রাজ্য

পুজোর আগেই অভয়া কাণ্ডের চার্জশিট পেশ?

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: ধর্ষণ, হত্যা, সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট এবং দুর্নীতি। আর জি কর কাণ্ডে প্রধানত এই চারটি অ্যাঙ্গেল ধরে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। এবং এত রকম ‘তথ্য’ সিবিআই সূত্র মারফত বাজারজাত হয়ে রয়েছে যে, প্রত্যেক ক্ষেত্রের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণই এখন তদন্তকারী অফিসারদের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ। তাই আপাতত ধর্ষণ-খুনের চার্জশিট শিয়ালদহ আদালতে পেশ করে মুখরক্ষায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা। কেন? কারণ তাঁরা জানেন, এই একটি অ্যাঙ্গেল নিয়ে অন্তত বিশেষ সংশয়ের অবকাশ আর নেই। আর সেই জন্যই পুজোর আগে ধর্ষণ-খুনের চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে দিল্লি থেকে। আর জি কর অথবা স্বাস্থ্যদপ্তরের দুর্নীতির তদন্ত চলবে। আরও বহু জেরা-জিজ্ঞাসাবাদও হবে। কিন্তু ধর্ষণ-খুনে আর টালবাহানা চলবে না। তার উপর রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাহলে কি ৩০ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে ধর্ষণ-খুনের ফাইনাল স্টেটাস রিপোর্ট সিলবন্ধ খামে জমা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? 
ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত তারা পায়নি। অর্থাৎ প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয়ই তাদের মতে অপরাধী। সেই লক্ষ্যেই নির্যাতিতার মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শুনানি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রুত শুরু করতে চাইছে তারা। গত ৪০ বছর ধরে বহু স্পর্শকাতর মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত ও চার্জশিটের ভিত্তিতে আদালতে শাস্তিদানের রেকর্ড রীতিমতো খারাপ। তারা বিলক্ষণ জানে, আর জি কর মামলা তাদের মুখরক্ষা করতে পারে। কারণ, অন্তত এই ক্ষেত্রে তাদের কাছে সুযোগ রয়েছে দেখানোর যে, মূল অপরাধের কিনারা সিবিআই দ্রুত করে ফেলেছে। সিবিআই দপ্তর তথা কেন্দ্রীয় শীর্ষ কর্তারা সেই অঙ্কেই লড়ে চলেছেন। যদিও ধর্ষণ-খুনে সঞ্জয় ছাড়া দ্বিতীয় কারও নাম চার্জশিটে না থাকলে কলকাতা পুলিসের তদন্তের নিরিখে কৃতিত্ব অনেকটাই যাবে। কারণ, সঞ্জয়কে সিবিআই গ্রেপ্তার করেনি। সেটা কলকাতা পুলিস করেছিল ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। সেই কারণেই সিবিআই এই ধর্ষণ-খুন মামলার চার্জশিটে ঘটনার বিবরণ, সন্দেহভাজনের ভূমিকার বিস্তারিত তথ্যের পাশাপাশি বেশি মাত্রায় উল্লেখ করবে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের। ওই অংশের জন্য কে বা কারা দায়ী, সেই তালিকা তৈরিতে দেরি হচ্ছে। কারণ, প্রতিটি অভিযোগের সপক্ষে এভিডেন্স অথবা সাক্ষী খাড়া করতে হবে। ন্যায় সংহিতার ৬৩ নং ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের অপরাধের তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দিতে হয় চার্জশিট। ৬৬ ধারা রুজু করা হয় ধর্ষণ এবং তার জেরে নির্যাতিতার মৃত্যু হলে। আর জি কর কাণ্ডে ধর্ষণের পাশাপাশি নির্যাতিতাকে হত্যাও করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাই হত্যার মামলাও রুজু হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৩ ধারায় মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন সাজা হয়। আর সেই কারণেই ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় চার্জশিট দেওয়ার সময়সীমা ৯০ দিন। এবার যত দেরি হবে, ততই চাপ বাড়বে সিবিআইয়ের উপর। কারণ, এখন আর কলকাতা পুলিস নিশানায় নেই। নাগরিকদের নজরে সিবিআই এবং সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্স।
15h 15m ago
পুজো ২০২৪
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৭৮ টাকা৮৪.৫২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৯৪ টাকা১১৩.৫২ টাকা
ইউরো৯১.৪৬ টাকা৯৪.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা