রাজ্য

স্বাস্থ্য ভবন অবস্থানে খরচ ৫০ লক্ষ!  বিপুল খরচে বিস্মিত পুলিস

নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: দিনভর হুল্লোড়। গিটার, ঢাকের তালে তালে শাসকবিরোধী স্লোগান। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে প্যারোডি গান। সঙ্গে এলাহি খাওয়া-দাওয়া। বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, মিক্সড ফ্রায়েড রাইস থেকে ফ্রুট জুস, ড্রাই ফ্রুটস, শেষপাতে মিষ্টিও। শোওয়ার জন্য বিছানা। মাথার উপর বাঁশ-ত্রিপলের প্যান্ডেল। গরমের হাত থেকে বাঁচতে বড় বড় স্ট্যান্ড ফ্যান। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য বড় জেনারেটর। না, কোনও পিকনিক নয়, এ দৃশ্য স্বাস্থ্য ভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করে চলা জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভের। টানা ১১ দিনের সেই আন্দোলনে খরচের তথ্য আসতে শুরু করেছে পুলিসের কাছে। তা দেখেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। পুলিস ও ডেকরেটর্স সূত্রের খবর, এই ১১ দিনে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা! আন্দোলনকারীরা ‘উৎসবে না’ স্লোগান দিলেও তাঁদের অবস্থানের খরচ বিগ বাজেটের পুজোকেও হার মানিয়ে দিয়েছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল এই অবস্থান বিক্ষোভ। চলেছে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা তো বটেই, ওই আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন কয়েকশো সাধারণ মানুষ। ১১ দিন ধরে সবার খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বহু মানুষ কেজি কেজি ড্রাই ফ্রুটস, ফ্রুট জুস, কেক, বিস্কুট এবং কয়েক হাজার টাকার জল দিয়েছেন। তবে, খাবার বেড়ে যাওয়ায় মিক্সড ফ্রায়েড রাইস ভর্তি প্যাকেট রাস্তায় গড়াগড়ি খেতেও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, প্রাতরাশ, দুপুরের খাবার, সন্ধ্যার টিফিন, রাতের খাবার মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ লক্ষ টাকার উপরে খরচ হয়েছে। আর সেসবের বেশিরভাগই মানুষের অনুদানে।
পুলিস ও ডেকরেটর্স সূত্রে জানা গিয়েছে, ত্রিপলের ছাউনি, মঞ্চ বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। দু’টি বড় জেনারেটরের ভাড়া দিন প্রতি ৬-৭ হাজার। অর্থাৎ, দিনে মোট ১৪ হাজার টাকা। ১১ দিনে ভাড়া মেটাতে হয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা। এই বড় জেনারেটরে প্রতি ঘণ্টায় ৯-১০ লিটার তেল লাগে। অর্থাৎ, দু’টি জেনারেটরে প্রায় ২০ লিটার। সেই তেলের দাম ১ হাজার ৮২০ টাকা। সারা দিনে গড়ে ১৫ ঘণ্টা চললেও দিন প্রতি তেল খরচ ২৭ হাজার ৩০০ টাকা। ১১ দিনে প্রায় ৩ লক্ষ ৩০০ টাকা। এছাড়া ছিল চারটি মাঝারি জেনারেটর। সেগুলির ভাড়া দিন প্রতি ৩-৪ হাজার। অর্থাৎ, মোট ১৬ হাজার টাকা। ১১ দিনে ভাড়া বাবদই গিয়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। এই জেনারেটরগুলিতে তেল খরচ প্রতি ঘণ্টায় ৫-৬ লিটার। অর্থাৎ, চারটির জন্য মোট ২৪ লিটার। প্রতি ঘণ্টায় ২ হাজার ১৮৪ টাকা। গড়ে ১৫ ঘণ্টা চললে খরচ ৩২ হাজার ৭৬০ টাকা। ১১ দিনে প্রায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৩৬০ টাকা।
৫০টিরও বেশি বড় স্ট্যান্ড ফ্যানের প্রতিদিন ভাড়া প্রায় ১০ হাজার টাকা। ১১ দিনের বিল ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। একটি বায়ো-টয়লেটের একদিনের খরচ ২-৩ হাজার টাকা। ২০টির ভাড়া প্রতিদিন ৬০ হাজার। ১১ দিনে এই খাতেও গিয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এছাড়াও রয়েছে মালপত্র নিয়ে আসা-যাওয়ার খরচ। সেই গাড়ি বাবদ দিতে হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। অভয়া ক্লিনিকের প্যান্ডেলের জন্য প্রতিদিন ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই রাহা খরচ মেটাতে শুধু নিউটাউনের আবাসিকরাই প্রায় ৭ লক্ষ টাকা দান করেছেন।
এপ্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, ডেকরেটর্স সহ অন্যান্য খাতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। বহু সহৃদয় মানুষ আর্থিক সহায়তা করেছেন। একটি তহবিলও তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে মামলার খরচ চলছে। কিছু খাবারের দামও মেটানো হয়েছে।
1d ago
পুজো ২০২৪
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

সামাজিক কল্যাণ কর্মে সাফল্য ও জনখ্যাতি। বাতজ সমস্যায় বিব্রত হতে পারেন। কাজ কারবারে শুভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৭৮ টাকা৮৪.৫২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৯৪ টাকা১১৩.৫২ টাকা
ইউরো৯১.৪৬ টাকা৯৪.৬৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা