হ য ব র ল

 রথের মেলার মজা
 
​​​​​​​

আজ রথযাত্রা। রথ মানে যেমন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মাসির বাড়ি যাত্রা, তেমনই পাঁপড়ভাজা আর পেঁয়াজি খাওয়ার মজা। তবে, মেলা ছাড়া আষাঢ়ের এই উৎসব পূর্ণতা পায় না। রথের মেলায় মজা করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার  পাথরপ্রতিমা ব্লকের সীতারামপুর জি-প্লট মিলন বিদ্যানিকেতন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।

এবারে যাব ইসকনের রথে
 ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি মায়াপুরের ইসকনে খুব বড় রথ হয়। দেশ-বিদেশের বহু ভক্ত এই রথে সমবেত হন। আমার খুব ইচ্ছা একবার ইসকনের রথ দেখব। বহুবার বাবা-মাকে বলেছি, কিন্তু বিভিন্ন কারণে আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এবারের রথ রবিবার পড়ায় বাবা-মা দু’জনেই এক কথায় রাজি হয়ে গিয়েছেন। মায়াপুর বেড়াতে যাচ্ছি জানার পর থেকে আমার আর আনন্দ ধরছে না। দীর্ঘদিনের ইচ্ছা যে এভাবে পূরণ হবে, ভাবতে পারিনি। মায়াপুরে গিয়ে কী কিনব তা একটা ডায়েরিতে লিখে নিয়েছি। রথ দেখার সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মানুষকে দেখব, সেটা ভেবেও খুব আনন্দ হচ্ছে।
—সঙ্গীতা জানা, অষ্টম শ্রেণি

হে জগন্নাথ, বৃষ্টি যেন হয়
 মা আমাকে একটুও বৃষ্টিতে ভিজতে দেয় না। আমার কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজতে দারুণ লাগে। এ বছর দক্ষিণবঙ্গে দেরিতে বর্ষা ঢুকেছে। আশা করি, রথের দিন ভালোই বৃষ্টি হবে। আমি ঠিক করেছি এ বছর বন্ধুদের সঙ্গে রথ দেখতে যাব— শুধু বৃষ্টিতে ভিজব বলে। এক নাগাড়ে ঝরে পড়া বৃষ্টির মাঝে রথের দড়িতে টান মারতে পারলে কী যে আনন্দ হবে, তা অন্য কাউকে বলে বোঝাতে পারব না। তাই আমার প্রার্থনা— হে প্রভু জগন্নাথ, আমি যখন বন্ধুদের সঙ্গে তোমাকে টেনে নিয়ে মাসির বাড়ির দিকে যাব, তখন তুমি আকাশ অন্ধকার করে বৃষ্টি এনো। বৃষ্টিতে না ভিজতে পারলে মজাটাই মাঠে মারা যাবে।
—অমৃতায়ন মণ্ডল, পঞ্চম শ্রেণি

ভিজতে ভিজতে চপ-পেঁয়াজি
 প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা বন্ধুরা মিলে ইন্দ্রপুর বাজারে রথ দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমরা বিকেলেই বেরিয়ে পড়ব বাড়ি থেকে। হেঁটেই যেতে হবে। রথের মেলায় লোকে লোকারণ্য, ধাক্কাধাক্কি, গুঁতোগুঁতি।  গত  বছর তো ভিড়ের জন্য দু’-একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তবুও রথের মেলায় খুব মজা লাগে। বাতাসা আর ফল লুটের সময়, কে যে কার উপর পড়ছে তার ঠিক নেই! ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনিতে  আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। দারুণ লাগে। রথের সময় বৃষ্টি হয়ই। তাই ভিজতে ভিজতে গরম গরম চপ-পেঁয়াজি আর জিলিপি খেতে খেতে  মেলায় ঘোরা সে এক অপার আনন্দ। এবার রথের মেলা থেকে চুড়ি কিনতেই হবে। আর প্রার্থনা করব, জয় জগন্নাথ— তুমি সবাই কে ভালো রেখ।
—মালতী খাটুয়া, দ্বাদশ শ্রেণি

আমাদের বন্ধুত্ব আর গাছ
 আমরা ক্লাস নাইনে পড়ি। আর একটা বছর পরে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়ে গেলে আমরা সব বন্ধুরা কে কোথায় ছিটকে যাব। তাই ঠিক করেছি এবার রথের মেলায় আমি ও আমার প্রিয় বন্ধু দুটো গাছ কিনব। সেই গাছগুলো আমাদের বন্ধুত্বের স্মৃতিচিহ্ন হয়ে বেঁচে থাকবে। আমরা দু’জনেই যত্ন করে গাছ দুটোকে বড় করে তুলব। মাস্টারমশাই বলেন, গাছই আমাদের প্রকৃত বন্ধু। আমরা দু’জনে খুব ভালো বন্ধু। তাই গাছকে প্রকৃত বন্ধুর মর্যাদা দিয়ে আমরা আমাদের বন্ধুত্বকে চিরস্থায়ী করে রাখতে চাই। এছাড়াও পরিবেশ দূষণ রোধে গাছের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই রথের মেলা থেকে গাছ কিনব বলে ঠিক করে রেখেছি।
—সায়নী দাস, নবম শ্রেণি

প্ল্যানটা বাতিল করতেই হল
 রথ দেখার জন্য আমাকে কোথাও যেতে হয় না। কারণ রথের মেলা বসে আমার বাড়ির পাশেই। প্রতি বছরই ভাই আর আমি মেলা দেখতে যাই। কিন্তু ওখানে গিয়ে ভাই এমন দুষ্টুমি করে যে, শেষে বাবা-মায়ের কাছে আমাকেই বকা খেতে হয়। তাই আগে থেকে প্ল্যান করে রেখেছিলাম, এবছর ভাইকে ছাড়া আমি একাই মেলায় যাব। কিন্তু যখন ভাবলাম, জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা তিন ভাই-বোন একসঙ্গে মাসির বাড়ি যেতে পারে, তাহলে আমিও কেন ভাইকে শুধু শুধু বাদ দেব। ও ছোট। আমি ওকে মেলায় না নিয়ে গেলে কষ্ট পাবে, কাঁদবে। তাই পুরনো প্ল্যান বাতিল। ওকে সঙ্গে নিয়েই মেলা দেখতে যাব আর খুব মজা করব। তবে, কীভাবে মেলায় ভাইকে সামলাব, সেই প্ল্যানটা এখন করছি।
—দেবস্মিতা দাস, নবম শ্রেণি

মেলা ঘিরেই আনন্দ
 মেলা ছাড়া যেন রথ পূর্ণতা পায় না। রথের মেলায় কত আনন্দ, মজা করি। মেলায় গেলেই গরম জিলিপি খাই। পাঁপড় ভাজা আর পিঁয়াজিও আমার খুব প্রিয়। আমরা বন্ধুরা মিলে মেলায় যাই। ওখানে প্রচুর আনন্দ করি। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। আবার সাতদিন পর উল্টো রথে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে মাসির বাড়ি থেকে রথ বাড়ি ফেরে। উল্টো রথের দিনও মেলায় যাই। এবারও তার কোনও ব্যতিক্রম হবে না। ইতিমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে সমস্ত পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে।
—সোহম মণ্ডল, ষষ্ঠ শ্রেণি
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৩ টাকা৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.০৬ টাকা১১১.৮৬ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা