শরীর ও স্বাস্থ্য

রহস্যময় মানব চরিত্র ও রোগব্যাধি

মানুষ চিকিৎসকের কাছে গেলে তাঁর চেহারা ও ব্যবহার খুঁটিয়ে লক্ষ্য করা অবশ্যকর্তব্য কেন? 
সাধারণভাবে কোনও মানুষ ডাক্তারের কাছে গেলে সাধারণত গোটা চেয়ারজুড়ে, হাতলের উপর হাত দিয়ে আরাম করে বসে। যে ব্যক্তি সব সময় উদ্বেগে ভোগেন, তাঁর বসার ধরনটাই আলাদা। তিনি বসেন চেয়ারের ধারে। দেখলে মনে হবে, বোধহয় খুব তাড়াহুড়োয় রয়েছেন। 
অবসাদগ্রস্ত কোনও ব্যক্তিকে দেখলে মনে হয়, অনেক কষ্ট করে বোধহয় চেয়ারে এসে বসেছেন। তাঁদের কেউ বসেন মাথা ঝুঁকিয়ে, কেউ বা আবার হাতের উপরে বা থুতনিতে মাথা রেখে বসেন। 
সন্দেহপ্রবণ ব্যক্তিরা ঘরে ঢোকার পর থেকেই চারদিকে নজর বোলাতে থাকেন। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার সময়েও তার ব্যতিক্রম হয় না। বিশেষ নজর থাকে দরজা ও জানলার দিকে। নিজেকে সবকিছু থেকে আড়াল করে রাখার প্রবণতাও তাঁদের মধ্যে দেখা যায়। কোনও কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা বোঝার চেষ্টা করেন, এর পিছনে কোনও গোপন কারণ নেই তো! 
পোশাক-পরিচ্ছদ
স্ক্রিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাঁদের চুল ঠিকমতো আঁচড়ানো নেই। জামাকাপড় অপরিচ্ছন্ন। বোতামগুলি হয়তো ঠিকমতো বন্ধ করা হয়নি। হাত-পা নোংরা। নখ বড় হলেও কাটেন না তাঁরা। যে সমস্ত রোগী অবসাদগ্রস্ত হন, তাঁরা নোংরা না হলেও পোশাক পরিচ্ছদ থাকে অবিন্যস্ত। কারণ, কোনও কাজের প্রতি তীব্র অনীহা থাকে এই ধরনের রোগীদের। অনেকেই ভোগেন মুড ডিসঅর্ডারে। এই ধরনের রোগীদের মধ্যে যাঁরা ম্যানিক হন, দেখলেই বুঝতে পারা যায়। কারণ স্থান-কাল-পাত্র ভেদে পোশাক পরিচ্ছদ যে আলাদাভাবে পরতে হয়, সেই উপলব্ধিই থাকে না এঁদের। হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গেলেও হাজির হন চড়া মেকআপে, বেনারসী শাড়ি পরে। কারণ, এই ধরনের রোগীদের মন সব সময় উৎফুল্ল থাকে। মুড ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীদের কেউ কেউ আবার থাকেন ডিপ্রেসিভ। দেখলে মনে হয়, বিশ্বের সমস্ত কিছুর বোঝা তাঁদের উপরেই চাপানো হয়েছে। কোনও পরিস্থিতিতেই সুখী ভাবে থাকতে পারেন না তাঁরা।
স্বভাব চরিত্র বিচার-১
কীভাবে রোগীরা ডাক্তারদের কাছে আসেন, তা থেকেও রোগীর অতীত সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। তাঁর কী পছন্দ, সমাজের কোন স্তরে তাঁদের ওঠাবসা—সেই সম্পর্কেও অনেকটা ধারণা পাওয়া যায়। কিছু মানুষ থাকেন অত্যন্ত আত্মসচেতন। লোকে কী বলবে, তা নিয়েই ভাবতে ব্যস্ত থাকেন এই ধরনের মানুষরা। এঁরা প্রকৃতিগতভাবে অত্যন্ত লাজুক হন। যাঁরা নিজেদের প্রত্যাখ্যাত বলে মনে করেন, তাঁরা সবকিছু থেকে নিজেদের আড়াল করতে চান। কিছু মানুষ সব সময় বিব্রত বোধ করেন, তাঁরা অন্যদের থেকে নিজেকে আড়াল রাখতে মানুষজনকে বিশেষ পাত্তা দেন না। ধারেকাছে ঘেঁষতেও দেন না। আবার কেউ কেউ থাকেন একটু অন্য প্রকৃতির। সবসময় দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন তাঁরা। যদি বুঝতে পারেন, কোথাও তাঁরা মধ্যমণি হতে পারবেন না, সে সমস্ত জায়গা এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন এই ধরনের মানুষরা। এছাড়াও আছেন অবসেসিভ কম্পালসিভ পার্সোনালিটির মানুষজন। তাঁদের কেউ হাত ধুতে থাকেন বারংবার, কেউ আবার কোনও কিছু একাধিকবার খুঁটিয়ে দেখেও মনে শান্তি পান না। এই ধরনের মানুষরা চিকিৎসার জন্য সাধারণত ডাক্তারের দ্বারস্থ হন না। কম্পালসিভ পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে ভোগা মানুষরা অত্যন্ত পার্ফেকশনিস্ট হন। অগোছালো কোনও কিছু দেখলেই তাঁরা অত্যন্ত বিরক্ত হন।
স্বভাব-চরিত্র বিচার ২ 
রোগীদের শরীরী ভাষা পড়েও চিকিৎসকরা রোগীদের সম্পর্কে অনেক কিছু বুঝতে পারেন। ম্যানিয়েক প্রকৃতির মানুষদের কথা বলার প্রচণ্ড তাড়া থাকে। কেউ কেউ তাঁদের বাচালও ভাবেন। মাত্র দু-তিন ঘণ্টা ঘুমোলেও বিন্দুমাত্র ক্লান্তিভাব আসে না তাঁদের মধ্যে। ডোপামিন সিক্রিয়েশনের ফলে সারা দিনই তাঁরা কোনও না কোনও কাজ করতে থাকেন। এর ঠিক বিপরীত মেরুতে থাকেন অবসাদগ্রস্তরা। তাঁরা কথা বলেন ছোট ছোট বাক্যে। বেশিরভাগ উত্তরই তাঁরা দেন ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’তে। ঘুমের সমস্যাতেও ভোগেন তাঁরা। কারও হয়তো ঘুম আসতে দেরি হয়। কারও আবার ভোরে ঘুম ভাঙলে সহজে আর ঘুম আসে না। উপসর্গ শুনলেই বোঝা যায়, মানুষটি অবসাদে ভুগছেন।
লিখেছেন সুদীপ্ত রায়চৌধুরী
7Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা