শরীর ও স্বাস্থ্য

অ্যাডিনো ভাইরাস
 সামলাতে হোমিওপ্যাথি

লিখেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথি’র প্রাক্তন অধিকর্তা ডাঃ গৌতম আশ।

প্রত্যেকদিনই খবরে দেখা যাচ্ছে কত কত বাচ্চারা এমনকী বয়স্করাও এই অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপে সংক্রমিত হচ্ছে। অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তিও হচ্ছে। এই আপাতনিরীহ অথচ পুরনো ও চেনা অ্যাডিনো ভাইরাস এই মুহূর্তে গ্রাম থেকে শহর ও শহরতলিতে একজন থেকে অন্য জনকে খুব সহজেই সংক্রামিত করছে ও ছড়িয়ে পড়ছে। শিশু ও বাচ্চারাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে, তবে বড়রাও এই সংক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
এখন প্রশ্ন হল এই অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ আসলে কী? ভাইরাসটি সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি বা হাঁচির সময় বেরনো ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অথবা কোনও সুস্থ ব্যক্তি ভাইরাসযুক্ত কোনও তলে (বাসের হ্যান্ডেল, টেবিল) হাত রাখলে এবং তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত ধোয়ার আগে স্পর্শ করলে ওই ব্যক্তি অ্যাডিনো ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। আবার কিছু অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রামিতের মলের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বিশেষত শিশুদের ডায়াপার পরিবর্তনের সময় এমন ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। বাচ্চাদের খেলনা অথবা জলের মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস।
এখন দেখা যাক অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণগুলি কী কী?
অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণগুলি সংক্রমণের জায়গা বা অঙ্গের উপর নির্ভর করে। অ্যাডিনো ভাইরাসগুলি প্রায়শই বা বেশিরভাগই শ্বাসনালীগুলিকে সংক্রামিত করে যার ফলে গলা ব্যথা, হাঁচি, নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি, গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা বা ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণগুলি সহ ঠান্ডা লাগার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। কিছু আক্রান্তর জ্বরও হতে পারে। অসুস্থতা সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হয়, তবে গুরুতর সংক্রমণ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। আবার এই সংক্রমণের জটিলতার জন্য মধ্যকর্ণের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া বা মেনিনজাইটিস ইত্যাদিও হতে পারে। কিছু অ্যাডিনো ভাইরাস আবার অন্যান্য অসুস্থতা সৃষ্টি করে। যেমন ত্বকের ফুসকুড়ি (স্কিন র্যা শ), কনজাংটিভাইটিস, মূত্রাশয়ে সংক্রমণ বা তন্ত্রের সংক্রমণ যথা— ডায়ারিয়া ইত্যাদি।
এখানে কয়েকটি ওষুধের উল্লেখ করা হল যেগুলি অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে ও পরবর্তীতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উল্লেখযোগ্য ওষুধগুলি হল—
অ্যাকোনাইট নাপেলাস, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া, আর্সেনিক অ্যালবাম, রাসটক্স, হিপার সালফার, ফসফরাস, অসিমাম, জাস্টেশিয়া অ্যাডাটোঢা, জেলসেমিয়াম, ইত্যাদি।
আবার সর্দি-কাশি বৃদ্ধিতে বা যখন জ্বর রয়ে যায়, গুরুতর গলা ব্যথার সমস্যা দেখা দেয়, গলার স্বর বসে যায়, বুকে ঘড় ঘড় শব্দ হয়, কফ ওঠে না বা কফ উঠলে কষ্ট হয় তখন স্পঞ্জিয়া, ইপিকাক, অ্যান্টিম টার্ট, অ্যান্টিম আর্স, অ্যারালিয়া রেসিমোসা, নেট্রম সালফ, পালসেটিলা, কক্কাস ক্যাক্টি ইত্যাদি। আবার যাদের ঘন ঘন সর্দি-কাশি-জ্বর ইত্যাদির প্রবণতা থাকে বিশেষত শিশুদের— তাদের ক্ষেত্রে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ক্যালকেরিয়া কার্ব, ক্যালকেরিয়া ফস, টিউবার কিউলিনাম, নেট্রাস মিউর ব্যাসেলিনাম ইত্যাদি ওষুধগুলির উপকারিতা অনস্বীকার্য।
তবে সমস্ত ওষুধেরই শক্তি ও মাত্রার নির্বাচন লক্ষণ বা উপসর্গভিত্তিক এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনই নেওয়া উচিত নয়।
 
17Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা