রাজ্য

জমজমাট কার্নিভাল আবারও প্রমাণ করল উৎসবের বাংলা আজও অনন্য

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘আশ্বিনের মাঝামাঝি, উঠিল বাজনা বাজি/ পূজার সময় এল কাছে/ মধু বিধু দুই ভাই, ছুটাছুটি করে তাই/ আনন্দে দু’হাত তুলি নাচে।’ শারদোৎসবের সর্বজনীন সত্ত্বাকে এভাবেই ‘পূজার সাজ’ কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন কবিগুরু। উৎসবের এই বাংলা যে আজও অনন্য, আরেকবার তার প্রমাণ রাখল মঙ্গলবারের দুর্গা কার্নিভাল। অনবদ্য শিল্প সুষমায় সজ্জিত মাতৃমূর্তির শোভাযাত্রা, ঢাকের বাদ্য, ধুপধুনোর উপাচার আর প্রত্যেক পুজো কমিটির পৃথক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান—টানা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখল দেশ-বিদেশের হাজার হাজার দর্শনার্থীকে। সেই সঙ্গে বিসর্জনের মন খারাপের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ল আগামী বছরের পুজোর আবাহনী সুর।
রাজ্য সরকার আয়োজিত এই কার্নিভাল ঘিরে গত কয়েকদিনে তর্ক-বিতর্ক-সমালোচনা কম হয়নি। আর জি কর আন্দোলনের আবহে নির্বিঘ্নে কার্নিভাল আয়োজন নিয়েও কোনও কোনও মহলে সংশয় তৈরি হয়েছিল। এমনকী, এদিন অনুষ্ঠানের সময় যত এগিয়েছে, আশঙ্কার মেঘ তত ঘনীভূত হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের সুদক্ষ বন্দোবস্ত ও হাজার হাজার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে শেষ পর্যন্ত কার্নিভালের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণই থেকেছে। 
এদিন মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৪টেতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য তার আগেই, ৪টে নাগাদ চলে আসনে অনুষ্ঠান মঞ্চে। রেড রোডে হেঁটে হেঁটে দর্শকদের সঙ্গে তিনি বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। অনুষ্ঠান শুরু হয় নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সংস্থার অনুষ্ঠান দিয়ে। কার্নিভালের পরবর্তী পর্যায় কীভাবে এগবে, তার আঁচ পাওয়া গেল বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘকে দিয়ে। তারাই ছিল এদিনের কার্নিভালের অংশগ্রহণকারী প্রথম পুজো। তাদের পুজোর এবারের থিম ‘উৎসবের চালচিত্রে’। সেখানে তারা তুলে ধরেছিল দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থান, উপার্জন, শিল্প, সংস্কৃতির অটুট মিশ্রণের সমাহারকে। শুরুতেই এই বার্তা দিয়ে এগিয়ে গেল আষাঢ় সঙ্ঘের প্রতিমা।  এরপর সময় যত গড়িয়েছে, কার্নিভালও যেন ততই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। একের পর এক প্রতিমা দর্শন, নাচ-গান সহ নানা সাংস্কৃকি অনুষ্ঠান, এমনকী কুমারী পুজোর অনুষঙ্গও ধরা দিল এদিনের অনুষ্ঠানে। এক ঝাঁক কচিকাঁচার হইচই আর নাচ-গান বর্ণময় করে তুলেছে সার্বিক আবহকে। আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী সেই কচিকাঁচাদের হাতে হাতে চকোলেট দিলেন। কার্নিভালের পুরো সময়টাই মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠান মঞ্চেই উপস্থিত ছিলেন। 
উত্তর থেকে দক্ষিণ—কলকাতার প্রায় ৯০টি পুজো কমিটি এদিন কার্নিভালে শামিল হয়। দুর্গাপুজোর বিশ্বজনীন আবেদন ধরা দিল সুরুচি সঙ্ঘের উপস্থাপনায়। তাদের প্রতিমার সঙ্গে যে সাংস্কৃতিক আয়োজন ছিল, তাতে নাচতে দেখা গেল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারীদের। তাও তাঁরা নাচলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা একটি হৃদয়স্পর্শী বাংলা গানে। ‘ও গঙ্গা তুমি বইছো কেন’ গানে নাচলেন চেতলা অগ্রণী পুজোর প্রাণপুরুষ তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। শ্রীভূমির উপস্থাপনায় নাচলেন অভিনেত্রী-বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সঙ্গ দিলেন 
মন্ত্রী সুজিত বসুও। এমনকী, হিন্দুস্থান ক্লাবের উপস্থাপনায় নাচের তালে ছন্দ মেলাতে দেখা গেল মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে।কার্নিভালে অংশ নিলেন নমিতা বিশ্বাস। ঠাকুরনগরের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা তথা ঝিনুকের গয়নাশিল্পী নমিতাদেবীকে দেখা গেল  রামমোহন সম্মিলনীর পুজোর উপস্থাপনায় কুণাল ঘোষের সঙ্গে। নমিতার কাজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ময়ূর পেখমের একটি পাখাও দেন তিনি। চলচ্চিত্র জগতের তারকা সমাবেশ ছিল এবারও ছিল নজরকাড়া। ছিলেন ক্রীড়া জগত, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী মহলের বহু বিশিষ্টজন। 
10h 10m ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিদ্যা শিক্ষা ও কাজকর্মে দিনটি শুভ। বন্ধুসঙ্গে বিপদ হতে পারে। অধ্যাপনায় অগ্রগতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৪ টাকা৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড১০৭.৮৯ টাকা১১১.৮৫ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা