অন্দরমহল

শান্তি নামুক শরবতে

দহন দিনে আরাম পাবেন শরবতে। এই নিয়ে জানালেন শেফ স্বরূপ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে তাঁরই তৈরি দু’টি শরবতের রেসিপি।

বাঙালি পরিবারে শরবত খাওয়ার রীতি কিন্তু বহু পুরনো। এই প্রসঙ্গে শেফ স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গ্রীষ্মকালে প্রয়োজন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী বাঙালি শরবত বানাত বাড়িতে। প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য মৌরি-মিছরির জল বা একটু ভারী খাওয়াদাওয়ার পর তা সহজে হজম করার জন্য জিরে গুঁড়ো, পুদিনা পাতা ও লেবু দিয়ে তৈরি শরবত ইত্যাদির আয়োজন থাকত বাঙালির হেঁশেলে। তখনও রেস্তরাঁ বা হোটেলে খাওয়ার কোনও চল ছিল না। বৈশাখী আড্ডায় এই ধরনের শরবত বাঙালি বাড়িতে গিন্নিরাই পরিবেশন করতেন। পরবর্তীকালে সেই শরবতই রেস্তরাঁয় পরিবেশিত হতে শুরু করে। শেফের কথায়, ‘কিন্তু এই ক্ষেত্রে আমরা দেখলাম শরবতের ধরনগুলো একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে। দইয়ের ঘোল, বেলের পানা, আমপোড়ার শরবত, লেবুর জল ইত্যাদির মধ্যেই ঘোরাফেরা করছি আমরা। কিন্তু সেই আয়োজন অতিথিদের সন্তুষ্ট করতে পারছে না। তাঁরা ভাবছেন বাড়িতেই যে পদ বানানো যায় তা রেস্তরাঁয় খাবেন কেন? সেই একঘেয়েমি কাটানোর জন্যই ক্রমশ একটু ভিন্নতর স্বাদ আনার চেষ্টা করলাম শরবতে। প্লেন ঘোলের বদলে গন্ধরাজ ঘোল, তুলসী পাতা দিয়ে ঘোল, বেলের পানা মেশানো ঘোল ইত্যাদি তৈরি হল।’ 
ক্রমশ আরও নতুনত্বের সন্ধানে বিদেশি কিছু উপকরণ মেশাতে শুরু করলেন শেফ। যেমন দইয়ের সঙ্গে রোজ সিরাপ মিশিয়ে রোজ লস্যি বা গোলাপ ঘোল তৈরি হল। আবার গরমে তরমুজের রসের সঙ্গে পুদিনা মিশিয়ে মিন্টি ওয়াটারমেলন জ্যুস বানানো হল।
শেফের কথায়, ‘চাহিদা বাড়ার সঙ্গেই পুব ও পশ্চিমের মিলমিশে শরবতের ধরন বদলাতে শুরু করে। এক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের কালচারটা আমাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু তাই বলে সেই কালচার যে আমরা সম্পূর্ণভাবে অনুকরণ করেছি তা কিন্তু নয়। বরং সেই রন্ধনপ্রণালী অবলম্বন করে তার মধ্যেই নিজস্বতা আনার চেষ্টা করেছি।’ একটা উদাহরণ দিলেন তিনি। বললেন, মোহিতোর মতো করে তরমুজের সঙ্গে পুদিনা মিশিয়ে তার রস পরিবেশন করেছি। পাশাপাশি বাঙালির লেবু চিনির শরবত, মৌরি মিছরির জল এগুলোও অবশ্য তাঁরা পরিবেশন করেন। তিনি আরও বলেন, ‘খাবার সবসময়ই একটা ইন্টার-কালচারাল এক্সচেঞ্জ। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান খাবার থেকেই কলকাতায় খাবারে এই মেলবন্ধন শুরু হয়েছিল। আর এইভাবেই বিভিন্ন কুইজিন তৈরি হয়েছে। শরবতের ক্ষেত্রে দু’টি এমনই শরবতের কথা বলব যেখানে ভারতীয় উপকরণের সঙ্গে বিদেশিয়ানা মিশিয়ে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি আমি।’

তরমুজ পুদিনার শরবত
উপকরণ: তরমুজ দানা বাদ দিয়ে টুকরো করে কাটা ১ বাটি, পুদিনা পাতা ৮-১০টা, চিনি ১ চামচ, সোডা সামান্য, বরফ কুচি আন্দাজ অনুযায়ী।
পদ্ধতি: তরমুজের টুকরোগুলো মিক্সিতে ঘুরিয়ে রস করে নিন। তা হ্যান্ড ব্লেন্ডার দিয়েও ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। চিনি ও জল একসঙ্গে ফুটিয়ে পাতলা একটা রস বানিয়ে নিন। থেঁতো করা পুদিনা পাতা এই রসে ফেলে একসঙ্গে ফুটিয়ে নিন। পুদিনার সুগন্ধ বেরলে আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। এবার তা ঠান্ডা হতে দিন। তা পুরোপুরি ঠান্ডা হলে ফ্রিজে রেখে একেবারে ঠান্ডা করে নিন। তারপর একটা গ্লাসে পুদিনা মিশ্রিত চিনির রস ঢালুন। তার সঙ্গে তরমুজের রস মেশানা। উপর থেকে অল্প সোডা মিশিয়ে দিন। বরফ কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। শরবতে উপর পুদিনা পাতা ফেলে তা সাজাতে পারেন।   

গোলাপ ঘোল
উপকরণ: ঘরে পাতা দই  কাপ, চিনি ৪ চামচ, রোজ সিরাপ ২চামচ, বরফ কুচি আন্দাজ মতো।
পদ্ধতি: ঘরে পাতা দইয়ের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে একসঙ্গে হ্যান্ড ব্লেন্ডার বা কাঁটা দিয়ে ফেটিয়ে মিশিয়ে নিন। খুব ভালোভাবে ফেটাবেন। দই একদম ক্রিমের মতো হয়ে যাবে এবং চিনি সম্পূর্ণ গলে যাবে। এবার এর সঙ্গে রোজ সিরাপ মিশিয়ে দিন। তাতে ঘোলে একটা হালকা গোলাপি রং ধরবে। এবার গ্লাসে প্রথমে বরফ কুচি ঢেলে দিন। তারপর দইয়ের শরবতটা ঢালুন। উপর থেকে গোলাপের পাপড়ি সাজিয়ে পরিবেশন করুন।  
4Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১১০.২৬ টাকা১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো৯১.৭১ টাকা৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা