শরীর ও স্বাস্থ্য

কখন করাবেন রুট ক্যানাল এবং ডেন্টাল ফিলিং?

পরামর্শে ডেন্টাল সার্জেন ডাঃ রাজু বিশ্বাস।

আমাদের যে দাঁত তার একেবারের উপরের স্তরে থাকে এনামেল। তার পরে ডেন্টিন। ডেন্টিনের ভিতরে থাকে পাল্প। পাল্প-এ থাকে স্নায়ুর শেষপ্রান্ত, রক্তজালিকা ইত্যাদি। দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের ব্যবহার, খাওয়াদাওয়া ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা অ্যাসিড উত্পাীদনের কারণে দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। ডেন্টিনের ক্ষয় শুরু হয়। এই সময় থেকেই ডেন্টিনে শিরশিরানি ভাব দেখা দিতে থাকে। 
ফিলিং: ডেন্টিনে ক্ষয় বা কেরিজ দেখা দেওয়া ও শিরশিরানি ভাব তৈরি হওয়ার পর্যায়েই কেউ দন্তরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গেলে চিকিত্সশক দাঁতের ফিলিং করে দেন। তাতে নতুন করে দাঁতের ক্ষতি হওয়া বন্ধ হয়। তবে ফিলিং করার আগে ভালোভাবে সংক্রমণযুক্ত অংশ পরিষ্কার করা হয়। প্রশ্ন হল ফিলিং কী? দাঁতে কেরিজ হলে সেখানে ক্ষয় দেখা দেয়। ওই ক্ষয় পূরণে কিছু উপাদান দিয়ে ক্ষয়ের অংশটি ভরাট করা হয়। তাতে দীর্ঘদিন দাঁতে আর নতুন করে ক্ষয় দেখা দেয় না।
বিভিন্ন ধরনের উপাদান আছে ফিলিং-এর। আগে সিলভার অ্যামালগাম ব্যবহৃত হতো। এখন গ্লাস আয়েনোমার ব্যবহার করা হয়। আছে লাইট কিওর কম্পোজিট মেটেরিয়াল। উপাদানগুলি দাঁতের সঙ্গে কেমিক্যাল বন্ডিং তৈরি করে। স্থায়িত্বও হয় অনেক বেশি। রোগী খাবার চিবিয়ে খেতে পারেন। তবে তিন থেকে পাঁচ বছর পরে একবার করে চেকআপ করালে ভালো হয়। তবে দাঁত শিরশির করছে এমন পর্যায়ে রোগী যদি ডেন্টিস্ট-এর কাছে না যান, তাহলে ধীরে ধীরে দাঁতে ক্ষয়ের মাত্রা বাড়তে থাকবে। একসময় পাল্প উন্মুক্ত হয়ে যাবে। পাল্প উন্মুক্ত হলেই শুরু হবে ব্যথা। ঠান্ডা বা গরম জল খেলেই শুরু হবে শিরশিরানি ও প্রবল দাঁতে যন্ত্রণা।
এই সময়েই যদি ডেন্টিস্ট বা দন্তরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া হয় তাহলে ডেন্টিস্ট এক্স-রে করে দেখবেন, পাল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না বা নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না। সেই বুঝে করা হয় ফিলিং। তবে নার্ভ যদি ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়, উন্মুক্ত হয়ে থাকে ও তার সঙ্গে থাকে সংক্রমণ তাহলে আর ফিলিং করে লাভ হয় না। উল্টে তাতে বিপদ বাড়ে। নার্ভের উপর চাপ পড়ার কারণে শুরু হবে অসহ্য ব্যথা। তখন সেই পর্যায়ে দাঁতটিকে বাঁচানোর একমাত্র পদ্ধতিটি হল রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট।
রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট: কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা যায় রোগী কেরিজকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন যে ফিলিং করার মতো পরিস্থিতি আর নেই। তখন রোগী দাঁতটি বাঁচাতে চাইলে রুট ক্যানেলের পদ্ধতিই হল সেরা।
এক্ষেত্রে রুট ক্যানেলের মাধ্যমে ডেন্টিনের নীচে যে পাল্প ও পচে যাওয়া কোষ- কলা থাকে তা বের করে আনা হয়। এরপর দাঁতকে সংক্রমণ মুক্ত করা হয়।  দাঁতের ক্যানেল বন্ধ করা হয় গাটা পার্চা দিয়ে।
এরপর করা হয় ফিলিং। এরপর দাঁতের উপর বসানো হয় ক্রাউন। ক্রাউন হতে পারে ধাতুর, সেরামিকের কিংবা সেরামিক, পোর্সেলিন উপাদানের। রোগী এই দাঁত দিয়ে সবকিছুই চিবিয়ে খেতে পারেন। তবে বছরে একবার অবশ্যই ডেন্টিস্ট-এর পরামর্শ নিতে হবে। তিনি পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন রুট ক্যানেল করা দাঁতে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে কি না বা নতুন করে অন্য দাঁতে জটিলতা দেখা দিয়েছে কি না।
লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক
2d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিদ্যা শিক্ষা ও কাজকর্মে দিনটি শুভ। বন্ধুসঙ্গে বিপদ হতে পারে। অধ্যাপনায় অগ্রগতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৪ টাকা৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড১০৭.৮৯ টাকা১১১.৮৫ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা