রাজ্য

ইমার্জেন্সি বন্ধ রেখে আন্দোলন সমর্থন করেন না ৮২ শতাংশ রোগীর পরিজন

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাসপাতালে বা স্বাস্থ্যদপ্তরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা কি তাহলে এরপর থেকে হওয়া উচিত ইমার্জেন্সি সহ সমস্ত পরিষেবা বন্ধ? সম্প্রতি জুনিয়র ডাক্তারদের একরোখা আন্দোলনে যেহেতু কিছু ফল মিলেছে, তাতে কি তাঁদের কাজ বন্ধের উৎসাহ বেড়ে গেল? অর্থাৎ এরপর থেকে প্রতিবাদের চেহারা কি এমনই হতে চলেছে? এর উত্তরে বেরিয়ে এসেছে একটিই শব্দ, ‘নাহ!’‌ একথা একবাক্যে বলছেন দূর-দূরান্ত থেকে হাসপাতালে আসা রোগীর বাড়ির লোকজন। তাঁদের সাফ কথা, অভয়ার ঘটনা ভয়াবহ, নৃশংস। কিন্তু তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মানুষকে চরম বিপদের মধ্যে ফেলে দেওয়াও এক অমানবিক প্রক্রিয়া। ৮২ শতাংশ মানুষ ইমার্জেন্সি বন্ধ রেখে আন্দোলনের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করেছেন।
সিংহভাগ রোগীর বাড়ির লোকজন বললেন, সরকারি হাসপাতাল গরিব, নিম্নবিত্ত লক্ষ লক্ষ মানুষের একমাত্র ভরসা। আদর্শ প্রতিবাদ হতে পারত রিলে কর্মবিরতির মাধ্যমে। চিকিৎসকদের একাংশ কাজ করতেন, একটি অংশ কর্মবিরতিতে শামিল হতেন। ফের আর একদল কর্মবিরতি করতেন, আর একদল ইমার্জেন্সির মতো জরুরি পরিষেবা চালু রাখতেন। তাহলে সব শ্রেণির মানুষের কাছেই এই আন্দোলন এবং তার পদ্ধতি আরও গ্রহণযোগ্য ও সমর্থনযোগ্য হতো। 
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সির সামনে দাঁড়িয়ে সন্দেশখালি থেকে আসা শুভব্রত নস্কর বললেন, ‘মায়ের স্ট্রোক হয়েছে। ভর্তি আছেন। চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। ওঁরা যদি শুরু থেকেই রিলে কর্মবিরতিতে যেতেন, তাহলে জুনিয়রদের বিরুদ্ধে মানুষের এত ক্ষোভ জন্মাত না। মানুষেরও এত ভোগান্তি হতো না।’ ট্রমা সেন্টারের সামনে কথা হচ্ছিল পা‌ইকপাড়ার বিমল তারাং-এর সঙ্গে। বিমলবাবু বললেন, ‘বিশ্বকর্মা পুজোর দিন আমাদের বন্ধুর পথ দুর্ঘটনা হয়। মাথায় চোট লাগে। ট্রমা সেন্টারে নিয়ে আসি। চিকিৎসকরা আমাদের কাছে ভগবানতুল্য। ওঁদের ভরসাতেই তো আছি। ওদের কাছে আমাদের আবেদন, বেশ করেছেন আন্দোলন করছেন। কিন্তু এটাও তো মনে রাখবেন, আপনারা কাজ না করলে আমরা যাব কোথায়? প্রতিবাদ কখনও ইমার্জেন্সি পরিষেবা বন্ধ করে হতে পারে না।’
সদ্য সদ্য ইমার্জেন্সিতে কাজে যোগ দেওয়া অনুপম রায়ের সঙ্গে কথা হল ট্রমা সেন্টারের সামনে। তাঁর দাবি, ‘যদি এই ধাঁচে আমাদের আন্দোলন না হতো, তাহলে সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তারই হতো না। যতটুকু সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে পেরেছি, তার কণামাত্র বিচারও পেতাম না।’
আর জি কর কাণ্ডের জেরে আন্দোলনের পদ্ধতি কেমন হওয়া উচিত ছিল? সম্প্রতি বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে অপেক্ষমান রোগীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে একটি সমীক্ষা করেছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পরিসংখ্যানবিদ সুদীপ ঘোষ। বললেন, আমরা দেখেছি, ৭৯ শতাংশ মানুষেরই সায় আছে প্রতিবাদে। তবে রিলে পদ্ধতিতে প্রতিবাদ হোক, এমনটা মনে করছেন ৮২ শতাংশ মানুষই। 
আর জি কর হাসপাতালের বাইরে সিআইএসএফের প্রহরা।-নিজস্ব চিত্র
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অতিরিক্ত কর্মের চাপ গ্রহণ করে বেকায়দায় পড়তে পারেন। নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৬৮ টাকা৮৪.৪২ টাকা
পাউন্ড১০৯.৫৩ টাকা১১৩.১১ টাকা
ইউরো৯১.৭৫ টাকা৯৪.৯৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
21st     September,   2024
দিন পঞ্জিকা