শরীর ও স্বাস্থ্য

দীপাবলি: আনন্দ করুন সতর্ক হয়ে

কিছুদিন পরই দীপাবলি। আলোর রোশনাইয়ে সাজবে চারিদিক। জ্বলবে হরেকরকমের আলো-প্রদীপ। পুড়বে রংবেরং-এর আলোর বাজি। অনেকসময়ই আলোর এই উৎসবে ঘনিয়ে আসে বিপদের কালো মেঘ। এক্ষেত্রে একটু সাবধান থাকলেই কোনও দুর্ঘটনা ঘটবে না। উৎসবের রাত হয়ে উঠবে চিরস্মরণীয়। সাবধানে দীপাবলি পালনের উপায় জানালেন বিশেষজ্ঞরা।

অমূল্য চোখদুটি বাঁচাতে কী করবেন?
বাজি ছাড়া দীপাবলি অসম্পূর্ণ। তবে এই বাজি পোড়াতে গিয়ে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয় আমাদের চোখের। অনেক সময় আচমকা বাজির স্ফুলিঙ্গ এসে চোখে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের ড্যামেজ হয়। এমনকী দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো অবস্থাও হয় কারও কারও। আবার অনেক সময় ধোঁয়াধুলোয় হতে পারে অ্যালার্জি। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ। বললেন, ‘রংমশাল ও তারাবাতির মতো বাজি পোড়ানো যেতেই পারে। কিন্তু শিশুদের সেগুলি থেকে দূরে রাখাই শ্রেয়। কাছে গেলে ওদের চোখে এসে পড়তে পারে আগুনের স্ফুলিঙ্গ। তাই বাড়িতে দূর থেকেই তাঁদের বাজি পোড়ানো দেখানো উচিত।’ তাঁর পরামর্শ, ‘বাজি পোড়াতে গিয়ে চোখে কিছু গেলে প্রথমে বেশি করে ঠান্ডা জল দিন। তারপর অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।’ দীপাবলিতে চোখ বাঁচাতে চশমা ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন স্পেকট্রা চোখের হাসপাতালের কর্ণধার চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অনন্যব্রত দাস। তাঁর কথায়, ‘যাঁদের চশমা আছে পরেই বাজি পোড়াতে নামুন। কনট্যাক্ট লেন্স পড়ে কখনই একাজ করবেন না। যাঁদের চশমা নেই, তাঁরা দোকান থেকে প্রোটেক্টিভ চশমা কিনে নিতে পারেন।’ ডাঃ দাস আরও বলেন, ‘দীপাবলির দিন বাড়িতে চোখের জন্য লুব্রিকেটিং, অ্যান্টি বায়োটিক ও অ্যান্টি অ্যালার্জিক ড্রপ বা মলম হাতের কাছে রাখুন। বাজি পোড়ানোর সময় হাতের কাছে ঠান্ডা জলের বালতি রাখতে পারলে খুবই ভালো হয়। চোখে কিছু গেলে সময় নষ্ট না করে ঠান্ডা জল দিন। একবার নয়। একাধিকবার। বড় কোনও ক্ষতি হলে জল দেওয়ার পর সেই জায়গাটি ঢেকে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের কাছে যান।’

নাক, কান, গলায় সমস্যা হলে...    
চোখের পাশাপাশি বাজি নাক, কান, গলার ক্ষতি করতে পারে। বাজিতে প্রচুর পরিমাণ সালফার থাকে। পোড়ানোর সময় সেই ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করলে সমস্যা তৈরি করতে পারে। মাস্ক পরে বাজি পোড়ালে এই বিপদ থেকে অনেকটাই সুরাহা মিলবে। শব্দবাজি পোড়ানোর সময় অত্যন্ত সাবধান থাকা দরকার। বি পি পোদ্দার হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভাবিকা সেনের কথায়, ‘শব্দবাজির ক্ষেত্রে শিশুদের ইয়ারমাফ ব্যবহার করা উচিত। আর বড়দের ইয়ারপ্লাগ। এগুলি শব্দতাণ্ডব থেকে কানকে অনেকটা সুরক্ষা দেবে। এছাড়া বাজি ফাটাতে গিয়ে আগুনের ফুলকি কানে এসে পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গায় বরফ দিয়ে সুফ্রামায়েসিন বা সমগোত্রীয় মলম লাগানো দরকার।’ ডাঃ সেন বলেন, ‘বাজির জন্য অনেক সময় কানে তালা লাগার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। ‘একে বলা হয় অ্যাকুস্টিক ট্রমা। আচমকা চড়া শব্দের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় কানের পর্দা। পাশাপাশি আগুনের স্ফুলিঙ্গ এসে পড়লেও এমনটা হতে পারে। ক্ষতি সাময়িক হলে ড্রপের সাহায্যে বিপদ কাটানো যেতে পারে। পর্দা পুড়ে বা ফেটে গেলে সেই অংশে মলম বা ড্রপ দেবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।’  

আনন্দ করুন ত্বক বাঁচিয়ে
প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি বাজি পোড়াতে গিয়ে একটু অসাবধান হলেই কাপড়ে আগুন লাগতে পারে। নিমেষে পুড়ে যেতে পারে গোটা শরীর। তাই  শরীরকে পুরোপুরি ঢেকে রাখে এমন ধরনের সুতির কাপড় পরা উচিত। সঙ্গে সম্পূর্ণ পা ঢাকা জুতো। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ত্বক বিভাগের প্রধান ডাঃ সুদীপ দাসের কথায়, ‘বাজির ধোঁয়াটা খুব ক্ষতিকারক। এর জেরে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি ত্বক সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই ধোঁয়া বেশি হয়, এমন বাজি ব্যবহার না করাটাই ভালো।’ বাজির কারণে ত্বক পুড়ে গেলে কী করা উচিত? তিনি বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল দিন। তারপর মলম (সুফ্রামায়েসিন) লাগিয়ে চিকিৎসকের সাহায্য নিন।’ গায়ে আগুন লাগার ক্ষেত্রে ডাঃ দাসের পরামর্শ, ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির গায়ে মোটা কম্বল জড়িয়ে ফেলুন। আগুন নিভে গেলে প্রচুর জল দিন। তারপর সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের কাছে যান।’
সায়নদীপ ঘোষ
8Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা