অন্দরমহল

জামাইষষ্ঠী জমজমাট

বিশেষ এই দিনে পঞ্চব্যঞ্জনে জামাতার পাত সাজিয়ে দেন শাশুড়ি মা। এই দিনের মেনুর জন্য কিছু পুরনো, আর কিছু অভিনব পদের রেসিপি আপনাদের জন্য ভাগ করে নিলেন দেবারতি রায়

কেশরী পোলাও 
উপকরণ: গোবিন্দভোগ চাল ২ কাপ, গ্রেট করা খোয়া ক্ষীর ১ কাপ, কাজু, কিশমিশ ১ মুঠো, দুধে ভেজানো জাফরান ১ চিমটে, এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি ১ চা চামচ, নুন  স্বাদ মতো, চিনি ১ কাপ, 
ঘি ১ টেবিল চামচ, গোলাপ জল ১ চা চামচ। 
প্রণালী: গোবিন্দভোগ চাল জলে পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট ভিজিয়ে জল ঝরিয়ে নিন। হালকা গরম দুধে কেশর ভিজিয়ে রাখুন। খোয়া গ্রেট করে নিন। কিছুটা খোয়া, একটু দুধ ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে মেখে ছোট ছোট বল গড়ে নিন। কড়াইতে ঘি ও সাদা তেল দিয়ে বলগুলো ভেজে তুলে নিন। কাজু ও কিশমিশ ভেজে তুলে নিন। ওই তেলে এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি দিয়ে চাল দিন। নুন ও ৪ কাপ জল দিয়ে ঢাকা দিন। চাল আধসেদ্ধ হলে চিনি দিন। ভেজে রাখা কাজু, কিশমিশ, খোয়ার বল ও গ্ৰেট করা খোয়া, দুধে গোলা কেশর দিন। কিছুক্ষণ পর চাল সেদ্ধ হলে গরমমশলা গুঁড়ো ও গোলাপ জল ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। কিছুটা সময় রেখে তারপর নামিয়ে পরিবেশন করুন কেশরী পোলাও।
তেল কই
উপকরণ: কই মাছ ৪ টুকরো, সাদা জিরে ১ চা চামচ, কাঁচালঙ্কা ৩-৪টে, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, শুকনো লঙ্কা ৩টে, আদা ১ ইঞ্চি, টম্যাটো ১টা, নুন, চিনি স্বাদ মতো, সর্ষের তেল পরিমাণ মতো।
প্রণালী: কই মাছ ভালো করে ধুয়ে নুন, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো মাখিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। কিছুটা সর্ষের তেল মাখিয়ে মাছগুলো ভেজে নিন। তেল মাখিয়ে নিলে মাছ ভাজার সময় কম ফাটবে। আদা, শুকনো লঙ্কা, টম্যাটো, জিরে একসঙ্গে বেটে রাখুন। মাছ ভাজা হলে তা তুলে নিন। ওই তেলে জিরে, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। তারপর বাটা মশলা দিয়ে কষে নিন। একটা বাটিতে হলুদগুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো ভালো করে জলে গুলে নিন। এবার মিশ্রণটা তেলে দিয়ে দিন ও সামান্য চিনি দিন। মশলা থেকে তেল ছাড়লে অল্প জল দিন। গ্রেভি ফুটে উঠলে মাছগুলো ছেড়ে দিন। স্বাদ মতো নুন দিন ও চেরা কাঁচালঙ্কা ঢাকা দিয়ে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে নিন ও কিছুক্ষণ পর নামিয়ে পরিবেশন করুন তেল কই।
চিকেন রোস্ট 
উপকরণ: গোটা চিকেন ২ কেজি (লেগ পিস), টকদই ৪ টেবিল চামচ, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো 
১ চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, নুন, চিনি স্বাদ মতো, আদা-রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ বাটা ৩ টে, জায়ফল গুঁড়ো ১ চামচ, জয়িত্রি গুঁড়ো ১ চা চামচ, পোস্ত বাটা ১ চা চামচ, কাজুবাদাম ১০টা, পেস্তা, আমন্ড, কিশমিশ ১০-১২টা করে, দুধ ১ কাপ, জাফরান ১ চিমটি, বড় এলাচ ১টা, ছোট এলাচ, শাহী জিরে ১ চা চামচ, দারচিনি ১ ইঞ্চি, লবঙ্গ ৫-৬টা, জায়ফল ১টা, মিঠে আতর ১ ফোঁটা, কেওড়া জল ১ চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, সাদা তেল ২ টেবিল চামচ।
প্রণালী: চিকেন লেগ পিস গরম জলে ধুয়ে নিন। এবার লেগ পিসগুলো ছুরি দিয়ে চিরে নিন। তাতে আদা-রসুন বাটা, নুন, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ৩০ মিনিট ম্যারিনেট করে রাখুন। কাজু, পোস্ত, আমন্ড, পেস্তা, কিশমিশ জল দিয়ে বেটে নিন। পেঁয়াজ ঘি দিয়ে ভেজে বেটে নিন। এবার একটা ছড়ানো চওড়া পাত্রে ঘি ও সাদা তেল দিয়ে চিকেনের পিসগুলো এপিঠ ওপিঠ ভালো করে ভেজে নিন। দু’দিক ভাজা হলে পেঁয়াজ বাটা দিন। ২ মিনিট ভেজে নিন। এবার তাতে আদা, রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ১০ মিনিট কম আঁচে রাখুন। তেল ছেড়ে এলে টক দই, বাদাম বাটার মিশ্রণ দিন। এবার আধ কাপ দুধে এক চিমটে জাফরান ও এক ফোঁটা মিঠে আতর মিশিয়ে নিন। দশ মিনিট পর ঢাকা খুলে মিশ্রণটা দিন। জায়ফল, এলাচ গুঁড়ো ও জয়িত্রি গুঁড়ো দিন। মিনিট পাঁচেক পর কেওড়া জল দিন। ঢাকা দিয়ে আবার ঢিমে আঁচে কিছুক্ষণ রেখে দিন। চিকেন নরম হয়ে আসবে। মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করে নেবেন। ১৫-২০ মিনিট পর চিকেন সেদ্ধ হয়ে যাবে ও তেল একদম ছেড়ে আসবে। এবার গ‍্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পরিবেশন করুন চিকেন রোস্ট।
কড়াই মাটন
উপকরণ: কড়াই মশলার জন্য: গোটা ধনে ১ টেবিল চামচ, গোটা জিরে ১ চা চামচ, গোটা মৌরি ১ চা চামচ, তেজপাতা ২টো, গোলমরিচ ১ চা চামচ, শুকনো লঙ্কা ২টো, মাটন ৬০০ গ্ৰাম, পেঁয়াজ কুচি ২টো, আদা-রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, টম্যাটো বাটা ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ১টা (ডাইস করে কাটা), ক‍্যাপসিকাম ১টা, (ডাইস করে কাটা), নুন, চিনি স্বাদ মতো, কাজু বাটা ১ টেবিল চামচ, কসুরি মেথি ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ চা চামচ, লঙ্কা গুঁড়ো ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, গরমমশলা গুঁড়ো ১ চা চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ।
প্রণালী: প্রথমে মাটন ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এবার শুকনো কড়াইতে কড়াই মশলার সব উপকরণ দিয়ে কম আঁচে হালকা ভেজে তুলে রাখুন। ঠান্ডা হলে গুঁড়ো করে নিন। এবার কড়াইতে এক চামচ তেল গরম করে ক‍্যাপসিকাম ও পেঁয়াজ ভেজে তুলে নিন। আবার কিছুটা তেল দিয়ে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, গোলমরিচ দিয়ে পেঁয়াজ কুচি ভেজে নিন। তাতে আদা-রসুন বাটা দিয়ে দু’মিনিট কম আঁচে নাড়াচাড়া করে মাটন দিন। ১৫-২০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝে মাঝে ঢাকা খুলে নেড়ে নিন যাতে তলা ধরে না যায়। হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো দিয়ে দু’টুকরো করে রাখা টম্যাটো দিন। নুন, চিনি আর কড়াই মশলা দিয়ে দু’মিনিট নাড়াচাড়া করে জল দিন। ঢাকা দিয়ে দশ মিনিট রেখে দিন। ঢাকা খুলে টক দই দিন। মিনিট পাঁচেক ঢাকা দিয়ে রাখুন। সেদ্ধ হতে দিন। এবার আগে থেকে ভেজে রাখা পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম দিয়ে দিন। দু’মিনিট নাড়াচাড়া করে গরমমশলা গুঁড়ো, কড়াই মশলা ছড়িয়ে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিন। কিছুক্ষণ রেখে দিন। ইচ্ছে হলে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন কড়াই মাটন।
রাজভোগ
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, লেবুর রস ২ টেবিল চামচ, চিনি বড় ১  কাপ, জল ৬ কাপ, ছোট এলাচ গুঁড়ো ১ চা চামচ, জাফরান ১ চিমটে, গুঁড়ো দুধ ২ টেবিল চামচ। ক্ষীরের জন্য: ঘন দুধ ২ কাপ, গুঁড়ো দুধ ৩ টেবিল চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, কাজু গুঁড়ো ১ চা চামচ, ছোট এলাচ গুঁড়ো ১ চা চামচ।
প্রণালী: এক লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে লেবুর রস মিশিয়ে ছানা কাটিয়ে নিন। এবার পাতলা সুতির কাপড়ে নিংড়ে জল বের করে নিন। এবার ছানার মধ্যে এক চামচ ময়দা আর এক চামচ গুঁড়ো চিনি, এক চিমটি বেকিং সোডা ও ভেজানো জাফরান মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। একটা বাটিতে ক্ষীরের সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। 
তারপর তা অতিরিক্ত জলজলে হয়ে গেলে একটু আঁচে বসিয়ে জলটা মেরে নিন। একদম আঁটো আঁটো হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। তার সঙ্গে কয়েকটি জাফরানের সুতো মেশান এবং ভালোভাবে মেখে নিন।  তা থেকে ছোট ছোট গোল বল গড়ে নিন। এবার ছানার মিশ্রণ নিয়ে বড় গোল করে নিন ভিতরে ছোট ক্ষীরের বল দিয়ে দিন। অন্যদিকে 
চিনি ও জল ফুটিয়ে নিন। ফুটে উঠলে ক্ষীর ভরা ছানার বল দিয়ে দিন। ঢাকা দিয়ে ৫ মিনিট হাই ফ্লেমে রাখুন। তারপর ঢাকা খুলে নেড়ে মাঝারি আঁচে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। দেখবেন বলগুলো ফুলে দ্বিগুণ হবে। এবার গ্যাস বন্ধ করে ওই অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর পরিবেশন করুন রাজভোগ। 
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১১০.২৬ টাকা১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো৯১.৭১ টাকা৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা