হ য ব র ল

অঙ্কের মজা
আর্মস্ট্রং  সংখ্যা

তিন অঙ্কের একটি সংখ্যা বেছে নেওয়া হল— ৪০৭। তিন অঙ্কের সংখ্যা হওয়ায় এর প্রতিটি অঙ্কের উপর পাওয়ার বা ঘাত হিসেবে কিউব (৩) ব্যবহার করা হল। যে ফল বেরল তা যোগ করলে যোগফল হবে সেই ৪০৭।
অর্থাৎ— 
৪৩+০৩+৭৩= ৬৪+০+৩৪৩= ৪০৭
কিন্তু সব সংখ্যার ক্ষেত্রে এটা হবে না। বিষয়টি বেশ মজার, তাই না?
গণনা থেকেই উৎপত্তি গণিতের। সুপ্রাচীন কাল থেকেই জীবনযাপনের প্রয়োজনে মানুষ গণনা শিখেছে। আর তা করতে গিয়েই সংখ্যার প্রয়োজনীয়তা বোঝা গিয়েছে। যুগের বিবর্তনে ধীরে ধীরে সংখ্যা আবিষ্কার হয়েছে। হিসেব রাখা থেকে শুরু করে তথ্যের আদানপ্রদানে সংখ্যার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে তো সংখ্যা ছাড়া বিশ্বের সমস্ত ব্যবস্থাই কার্যত ধারণার বাইরে। পৃথিবীতে কত সংখ্যা রয়েছে, এর কোনও উত্তর নেই। কারণ, তা অন্তহীন। এই নিয়ে গবেষণারও শেষ নেই সেই প্রাচীনকাল থেকেই। এরমধ্যে কিছু কিছু সংখ্যা খুবই মজাদার। আর এগুলির বৈশিষ্ট্যও কিন্তু তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। এমনই একটি হল ‘আর্মস্ট্রং সংখ্যা’।
আর্মস্ট্রং সংখ্যা কী?
উত্তর জানার আগে অঙ্ক ও সংখ্যার ফারাকটা নিয়ে মাথায় রাখতে হবে। মনে রাখা দরকার, সব অঙ্কই সংখ্যা, কিন্তু সব সংখ্যা অঙ্ক নয়। ০ থেকে ৯ পর্যন্ত দশটি চিহ্ন বা প্রতীককে ‘অঙ্ক’ বলা হয়। এক বা একাধিক অঙ্ককে একত্রে ‘সংখ্যা’ বলে। যেমন-২২, ২৩ ইত্যাদি। ০ থেকে ৯  একইসঙ্গে অঙ্ক এবং সংখ্যা।  সংখ্যা গঠনের একককে অঙ্ক বলা হয়।
এবার আসা যাক আর্মস্ট্রং সংখ্যা প্রসঙ্গে। একটি সংখ্যায় কতগুলি অঙ্ক আছে, তা গুনতে হবে। এবার সেই মানকে ওই সংখ্যার প্রতিটি অঙ্কের উপর পাওয়ার বা ঘাত হিসেবে বসাতে হবে। এবার ওই প্রত্যেকটির যে মান পাওয়া যাবে সেগুলির যোগফল যদি মূল সংখ্যার সমান হয়, তাহলে ওই সেটিকে ‘আর্মস্ট্রং সংখ্যা’ বলে। একটু জটিল মনে হচ্ছে তো? উদাহরণের সাহায্যে একটু সহজ করে বুঝে নেওয়া যাক। যেমন-৩৭১। এই সংখ্যায় রয়েছে মোট তিনটি অঙ্ক। এই প্রসঙ্গে বলে নেওয়া যাক, তিন অঙ্কের ক্ষেত্রে আর্মস্ট্রং সংখ্যা এমন একটি পূর্ণসংখ্যা যে এর অঙ্কগুলির ঘন অর্থাৎ কিউবের যোগফল ওই সংখ্যার সমান। ৩৭১  যেহেতু মোট তিন অঙ্কের, সেহেতু প্রতিটি অঙ্কের পাওয়ার বা ঘাতের জায়গায় বসবে ৩। এরপর প্রত্যেকটির মানের সবগুলিকে যোগ করতে হবে।  অর্থাৎ, ৩৩+৭৩+১৩ = ২৭+৩৪৩+১= ৩৭১।
০ থেকে ৯৯৯ পর্যন্ত আর্মস্ট্রং সংখ্যা রয়েছে মোট ছ’টি। এগুলি হল ০, ১, ১৫৩, ৩৭০, ৩৭১ ও ৪০৭। ফর্মুলায় ফেলে দেখে নেওয়া যাক। 
 ০০ = ০
 ১১= ১
১৫৩
 ১৩+৫৩+৩৩= ১+১২৫+২৭= ১৫৩
৩৭০ 
৩৩+৭৩+০৩= ২৭+৩৪৩+০= ৩৭০
৩৭১ 
 ৩৩+৭৩+১৩= ২৭+৩৪৩+১= ৩৭১
এবার চার অঙ্কের আর্মস্ট্রং  সংখ্যা দেখে নেওয়া যাক।  ১০০০ থেকে ৯৯৯৯ এর মধ্যে আর্মস্ট্রং সংখ্যা তিনটি। এগুলি হল ১৬৩৪, ৮২০৮ ও ৯৪৭৪। এক্ষেত্রে যেহেতু মোট চারটি অঙ্ক। তাই প্রতিটি অঙ্কের পাওয়ার বা ঘাত হবে ৪। 
উদাহরণ- ১৬৩৪
১৪+৬৪+৩৪+৪৪ = ১+১২৯৬+৮১+২৫৬= ১৬৩৪
এভাবে যেকোনও সংখ্যাই পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া যায়, সেটি ‘আর্মস্ট্রং সংখ্যা’ কি না।
13Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা