হ য ব র ল

গল্প
গাছ রহস্য
রুদ্রজিৎ পাল

স্কুলের ছুটির পর শেরিন বেরতে যাবে, এমনই সময়ে আদৃতা ডাকল, ‘এই শেরিন, শুনে যা।’ শেরিনের তখন নাচের ক্লাসে যাওয়ার তাড়া। বাড়ি ফিরে একটু খেয়ে নিয়েই বেরিয়ে যেতে হবে। ও বলল, ‘তাড়াতাড়ি বল। আজকে জুলি আন্টির ক্লাস আছে।’ 
‘একবার এদিকে দেখে যা।’ শেরিন দেখল আদৃতা ওকে স্কুলের মেন গেটের পাশে দেওয়ালে যে একটা গর্ত আছে, সেদিকে ডাকছে। ও দৌড়ে গিয়ে বলল, ‘কী দেখাবি? সেই সেদিনের পর্তুগিজ ওয়াটার ডগ?’ কিছুদিন আগে ওদের স্কুলের পাশে যে বিশাল আবাসন আছে, সেখানকার একজন এই কুকুর নিয়ে স্কুলের পাশে ঘুরতে এসেছিল। সেই কুকুর দেখতে স্কুলের সামনে ভিড় জমে গিয়েছিল। আদৃতা বলল, না, না। দেখ এখানে এসে!’
শেরিন গর্ত দিয়ে মুখ বাড়াল। কই? কিছু নেই তো! স্কুলের পাশে ফাঁকা মাঠ। একটা বিশাল গাছ। আর কিছু সাইকেল রাখা আছে। শেরিন বলে, ‘কী দেখাবি?’
‘দেখতে পাচ্ছিস না?’
শেরিন আবার দেখল, ‘কই না তো! কী?’
‘ওই সামনে ওটা কী বলত?’
‘ওই গাছটা? ওটা তো একটা...’
‘একটা ক্যানিবাল গাছ।’
‘ক্যানিবাল?’ শেরিনের চোখ বড় বড় হয়ে ওঠে, ‘মানে মানুষ খায়? তুই দেখেছিস?”
‘আরে সব কিছু খায়। পাখি খায়, কুকুর-বেড়াল খায়, সব খায়।’
‘যাঃ। তুই বানিয়ে বলছিস।’
‘বানিয়ে? তুই কিছু জানিস না! আমি কালকে নিজের চোখে দেখেছি সেই কালো-আর-ব্রাউন ছিট ছিট বিড়ালটা হাঁটতে হাঁটতে গাছের দিকে গেল। ব্যস। ভ্যানিশ!’
শেরিন চুপ করে রইল। ক্যানিবাল গাছ? সেটা কী হয়? কিন্তু আদৃতা কী মিথ্যে বলবে? ও এইরকম ভাবছে, এইসময়ে স্কুলের দারোয়ান ভীমপ্রসাদ রজক হাঁক দিয়ে উঠল, ‘দিদিমণি, তোমরা ওখানে কী করছ? বাইরে কিছু ছুড়বে না। এদিকে চলে এসো।’ ওরা তাড়াতাড়ি ছুটে স্কুলের গেট দিয়ে বেরিয়ে গেল। বেরনোর সময়ে আদৃতা বলল, ‘কাউকে বলবি না। আরও অনেক কিছু দেখেছি। কাল বলব।’ 
পরের দিন স্কুলের শুরুতে যখন প্রেয়ার হচ্ছিল, তখন আদৃতা বলল, ‘আজকে গাছটা দেখেছিস?’ শেরিন ভুলেই গিয়েছিল। কালকে জুলি আন্টি একটা নতুন মুভমেন্ট শিখিয়েছিলেন, সেটাই ওর মন জুড়ে ছিল। ‘কোন গাছ?’
‘ভুলে গেলি? ওই দেখ ক্যানিবাল গাছ।’ 
শেরিনদের প্রেয়ার হল থেকে মাঠটা দেখা যায়। তখন ভোরের রোদ পড়েছে। গাছের পাতাগুলো সোনালি-সবুজ হয়ে আছে। ও ভয়ে ভয়ে একবার তাকাল। কিছুই তো মনে হচ্ছে না। একটা বড় গাছ যেরকম হয়, সেরকম। আদৃতা আবার ফিসফিস করে বলল, ‘কালকে ওই গাছের ডালে একটা পাখির বাসা ছিল। আজকে নেই!’ শেরিনের গা টা কেমন ছমছম করে উঠল। ও বলল, ‘তুই ঠিক দেখেছিস?’ আদৃতা গলা নিচু করে বলল, ‘আমি দেখেছি। ওই যে বড় কালো ডালটা, ওটার ওপরেই বাসাটা ছিল। আমি রোজ দেখছিলাম। আজকে দেখ, নেই!’
শেরিন কোনওদিন গাছটার দিকে দেখেনি। আদৃতা যে ডালটার দিকে আঙ্গুল তুলে দেখাল, সেটা এখন খালি। কে জানে, কালকে পাখির বাসা ছিল কি না? এই সময়ে ক্লাসের মনিটর চিৎকার করে উঠল, ‘নো টকিং’। ওরা আর দেরি না করে জানলার দিক থেকে দূরে চলে এল। যাওয়ার সময়ে আদৃতা ঠোঁটে আঙুল দিয়ে ইঙ্গিত করল, কাউকে বলবি না।
শেরিনের ক্লাসরুম ওই মাঠের পাশেই। ক্লাস চলার ফাঁকে এক-দু’বার ওর চোখ চলে গেল ওই গাছের দিকে। আদৃতা বলেছিল, ওটার উপরে নাকি কোনও পাখি বসে না। বসলেই কিছুক্ষণ পরে ভ্যানিশ হয়ে যায়। ও একবার দু’বার তাকিয়ে দেখল, সত্যিই কী পাখি বসছে? একবার ক্লাসের আন্টি দেখে ফেলল। ‘শেরিন, তুমি বাইরে তাকিয়ে আছ কেন? ক্লাসে মন দাও।’ 
টিফিনের সময়ে ওরা সবাই নেমে আসে বাইরের প্লেগ্রাউন্ডে। এই সময়ে দু-তিনটে বিড়াল গুটি গুটি পায়ে সেইখানে এসে অপেক্ষা করে। বাচ্চারা নিজেদের টিফিন থেকে বিড়ালদের ভাগ দেয়। শেরিনের খুব প্রিয় একটা কালো-লালচে ছিট ছিট রঙের বিড়াল। আজকে ও নিজের টিফিন থেকে একটা চিকেনের পিস নিয়ে অনেকক্ষণ বসে রইল। টিফিন টাইম শেষ হয়ে গেল। ওর বিড়াল এল না। যখন বেল পড়ে গেল, ওরা সবাই আবার ক্লাসের দিকে রওনা দিল। এইসময়ে আবার দেখা হল আদৃতার সঙ্গে। ও চোখ নাচিয়ে বলল, ‘কী রে? লুসিকে পেলি?’ লুসি সেই বিড়ালটার নাম। শেরিন মাথা নাড়ল। ‘কী বলেছিলাম? তোর লুসি পরশু ওই মাঠে গাছটার দিকে গিয়েছিল। আমি দেখেছিলাম। তারপর আমিও আর দেখিনি!’
শেরিনের ভিতরটা ধক করে উঠল। সত্যিই কি লুসিকে ওই গাছটা খেয়ে ফেলেছে? 
স্কুল শেষের পর শেরিন যখন মেন গেট দিয়ে বেরচ্ছে, ও দেখল ভীমপ্রসাদ সেই মাঠে বসে আছে। দেখেই ওর পিঠ দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। সর্বনাশ! ভীমপ্রসাদ একা বসে আছে! যদি ওকেও...
ও চিৎকার করে বলল, ‘ভীমপ্রসাদ দাদা, ওখানে একা থেকো না। গাছটা ভালো না।’ 
ভীমপ্রসাদ অবাক হয়ে বলল, ‘কেন দিদি? কী হয়েছে?’
শেরিনের মুখ দিয়ে আর কিছু বেরল না। ওর মা সঙ্গে ছিল। ওকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে যেতে বলল, ‘তুমি এত বেশি কথা বলবে না। কালকে ক্লাস টেস্ট আছে। বাড়ি চল। অনেক কাজ বাকি।’ 
পরের দিন ক্লাস টেস্ট ছিল। ওদের আর সময় ছিল না। তারপর উইকএন্ড। সোমবার স্কুলে ঢোকার সময়েই হঠাৎ শেরিন দেখে যে ভীমপ্রসাদ দরজায় নেই। কী হল? ওর বুকের ভিতর দুরদুর করে উঠল। চারদিকে তাকিয়ে দেখল। কোথাও নেই। সেদিন ক্লাসে আর শেরিন মন বসাতেই পারল না। ওর বিড়াল লুসি নেই, সেটাও ঠিক ছিল। কিন্তু ভীমপ্রসাদ? তাহলে কী সবার অজান্তে সত্যিই একটা মানুষখেকো গাছ ওদের স্কুলের পাশে দাঁড়িয়ে আছে? ক্লাসে বসে বার বার চোখ চলে যাচ্ছিল ওই দিকে। 
টিফিনের সময়ে আদৃতার সঙ্গে দেখা হতেই শেরিন চোখ গোল গোল করে বন্ধুকে সব বলল। আদৃতা সবজান্তার মতো হেসে বলল, ‘কী বলেছিলাম?’ তাও শেরিনের বিশ্বাস হয় না। ক্যান্টিনের তপনকে জিজ্ঞাসা করল, ‘ভীমদাদা কোথায় গো?’ তপন বলল, ‘জানি না। হঠাৎ ওর বাড়ি থেকে কী খবর এসেছে, তাই চলে গেছে।’ 
আদৃতা চোখ নাচিয়ে বলল, ‘সব বাজে কথা। যাতে আমরা ভয় না পাই, সেইজন্য আমাদের এইসব বলছে!’
টিফিনের পর বায়োলজি ক্লাস ছিল। আন্টি পড়াচ্ছিলেন ভেনাস ফ্লাই ট্রাপ নিয়ে। ক্লাসের মধ্যে হঠাৎ শেরিন হাত তুলে জিজ্ঞাসা করল, ‘আচ্ছা আন্টি, এই গাছ যেরকম পোকা খেয়ে নেই, সেরকম মানুষ খেতে পারে এরকম গাছ আছে?’
আন্টি অবাক হয়ে বললেন, ‘না তো। কে বলেছে?’
শেরিন আর কিছু বলে না। আন্টি আবার বললেন, ‘এককালে লোকের ধারণা ছিল যে, আফ্রিকায় নাকি মানুষখেকো গাছ পাওয়া যায়। কিন্তু এখন জানা গেছে, সেটা শুধুই গুজব।’ 
স্কুলের পর একটু সময় ছিল। আদৃতা বলল, ‘এই শেরিন। একবার যাবি?’
‘কোথায়?’
‘ওই গাছটা দেখতে?’
‘তোর কী সাহস! ওখানে যাবি? যদি...’
‘না রে। আমি লক্ষ করে দেখেছি। খুব কাছে না গেলে কিছুই হয় না। ওই দেখ না। ওই কুকুরগুলো এপাশে বসে থাকে রোজ। কিচ্ছু হয়নি।’
শেরিন বলল, ‘না বাবা। আমি যাব না।’ 
‘ঠিক আছে। যেতে হবে না। আমি একাই যাব। তারপর সব ছবি তুলে সবাইকে দেখাব। একটা নতুন গাছ আবিষ্কার হবে। আমি প্রাইজ পাব।’ 
শেরিন একটু চুপ করে থেকে বলল, ‘কী করে যাবি? স্কুলের পর তো সোজা বাড়ি। ওখানে তোকে কে যেতে দেবে?’
“আরে দেখ না। তুই রাজি কি না বল?”
“ঠিক আছে। কবে?”
“আমি বলে দেব। আমার সিক্রেট মেসেজের অপেক্ষা করবি।” 
ওদের দু’জনের মধ্যে সিক্রেট মেসেজ দেওয়া-নেওয়ার একটা নিয়ম ছিল। ক্যান্টিনের বাইরে দেওয়ালে একটা খালি নোটিস বোর্ড আছে। সেখানে একটা ছোট কাগজে ওরা একে অন্যকে মেসেজ লিখে রেখে দেয়। শেরিন রোজ টিফিন টাইমে সেটা দেখে। কোন নতুন মেসেজ আছে কি না। 
অবশেষে একদিন টিফিন টাইমে দেখে লেখা আছে ‘ওয়েট আফটার স্কুল।’
শেরিনের বুক ধড়াস ধড়াস করা শুরু হল। আজকেই যেতে হবে নাকি? কখন? কালকে তো প্রজেক্ট জমা দেওয়ার আছে। 
স্কুলের পর গেটের সামনে আদৃতা দাঁড়িয়ে ছিল। ও যেতেই ওকে হাত ধরে একদিকে টেনে নিয়ে বলল, ‘কাউকে কিছু বলিসনি তো?’
‘না, না।’
‘আজকেই যাব।’ 
‘কখন?’
‘তুই আর আমি যখন আজকে আঁকার ক্লাস থেকে ফিরব, তখন!’
শেরিনের মনে পড়ে গেল ওরা দু’জন আজকে প্রদীপ স্যারের আঁকার ক্লাসে যাবে। ওরা একসঙ্গে আদৃতার গাড়িতেই ফিরে আসে। কিন্তু তখন সময় কোথায়? আদৃতার মায়ের কড়া হুকুম আছে যে ক্লাসের পর গাড়িতে উঠে সোজা বাড়ি আসতে হবে। তাহলে ওরা ওই মাঠে যাবে কী করে? এতসব জিজ্ঞাসা করার আগেই আদৃতার স্কুলবাস এসে গেল। ও দৌড়ে যেতে যেতে বলে গেল, ‘আঁকার ক্লাসে আসবি কিন্তু!’
সেদিন আঁকার ক্লাসে শেরিনের আর মন বসে না। স্যার একটা গ্রামের দৃশ্য আঁকতে দিয়েছেন। শেরিন কিছুতেই আর আঁকতে পারছে না। স্যার দেখে বললেন, ‘শেরিন, তুমি গ্রামের দৃশ্যে গাছের নীচটা খালি রেখেছ কেন? গ্রামের দিকে তো সবাই দুপুরে গাছতলায় বিশ্রাম নেয়। তুমি গোরু-ছাগল সব দূরে দূরে এঁকেছ কেন?’
শেরিন শুরু করেছিল, ‘স্যার, মানুষখেকো গাছ...’
কথা শেষ হবার আগেই আদৃতা বলে উঠল, ‘স্যার ও মানুষ পরে আঁকবে।’ 
স্যার একটু অবাক হয়ে তাকিয়ে চলে গেলেন। আদৃতা চোখ গোল করে ফিসফিস করে বলল, ‘আরেকটু হলেই তুই সব মাটি করে দিচ্ছিলি!’
‘সরি।’
ক্লাসের শেষে ওরা আদৃতার গাড়ি চড়ে রওনা হল। ফেরার রাস্তা ওদের স্কুলের সামনে দিয়েই। যখন সেই মাঠটা পেরচ্ছে, সেই সময়ে আদৃতা ওদের ড্রাইভারকাকুকে বলল, ‘কাকু, একটু থামবে? আমি একটা পেন কিনব।’ 
কাকু বলল, ‘কী পেন বল, আমি নিয়ে আসছি।’ 
‘না কাকু, তুমি বস। এই সামনেই দোকানে আমি যাচ্ছি।’
কাকু নিষেধ করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এই সময়ে একটা ফোন আসায় উনি কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। এর মধ্যেই ওরা দু’জন গাড়ির দরজা খুলে দৌড়ে সেই দোকানে ঢুকে পড়ল। আদৃতা একটা পেন তুলে কাউন্টারে টাকা দিয়েই বলল, ‘সামনের দরজা নয়, চল এই পাশের দরজা দিয়ে বেরব। কাকু এদিকে দেখতে পাবে না।’ 
সত্যিই কী বুদ্ধি! এদিকে সত্যিই দেখা যায় না। ওরা পাশের দরজা দিয়ে বেরিয়েই সামনে সেই মাঠ। শেরিনের বুক ধুকধুক করছে। ও চুপচাপ আদৃতার পেছন পেছন হাঁটতে লাগল। পা টিপে টিপে সেই গাছের দিকে এগতে লাগল। তখন চারিদিকে অন্ধকার। দূরে একটা লেড লাইটের ল্যাম্প আছে। কিন্তু এদিকে সেরকম আলো নেই। চলতে চলতে ওরা প্রায় পৌঁছে গিয়েছে গাছের একদম কাছে। শেরিন বারবার উপরে তাকিয়ে দেখছে যে, গাছের ডালগুলো ওদের ধরতে নেমে আসছে কি না। একবার দু’বার আদৃতার জামা ধরে টেনে বলতেও চেষ্টা করেছে যে, চল ফিরে যাই। কিন্তু গলা এত শুকিয়ে গিয়েছে যে, কথা আর বেরয়নি। 
যখন ওরা গাছের একদম কাছে, তখন হঠাৎ শোনে বিড়ালের ডাক! শুনেই ওদের ঘাড়ের চুল খাড়া হয়ে উঠল। আবার কী একটা বিড়াল এই গাছের খপ্পরে পড়েছে নাকি? শব্দটা আসছে গাছের অন্য দিক থেকে। ওরা ঠিক করল ঘুরে সামনে গিয়ে দেখবে কী হচ্ছে ওখানে। যাওয়ার সময়ে শেরিনের পায়ে কী একটা বাসন লাগল। হাতে তুলে দেখে ভীমপ্রসাদের ছাতুর বাটি। ওরা এটা চেনে। অনেকবার ভীমদাদাকে দেখেছে এর থেকে ছাতু খেতে। বেচারা ভীমদাদা! এখানে বসে ছাতু খেতে খেতেই গাছের খপ্পরে পড়েছে  নিশ্চয়ই!
যখন ওরা প্রায় গাছের সামনের দিকে চলে এসেছে, তখন শোনে কেউ যেন রামধুন গাইছে। কে গাইছে এরকম? এটা তো ভীমদাদার মুখে ওরা শুনেছে আগে। তাহলে কী ভীমদাদার ভূত...!
আর এক পা সামনে এগিয়েই ওরা দেখে গাছের নীচে ভীমদাদা বসে আছে, কোলে সেই লুসি। ভীমদাদাও ওদের দেখে বেশ চমকে গিয়েছে।
‘কী হল দিদি? তোমরা এখন এখানে? স্কুলে কিছু হয়েছে?’
ওরা দু’জন ভ্যাবলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে। ভীমপ্রসাদ আবার বলে, ‘এখানে তোমরা এসেছ কেন? এখানে থাকা ঠিক নয়।’ 
আদৃতা একবার বলে, ‘তোমাকে এই গাছটা খেয়ে...’
শেরিন ওকে থামিয়ে দিল, ‘ভীমদাদা, লুসিকে কোথায় পেলে?’
‘আরে এখানেই তো থাকে। বহুত বদমাশ বিল্লি আছে। রোজ হামার খাবার চুরি করে। তাই আজকে হামি নিজেই ওকে খাওয়াতে এসেছি।’
শেরিন আবার বলে, ‘তুমি কোথায় গিয়েছিলে?’
‘আরে হামার লেড়কার শাদি ছিল, সেখানেই ছিলাম দিদি।’ 
এর মধ্যেই লুসি ওর কোল ছেড়ে গাছে উঠে গিয়েছে। ভীমপ্রসাদ আবার বলে, ‘শয়তান বিল্লি। এর জন্য গাছে কোন পাখি বাসা করতে পারে না। বাসা দেখলেই গাছে উঠে পাখির ডিম খেয়ে নেবে!’
ওরা দু’জন মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগল।
ভীমপ্রসাদ বলে, ‘যাও দিদি, বাড়ি যাও। এখানে সাপ থাকতে পারে। হামিও স্কুলে ফিরে যাচ্ছি।’ 
সাপ! ওরে বাবা! ওরা আর কিছু না ভেবে গাড়ির দিকে দৌড়তে শুরু করল।  
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
16Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পারিবারিক অশান্তির অবসানে গৃহ সুখ ও শান্তি বাড়বে। প্রেমের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মে উন্নতি। উপার্জন বৃদ্ধি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৬ টাকা৮৪.৩৫ টাকা
পাউন্ড১০৬.৪৬ টাকা১০৯.১২ টাকা
ইউরো৮৯.৭৬ টাকা৯২.২০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা