দক্ষিণবঙ্গ

উমার আশীর্বাদ প্রার্থনায় পিতলের থালায় ২৮টি প্রদীপ জ্বালান বিশ্বাস বাড়ির মেয়েরা 

সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: ১৯৭১ সালের যুদ্ধে গোলাগুলিতে সীমান্ত হ্যারিশ নগরের বিশ্বাস বাড়ির দুর্গামন্দিরের থামের ক্ষতি হয়। সে বছর বাদে ১৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বাড়িতে উমার আরাধনা হয়ে আসছে। আজও পুরনো রীতি মেনে ২৮টি পিতলের থালা বের করা হয়। সেই থালার দু’টিতে বাড়ির মহিলাদের হাতে তৈরি প্রদীপ জ্বেলে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে এখনও পুজো  করা হয়। বাংলাদেশের দর্শনা পূর্বদিকের বজিদ্বে গ্রাম থেকে গেদে উত্তরপাড়ায় উঠে আসা বিশ্বাসদের বাড়ির এই পুজো গ্রামবাসীদের নিজেদের পুজো হয়ে ওঠে।
জানা গিয়েছে, রতিকান্ত বিশ্বাস পুজোটা শুরু করেন। গোটা এলাকায় তখন পুজো ছিল না। হ্যারিশ নগরের বিশ্বাস পরিবার পুজো শুরু করেন। সেসময় তাদের পাট, কাপড় সহ একাধিক ব্যবসা ছিল। ২১৮৮ দাগ নম্বরে মন্দির করে এই পুজোর সূচনা হয়। পরবর্তীকালে এই পুজো গোটা হ্যারিশ নগরের পুজো বলে খ্যাতি লাভ করে। ব্রিটিশ আমলে পাশেই থাকা কুটিরপাড়ায় নীলকর সাহেবরা নীল চাষ করত। এখানেই থাকতেন হ্যারিশ সাহেব। তাঁর নাম অনুসারে গোটা এলাকার নাম হ্যারিশ নগর হয়ে ওঠে। এর আগে এখানকার নাম ছিল উকনেদার। বিশ্বাস পরিবারের পুজোকে ঘিরে গ্রামের মানুষ আনন্দে মেতে উঠতেন, ভোগ পেতেন। 
একটানা পুজো হয়ে আসার মাঝে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের  সময় ব্যাপক গোলাগুলি হলে বিশ্বাস বাড়ির মন্দিরের থাম ভেঙে যায়। সে বছর পুজো বন্ধ থাকে। পরে থামটি মেরামত করা হয়। ওই একবার পুজো বন্ধ ছিল। তারপরও টানা পুজো হয়ে চলছে। এখানে দেবীকে ষষ্ঠীতে বোধনের পর মন্দিরের সিংহাসনে তোলা হয়। একচালার ডাকের সাজের দেবীকে দেখতে তখন থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। হলুদ বর্ণের দেবীকে দেখতে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসেন। অনেক মানত করেন। মনস্কামনা পূর্ণ হলে পুজো দিতে আসেন। আগে বলি হতো। এখন চালকুমড়ো বলি হয়। পুজো হয় সাত্ত্বিক মতে। আগে গ্রামবাসীরা ভোগের প্রসাদ পেতেন। এখন আর দেওয়া সম্ভব হয় না। অষ্টমীতে লুচি, সন্দেশ, পাঁচ ভাজা ভোগ দেওয়া হয়। নবমীর দিন খিচুড়ি ভোগ হয়। দশমীতে চিঁড়ে ভোগ দেওয়া হয়। দশমীর দিনই বিসর্জন হয়।
এই পুজো নিয়ে বিশ্বাস পরিবারের সদস্য প্রদ্যুৎ বিশ্বাস বলেন,  অনেক আগে পূর্বপুরুষরা দর্শনা পূর্বদিকে বজিদ্বে গ্রামে থাকতেন।  তাঁরা এই গেদের উত্তর পাড়ায় আসেন। হ্যারিশ নগরে আমাদের বাড়ির পুজো ১৭৫ বছরের বেশি সময় ধরে হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের বাড়ির পুজোকে কেন্দ্র করে বাড়ির বাইরে থাকা আত্মীয় স্বজনরা সকলে মিলিত হন।  আনন্দে, উৎসবে পুজোর ক’টা দিন ভালোই কাটে। -নিজস্ব চিত্র
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
21st     September,   2024
দিন পঞ্জিকা