রাজ্য

বললেই ফাঁসিতে ঝোলানো যায় না, তদন্ত ঠিক পথেই চলছে, ডাক্তারদের ‘দাবি’তে ক্ষুব্ধ সিবিআই

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জাস্টিস চাই। সেটাও এখনই। আন্দোলনকারীদের এহেন দাবির চাপ যত বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সিবিআইয়ের ক্ষোভ এবং অসন্তোষ। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টও বলেছিল, বিচার ব্যবস্থা কোনও জাদুদণ্ড নয়। চাইলেই কাউকে ফাঁসিতে ঝোলানো যায় না। অথচ, এরপরও তদন্তের প্রতি আন্দোলনকারীদের এতটুকু আস্থা দেখা যাচ্ছে না। তারই প্রভাব পড়ছে সিবিআইয়ের উপর। কেন চার্জশিটে শুধু সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের নাম? কেন অন্য কারও নাম নেই? এই প্রশ্ন তুলে এখন বিচারের মঞ্চ তোলপাড় করা হচ্ছে। সিবিআইয়ের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করতে তৎপরতা বেড়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। যেমন, সোমবার তাঁরা রাজভবন অভিযান করেছেন এবং রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দিয়ে এসেছেন। প্রশ্ন তুললেন সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে। এই গোটা প্রক্রিয়ায় ক্ষিপ্ত সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত এক সিনিয়র অফিসার রীতিমতো ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘আমরা জানি তদন্ত কীভাবে করতে হয়। চাপ দিলেই চার্জশিটে কারও নাম ঢোকানো যায় না। কাউকে ফাঁসিতে ঝোলানোও যায় না।’ 
চার্জশিটে সিবিআই ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, খুন ও ধর্ষণ এখনও পর্যন্ত সঞ্জয়ের নামই পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্ত সিভিকের বিরুদ্ধে কী কী তথ্যপ্রমাণ মিলেছে এবং কারা কারা ঘটনা নিয়ে বয়ান দিয়েছেন, সেটাও স্পষ্ট উল্লেখ করেছে তারা। সিবিআই জানিয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে। এখানে তৃতীয় কোনও পক্ষের চাপ মানতে নারাজ তারা। তদন্তকারী ওই সিনিয়র অফিসার বলেন, ‘ডাক্তারিটা আমরা বুঝি না। তাই সে ব্যাপারে এক্সপার্ট কমেন্ট করি না। আশা করব, ওঁরাও আমাদের তদন্তের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞের মতামত দেবেন না। কারণ, এই বিষয়টা আমরা বুঝি। প্রমাণ ছাড়া আমরা কারও বিরুদ্ধে এক পাও এগব না।’
সিবিআই অবশ্য এখনও ষড়যন্ত্র ও প্ররোচনার বিষয় নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। নজরে রয়েছে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের বিষয়টিও। তবে ষড়যন্ত্র হয়েছে, সে কথা বুঝলেই হবে না। এর জন্য নিখুঁত তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে হবে। ধর্ষণ-খুনে কারও জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ মিললেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন সেই অফিসার। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে টালা থানার তৎকালীন ওসি ও প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। তারপরও তাঁরা বলছেন না যে, তদন্ত শেষ। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কবে শেষ হবে তদন্ত? এখন পর্যন্ত অগ্রগতিই বা কী হয়েছে? আন্দোলনের চাপ তাঁদের কতটা প্রভাবিত করছে? তদন্তের সঙ্গে জড়িত এক পদস্থ কর্তার বক্তব্য, ‘যে কোনও বড় ঘটনায় একাধিক সন্দেহভাজনের নাম উঠে আসে। যে বা যাঁরা এগুলি পাঠান, তাঁদের নিজেদের স্বার্থ থাকে। আর জি কর কাণ্ডেও বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু নাম এসেছে। খোঁজ করে দেখেছি, ঘটনায় কোনও ভূমিকাই নেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের! ডাক্তারদের কথায় ধরপাকড় করলে আদালতে আমাদেরই মুখ পুড়বে। কারণ, প্রমাণ করার দায়টা তদন্তকারী সংস্থার।’ তাই সিবিআই স্পষ্ট বলছে, প্রমাণ যেমন হাতে আসবে, সেইমতোই এগবে তারা। সিবিআইয়ের ওই পদস্থ কর্তা আরও বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তাররা এই চার্জশিটকে দুর্বল বলে দেগে দিন না কেন, তাঁরা কি জানেন কী কী তথ্যপ্রমাণ ও ফরেন্সিক রিপোর্ট চার্জশিটে রয়েছে? সিবিআই ওঁদের কারও কাছে তদন্ত শিখবে না।’
1d ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিদ্যা শিক্ষা ও কাজকর্মে দিনটি শুভ। বন্ধুসঙ্গে বিপদ হতে পারে। অধ্যাপনায় অগ্রগতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৪ টাকা৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড১০৭.৮৯ টাকা১১১.৮৫ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা