাই লক্ষ্য—অফিসের ফাইলপত্র সেই আগের মতোই গুছিয়ে রাখতে হবে। সেই কাজটাই তিনি করে চলেছেন। বাকি কর্মীরা গোটা পার্টি অফিস ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করছেন। জানলার পর্দা থেকে শুরু করে আলমারি, ডেস্ক সবকিছুই পরিষ্কার করা হচ্ছে। গোপন বৈঠকের রুমটিও সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। 
পার্টি অফিসের স্টোর রুমে দু’টি কাঠের চেয়ার ছিল। সেগুলিতে জমে থাকা ধুলো পরিস্কারের কাজ চলছে। এরই একটিতে বসতেন অনুব্রত। আপাতত সেটি বদল হচ্ছে না। ফলে, আগের মতো শক্তপোক্ত রয়েছে কি না, দেখে নিচ্ছেন কর্মীরা। অনুব্রতর ঘরের সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হল বোর্ডও। তাতে লেখা—অনুব্রত মণ্ডল। সভাপতি, তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা কমিটি। আর কর্মীদের এসব কাজের তদারকি করে চলেছেন অফিসের সর্বক্ষণের কর্মী শান্তব্রত চট্টোপাধ্যায়, দলের জেলা কোষাধ্যক্ষ দীপক রায়। 
শান্তবাবুর নামের সঙ্গে কাজের অদ্ভুত মিল! ঠান্ডা মাথায় অফিসের সবকিছু সামলান তিনি। তাই ‘অফিস বেয়ারার’ হিসেবে তাঁর উপর অগাধ আস্থা, ভরসা রাখতেন কেষ্টদা। তিনি ফিরে এলে আগের সেই ভরসার জায়গা যাতে নড়বড়ে না হয়ে যায়, তার প্রাণান্তকর চেষ্টা শান্তবাবুর। কাজের ফাঁকে তিনি 
বলছিলেন, ‘এতদিন পর জেল থেকে দাদা ছাড়া পাচ্ছেন। এই আনন্দ ধরে রাখি কোথায়! আমরা যারা ওই লোকটাকে এতবছর ধরে দেখে আসছি, তাঁদের কাছে ফের দাদাকে কাছে পাওয়ার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। দাদার চেয়ার এতদিন তুলে রাখা হয়েছিল। এবার সেটিকে ফের অফিসের ভেতর আনা হয়েছে। আর আমাকে তো রোজই কাগজপত্র নিয়ে বসতে হচ্ছে। কোন ব্লকে কত মাইনাস, কত লিড রয়েছে, এসব এসেই জানতে চাইবেন। এই আড়াই বছরে ভোটের কী পরিবর্তন হয়েছে, সেটাও জানাতে হবে। সেই ফাইল রেডি করছি। কারণ কেষ্টদা এসব দিকে খুব নজর রাখতেন। দাদা ফেরার পর আগামী ১ মাস এইসব ফাইলপত্র দেখাতেই কেটে যাবে বলে মনে হয়।’ 
মাঝেমধ্যেই সিউড়ির জেলা পার্টি অফিসে ঢুঁ মারছেন বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। সবকিছু ঠিকঠাক হচ্ছে কি না খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি বলছিলেন, ‘দলনেত্রীর নির্দেশ মতো ওঁর স্থান আজও অটুট। বাড়ির অভিভাবক দীর্ঘদিন পর ফিরছেন। দলের কর্মীরা তাঁর ঘর সাজানোর কাজই করছেন। -নিজস্ব চিত্র
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
21st     September,   2024
দিন পঞ্জিকা