কোথায় কেমন খাবার সেরা? থাকছে তারই খোঁজ। এবারের বিষয় কাটলেট, ডেভিল, ফ্রাই।
ফরাসি শব্দ ‘কোতোলেত’-এর অপভ্রংশ ‘কাটলেট’। মোটামুটি ১৭৬৮ খ্রিস্টাব্দ থেকেই ফারাসি রান্নাঘরে এই পদটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতে আসার পর এসব রান্নার প্রস্তুতিতে বদল ঘটে। ইংরেজ পরিবারে রাঁধুনিরা আলু সেদ্ধ করে তার সঙ্গে মাংসের কিমা মিশিয়ে একটা পুর বানাতেন। সেই পুর গোল বা চ্যাপ্টা আকারে গড়ে ডিমের গোলায় ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে ভাজা হতো। কাটলেট বানানোর সেই ধারা আজও হোটেল, রেস্তরাঁয় বহাল রয়েছে। ডিমের ডেভিল-এর আমদানি হয়েছিল রোম-এ। ডিম ও মাংসের এই সংমিশ্রণ খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তখন ডেভিল নামটি প্রচলিত ছিল না। পরে ঝাল মশলার ব্যবহার হলে তার নাম হয় ডেভিলড এগ।
বিজলি গ্রিল
এখানে পাবেন চিকেন কাটলেট, ভেজ কাটলেট, চাইনিজ চিকেন কাটলেট ইত্যাদি।
বেনফিশ রেভেলরি
এখানকার চিকেন কাটলেট ও প্রন কাটলেট সবচেয়ে জনপ্রিয়।
প্রিন্সটন ক্লাব
ভেজ কাটলেট, মেক্সিকান চিজ বল, ফ্রায়েড চিকেন, মাটন কাটলেট, চিকেন চিজ বল ইত্যাদি বিখ্যাত।
মাটন কাটলেট রেসিপি
উপকরণ: ২৫০ গ্রাম মটন কিমা, ২টি কুচি করা কাঁচালঙ্কা, ১ টেবিল চামচ গরমমশলা, ২ গ্রাম গোলমরিচের গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ কুচি করা ধনেপাতা, ১ টেবিল চামচ আদা বাটা, ২ টেবিল চামচ আদা-রসুন কুচি, ভাজার জন্য পরিমাণ মতো তেল, ১ চা চামচ লঙ্কার গুঁড়ো, ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ১টি মাঝারি আলু (সেদ্ধ এবং চটকানো), ২ কাপ ব্রেড ক্রাম্বস, ২টি ডিম ফেটানো, ২ টেবিল চামচ ময়দা, প্রয়োজন মতো নুন।
প্রণালী: বাটিতে মটন কিমা নিন। এর মধ্যে কাঁচালঙ্কা, গরমমশলা, লঙ্কার গুঁড়ো, আদা বাটা, রসুন-পেঁয়াজ কুচি, গোলমরিচের গুঁড়ো, নুন, ধনেপাতা এবং মাখা আলু মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি কাটলেটের আকারে গড়ুন। ডিম নুন দিয়ে ফেটান। কাটলেট এই ব্যাটারে ডুবিয়ে, ব্রেড ক্রাম্বসে গড়িয়ে নিন। ছাঁকা তেলে ভেজে পরিবেশন করুন।
ফুড আজকাল
এখানে পাবেন ফিশ কাটলেট, চিকেন কাটলেট, ভেজিটেবল কাটলেট।
সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস
চিংড়ি থোরা কাটলেট, মোচার কাটলেট, মাংসের কাটলেট, ডিমের ডেভিল, ছানা মটরশুঁটির চপ, ফ্রায়েড চিকেন এখানে জনপ্রিয়।
ডিমের ডেভিলের রেসিপি
উপকরণ: ডিম ৪টে, মাংসের কিমা ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১টা, আদা কুচি টেবিল চামচ, কাঁচালঙ্কা কুচি চা চামচ, জিরে গুঁড়ো চা চামচ, হলুদ গুঁড়ো চা চামচ, টম্যাটো কুচি টা, তেজপাতা ১টা, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো চা চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো চা চামচ, সেদ্ধ করে মাখা আলু ১টা, চিনি ১ টেবিল চামচ, সর্ষের তেল ২৫ মিলি, বিস্কুটের গুঁড়ো ২০০ গ্রাম, ময়দা ১ টেবিল চামচ, ডিম টা, সাদা তেল ভাজার জন্য।
পদ্ধতি: ডিম সেদ্ধ করে নুন মাখিয়ে রেখে দিন। সর্ষের তেল গরম করে তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা লঙ্কা ভেজে নিন। গরমমশলা বাদে সব গুঁড়ো মশলা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। তা পেঁয়াজের সঙ্গে নেড়ে নিন। এতে মাটন কিমা মিশিয়ে রান্না করুন। নুন, বাকি মশলা দিয়ে আলু সেদ্ধ মেশান। এবার ডিম সেদ্ধর গায়ে এই মিশ্রণ লাগান। ময়দা, জল, ডিম, নুন ও মরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। তাতে কোটিং দেওয়া ডিম ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়ো মাখিয়ে ভাজুন।
সপ্তপদী
জনপ্রিয় মুরগি চিঁড়েচ্যাপ্টা, আমিষ ঝুরি, মুড়ি ফিশ স্টিক, চিংড়ি ভুট্টার কাটলেট ইত্যাদি এখানে জনপ্রিয়।
চিংড়ি ভুট্টার কাটলেট
উপকরণ: চিংড়ি মাছ ১টা বড়, কুচো চিংড়ি ২০ গ্রাম, আমেরিকান কর্ন ২ চা চামচ, পেঁয়াজ ১০ গ্রাম, রসুন কুচি ৫ গ্রাম, আদা কুচি ৫ গ্রাম, কাঁচা লঙ্কা কুচি ২ গ্রাম, বিস্কুটের গুঁড়ো প্রয়োজন অনুযায়ী, নুন স্বাদ মতো, গোলমরিচ গুঁড়ো স্বাদ অনুযায়ী, তেল ভাজার অনুপাতে, ময়দা ২ চা চামচ।
পদ্ধতি: বড় চিংড়ির লেজ রেখে খোসা ছাড়িয়ে পিঠের ময়লা ফেলে দিন। তাতে নুন ও মরিচ মাখিয়ে রাখুন। কুচো চিংড়ি, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, নুন, মরিচ বেটে নিন। এবার লেজ-সহ চিংড়ির গায়ে পুরু করে এই বাটা মাখিয়ে তা কাটলেটের মতো গড়ে নিন। ময়দার সঙ্গে জল ও নুন মিশিয়ে ঘন ব্যাটার বানান। এই ব্যাটারে চিংড়ির কাটলেট ডুবিয়ে তা বিস্কুটের গুঁড়োয় গড়িয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে নিন।
মছলি বাবা ফ্রাইস
এখানে জনপ্রিয় ভাজাভুজির মধ্যে রয়েছে ডিমের ডেভিল, মোচার চপ, ফিশ ফ্রাই, ফিশ ফিংগার ইত্যাদি।
ক্যালকাটা ক্রেভিংস
ডিমের ডেভিল, চিকেন ক্রোকে, ফিশ চপ, মোচার চপ, ফিশ ফ্রাই ইত্যাদি পাবেন।