কলকাতা

ধোপে টিকল না রাজ্যের বিরুদ্ধে ডাক্তারদের অভিযোগ, টাস্ক ফোর্স একমাসে কী করল! কেন্দ্রকে তোপ সুপ্রিম কোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আর জি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তড়িঘড়ি গঠিত হয়েছিল ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স (এনটিএফ)। গোটা দেশে ডাক্তারদের নিরাপত্তা পরিকাঠামো ঢেলে সাজার লক্ষ্যে তাদের কাজ করার কথা। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সেই নির্দেশ পালন করেছে বটে, কিন্তু কাজের গতি অত্যন্ত শ্লথ। টাস্ক ফোর্স শেষবার বৈঠকে বসেছে একমাস আগে। একথা জানতে পেরেই মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের তোপের মুখে পড়ল কেন্দ্র। ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তুললেন, ‘মূল কমিটির পাশাপাশি চারটি সাব কমিটি তৈরি হয়েছে। অথচ গত ৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে এনটিএফ কোনও বৈঠকই করেনি? একমাসের বেশি সময় কী করেছে এনটিএফ? কেন কাজের অগ্রগতি নেই?’
সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে আমতা আমতা করতে থাকেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বলেন, ‘আসলে ৭ হাজার ৮৮০টি সাজেশন জমা পড়েছে এনটিএফে। সেগুলি দেখতেই সময় যাচ্ছে।’ সেই যুক্তি তেমন কর্ণপাত করেনি শীর্ষ আদালত। শুনানির পর্যবেক্ষণে সাফ জানানো হয়, ‘এনটিএফের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন’। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে এনটিএফ-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে দীপাবলির পর।
এদিনও আদালতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন আন্দোলনকারী ডাক্তারদের একাংশের আইনজীবী। অভিযোগ করেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে উল্লেখযোগ্য‌ কোনও কাজ হয়নি। যদিও সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাজ্য ছবি সহ তথ্য দিয়েছে। ফলে শুধু শুধু অভিযোগ করলেই তো হল না। রাজ্য সরকার ১২৩ কোটি টাকা খরচ করে ২৮টি মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা পরিকাঠামা মজবুত করেছে।’ রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আদালতে জানান, অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কাজ প্রায় শেষ। শুধু আর জি করে দেরি হচ্ছে। সিবিআই ৯ এবং ১৪ অক্টোবর অনুমতি দিয়েছে। ৩১ তারিখের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।
সিবিআইও এদিন স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করেছে সুপ্রিম কোর্টে। তা খতিয়ে দেখে প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, ‘তদন্ত চলবে। ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পাশাপাশি আর্থিক অনিয়মেরও তদন্ত চলছে। সঞ্জয় রায় ছাড়া আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা দেখছে সিবিআই।’ আর জি কর কাণ্ডের পর রাজ্য সরকারও মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালগুলিতে ১ হাজার ৫১৪ জন বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ডাক্তারদের আইনজীবী করুণা নন্দী। প্রধান বিচারপতিও জানতে চান, কীভাবে এই নিয়োগ হচ্ছে? রাজ্য জানায়, ২০০৫ সালের কেন্দ্রীয় আইন মোতাবেকই নিয়োগ হয়েছে। যদিও এর আগে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। তখনই প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন, ‘কোন যোগ্যতায়, কীভাবে ওই সিভিক নিয়োগ হয়েছিল?’ শীর্ষ আদালত জানায়, যেহেতু মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার, তাই কোনও হাসপাতাল, স্কুলে যেন তাদের ডিউটি না দেওয়া হয়। ডাক্তারদের আন্দোলন, অনশন, ছাত্র সংসদের নির্বাচন ইস্যুতে অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেনি। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, প্রয়োজন মনে করলে হাইকোর্টে যান। 
10h 10m ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিদ্যা শিক্ষা ও কাজকর্মে দিনটি শুভ। বন্ধুসঙ্গে বিপদ হতে পারে। অধ্যাপনায় অগ্রগতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৪ টাকা৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড১০৭.৮৯ টাকা১১১.৮৫ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা