শরীর ও স্বাস্থ্য

পুজোয় কবজি ডুবিয়ে খেয়ে পেট গণ্ডগোল!
ঘরোয়া এই পানীয়গুলি খেলেই
পেট হবে ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল

লিখেছেন ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়াবেটিস এডুকেটর ঈশাণী গঙ্গোপাধ্যায়।

সবে দুর্গাপুজো কাটল। এরপর লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটা! উৎসবের সবে শুরু। এমনিতেই পুজোর চারদিন আনন্দে মেতে থাকার কারণে উল্টোপাল্টা খাবার খাওয়া হয়। তাছাড়া শারদ উৎসবে প্রায় প্রতিদিনই বেশিরভাগ মানুষ বাড়ির বাইরের খাবারই খান। পেটের আর দোষ কী! এতরকম খাবারের চাপ পেট সহ্য করতে পারবেই বা কীভাবে? হজমের গণ্ডগোল দেখা দিলে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে পেটকে ঠান্ডা হতেও দিতে হবে। চিন্তা নেই। পেট ঠান্ডার সবরকম উপকরণ মজুত রয়েছে আপনার বাড়িতেই। ওই উপকরণ দিয়ে কতকগুলি শরবত বানিয়ে পান করলেই নিশ্চিন্ত। হজম ক্ষমতা চলে আসবে পুরনো ফর্মে।
এইবার জেনে নেওয়া যাক কোন কোন বিশেষ ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে শরবত সহজেই তৈরি করা যেতে পারে যা হবে খেতেও সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।
শসা ও পুদিনার শরবত: শসা এবং পুদিনা পাতার মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। বিশেষত এই উৎসবের মরশুমে অনেকেই নিজেদের একটু স্লিম এবং ফিট করে তুলতে চাইছেন, তাঁরা অবশ্যই নিয়মিত ডায়েটে-এ এই শরবত যোগ করতে পারেন।
শসার মধ্যে জলের মাত্রা অর্থাৎ ময়েশ্চারের ভাগ বেশি এবং কিছু পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ লবণও রয়েছে। পাশাপাশি পুদিনা পাতার মধ্যে আছে বিভিন্নরকম অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি পদার্থ। উপদানগুলি শরীর থেকে টক্সিন (ফ্রি র‌্যাডিক্যালস) বের করে। এছাড়া শরীর জলের জোগান বজায় রাখে। পেট ফোলা ও ফাঁপার সমস্যাও দূর করতেও সাহায্য করে। শরবতে ভিটামিন সি-এর মাত্রা বৃদ্ধি করে পাতিলেবুর রস। ভিটামিন সি আমাদের শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাছাড়াও আমাদের রক্তবাহী নালি, ত্বক, হাড়, কার্টিলেজের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
প্রণালী: চাকা চাকা করে শসা কেটে নিতে হবে। এরপর কমলালেবু বা পাতিলেবু (পছন্দমতো) একই ভাবে কেটে নিন। এক বড় টেবিল চামচ মতো পুদিনা পাতা কুচি কুচি করে কাটুন। উপাদানগুলি একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এর ফলে শরবত স্বাদেও হবে খাসা। এরপর একটি বড় গ্লাস বা জারের মধ্যে মিশ্রণটির উপরে এক লিটার জল ঢেলে দিন। এরপর জারটিকে ১০-১২ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন। এই শরবত স্বাভাবিক তাপমাত্রা অথবা ঠান্ডা অবস্থাতে পান করা যেতে পারে।
আমপোড়া শরবত: কাঁচা আমের উপকারিতা অপরিসীম। আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে সোডিয়াম এবং আয়রন। কাঁচা আম এই প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়।
এছাড়া হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোক হওয়া থেকে রক্ষা করে। কিছু কিছু গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল সমস্যা যেমন গ্যাস, অ্যাসিডিটি, কনস্টিপেশন, মর্নিং সিকনেস নিরাময়ে সাহায্য করে। কাঁচা আমে ভিটামিন-সি, ই এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস প্রচুর মাত্রায় রয়েছে যেগুলি ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন-সি আমাদের দেহে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। কাঁচা আমপোড়া শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এবং সর্বোপরি পেটকেও ঠান্ডা রাখে।
প্রণালী: প্রথমে কাঁচা আমগুলিকে ভালো করে ধুয়ে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিতে হবে। এরপর কাঁচা আমগুলিকে অল্প আঁচে নাড়ুন যতক্ষণ না আমের শাঁসটি নরম হয়ে আসছে। ৭ থেকে ৮ মিনিট পরে কাঁচা আমগুলি একটি পাত্রে নিয়ে ঠান্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এরপর একটি বড় জারে বা ব্লেন্ডারের মধ্যে আমের টুকরোগুলি নিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি, স্বাদমতন বিটলবণ, ভাজা মশলা (শুকনো খোলায় ভাজা জিরের গুড়ো) এবং জল দিয়ে একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটিকে খুব বেশি তরলও নয় আবার ঘনও নয় এই অবস্থায় পরিবেশন করুন।
দই-এর ঘোল বা লস্যি: বাঙালির ঠান্ডা পানীয়র তালিকা দই-এর ঘোল বা লস্যি ছাড়া সম্পূর্ণ নয়, শরীর ঠান্ডা রাখতে এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। লস্যির প্রধান উপকরণ হল টকদই। টকদই-এ ভালো ব্যাকটেরিয়া ল্যাক্টোবেসিলি থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া মূলত আমাদের অ্যাসিডিটি, অম্বলের সমস্যা দূর করে এবং খাবার ভালোভাবে হজম করতে সাহায্য করে।
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে শরীরকে লড়াই করার সক্ষমতা জোগায় টকদই-এর ঘোল বা লস্যি। দই-এ থাকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান যেমন— ক্যালশিয়াম, ভিটামিন-ডি, ল্যাকটিক অ্যাসিড। ফলে এই পানীয় রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হাড় ও পেশির স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং দীপ্তি বাড়ায়। ফলে ত্বক মসৃণ এবং মোলায়েম হয়ে ওঠে।
প্রণালী: পরিমাণ অনুযায়ী টকদই (ঘরে পাতা হলে ভালো) একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে স্বাদমতো বিটনুন, চিনি, অল্প বরফকুচি, অল্প জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। লস্যির স্বাদ বাড়াতে কাজু, কিশমিশ বা পেস্তা বাদাম সহযোগে পরিবেশন করা যেতে পারে।
22Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা