বিশেষ নিবন্ধ

নতুন ছবি, ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা!
হারাধন চৌধুরী

আজ ১৪ আগস্ট। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস ভারতের। ৭৭ বছর আগে এক ভারত পৃথগন্ন হয়ে এই দুটি তারিখে নতুন রাষ্ট্রিক পরিচয় গ্রহণ করেছিল। আর এই দিনদুটির মাঝখানে দোলাচলেই ছিল সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তান’। ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ গঠনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্যের পরিচয় থেকে ওই ভূখণ্ডের মুক্তি ঘটে। কিন্তু তাতেও দোলাচল কাটেনি। দেশটি গ্রস্ত হয়েছে খাঁটি সন্দেহের বাতাবরণে। নিজেদের স্বাধীনতার চেতনা অহরহ একে অন্যের প্রশ্নের মুখোমুখি। একদল ভাবছে, ‘ভারত ওদের মামার বাড়ি’! অন্যদলের সন্দেহ, তাদের বিরোধীরা ‘রাজাকার’! বাংলাদেশে ‘বাংলাদেশি’ তবে কারা? কেউ নয়! দেশবাসী দেশের মানুষকে চিনবে আর কবে?
হাসিনার পতনের পরই জাতীয় সঙ্গীত বাতিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। জোরালো দাবি, ‘জাতীয় 
শোক দিবস’ পালন আর নয়। ওইসঙ্গে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত নোট বাতিলেরও! ভাঙা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের মূর্তি। এবার কোপে তাঁর রচিত গান। বাংলাকে ভাঙার ও দুর্বল করার সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত রুখতেই কবিগুরু গানটি 
লেখেন। ‘জাতির পিতা’ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর ৫০ বর্ষের প্রাক্কালে বাংলাদেশ থেকে তাঁর যাবতীয় স্মৃতি মুছে ফেলার আয়োজনও প্রায় সম্পূর্ণ! 
‘চোখের বালি’র বাকিগুলির বিদায়েও সমান 
উদ্যোগী আমোদ গেঁড়েরা। কিন্তু ‘চোখের বালি’ সাফ করতে গিয়ে নিজ হাতে নিজের চোখই তাঁরা উপড়ে ফেলছেন না তো! 
হাসিনা দেশ ছাড়তেই, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর মিউজিয়াম ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন ওই বাড়িতেই। এই ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহ্যের বহু নিদর্শন ও দলিল চিরলুপ্ত হয়ে গেল। ঐতিহ্যশালী একাধিক প্রতিষ্ঠানও দুর্বৃত্তদের টার্গেট এখন। ‘ধনধান্যপুষ্পভরা’ গান গেয়ে যে রাহুল আনন্দ বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরই সংগীতের যাবতীয় আয়োজন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মৌলবাদের কাছে আত্মসমর্পণের পরিণতির পরিমাপ এতদিনে নিশ্চয় নিয়ে ফেলেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর পতনের কৃতিত্ব একদল ছাত্রছাত্রীর আন্দোলনের। কিন্তু মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার অন্য এক বৈষম্য দিয়েই শুরু হল না কি? শাসকের আসনে স্বাগত ইউনুস তাঁর মর্যাদা খোয়ালেন শুরুতেই। তাঁর শপথ অনুষ্ঠানে পাঠ হল শুধুই কোরান! তাই ইতিমধ্যেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে, বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলন হাইজাক হয়নি কি?  নেপথ্যে পাকিস্তান এবং আমেরিকার কলকাঠি দেখছেন অনেকে। কেননা, একাত্তরে শুধু নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেননি, প্রকারান্তরে তা ছিল আমেরিকারও নাকখত।
বাংলাদেশে যথারীতি বিপন্ন হিন্দুরা। যেকোনও ইস্যুতে, একটি দুর্বৃত্ত শ্রেণির চোখে শুধু তারাই দোষী! এজন্য হিন্দু জনসংখ্যা সেখান কমতে কমতে মাত্র ৭ শতাংশে নেমে এসেছে! ১৯৪৭-এ সমগ্র পাকিস্তানে হিন্দু ছিল ২৪ শতাংশ, তবে ৩০ শতাংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। সেন্সাস অনুসারে, ১৯৫১-তেও পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ২২ শতাংশ, ১৯৭৪-এও তাদের ১৪ শতাংশ টিকে ছিল। এখন পাকিস্তান মুলুকে হিন্দু ২.১৪ শতাংশ (শোনা যাচ্ছে, মহাসাগরে নাকি সম্প্রতি এক ঘটি জল বেড়েছে)! ঢাকার এক গবেষক ১৯৪৭-পরবর্তী পাঁচদশকে হিন্দুনিধন, ধর্মান্তরণ ও বিতাড়ন প্রবণতা বিশ্লেষণসহ আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, আগামী তিনদশকে বাংলাদেশ ‘হিন্দুশূন্য’ এক রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটাকে ‘এথনিক ক্লিনসিং’ আখ্যা কি অতিরঞ্জন? এথনিক ক্লিনসিং কি কোনও জাতির শ্রীবৃদ্ধির পথ হতে পারে? রবীন্দ্রনাথের মূর্তি ভাঙা হল ২২ শ্রাবণের প্রাক্কালে। ‘হিন্দু’ (বাস্তবে তিনি একেশ্বরের উপাসক ‘ব্রাহ্ম’ ছিলেন) রবীন্দ্রনাথের লেখা জাতীয় সঙ্গীত (আমার সোনার বাংলা) খারিজের দাবি ক্রমে জোরদার হচ্ছে। পোড়ানো হল বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ নজরুল ইসলামের বই। সে কি তাঁর ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি কিংবা হিন্দুপ্রীতির অপরাধে? অশালীন মন্তব্য লেখা হল কালিলেপা বেগম রোকেয়ার ছবিতেও! সেটা কি তাঁকে ‘হাসিনা’ ভেবে? হায় রে, বিদ্যের দৌড়, ফ্যানাটিসিজম!
হিন্দুদের দুর্দশা নিয়ে পার্লামেন্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের এমপিরা। বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং আরএসএস। প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে ভারতের রাজপথে। বাইডেন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মার্কিন মুলুকের দুই কংগ্রেসম্যান। বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে, কানাডাতেও। নিরাপত্তার দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিছিল বেরচ্ছে বাংলাদেশেরও নানা স্থানে। চাপে পড়ে একাধিক হিন্দু মন্দির পাহারায় মুসলিম ধর্মীয় নেতারা। সীমান্তে দলে দলে হিন্দুরা গলা জলে কাতর আর্জিসহ দাঁড়িয়ে আছেন ভারতে ঢুকে বাঁচার আশায়। আবার 
একদল নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আর্তনাদ করছেন, ‘এই দেশে আর থাকতে পারব না’ বলে। অন্যদিকে, দিল্লি জানিয়ে দিয়েছে, একাত্তরের পুনরাবৃত্তি তারা চায় না, ভারতের দরজা বাংলাদেশি শরণার্থীদের সামনে আর অবারিত নয়। বস্তুত খাঁচায় পড়া ইঁদুরের দশা বাংলাদেশি হিন্দুদের! এসব সভ্যসমাজের বিজ্ঞাপন নয়। 
অন্যদিকে, একদল নির্যাতিত মানুষ আওয়াজ তুলেছেন ‘আমার মাটি, আমার মা, এই দেশ ছাড়ব না’। আরও ভালো লাগছে যে, নেতৃত্বে অল্পবয়সি হিন্দু মেয়েরা! বড় বড় মিছিল ও জমায়েত হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ নানা স্থানে। তাঁদের প্রশ্ন, স্বাধীনতা সংগ্রামে কি হিন্দুদের কোনও অবদান নেই? দুর্বৃত্তদের পাল্টা মার দেওয়ারও হুঁশিয়ারি তাঁদের মুখে! এমনকী, ৫ দফা দাবিও উত্থাপন করেছেন তাঁরা: হিন্দুরক্ষা মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। ধর্মীয় কারণে হিন্দুদের উপর হিংসার ঘটনার বিচার করতে হবে দ্রুত। দাবি উঠেছে ক্ষতিপূরণের। সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং হিন্দুদের জন্য সংসদে ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের দাবিতেও পোস্টার পড়েছে। হিন্দুদের ঘুরে দাঁড়াবার এই ছবি সত্যিই নতুন। পারবেন কি তাঁরা প্রতিরোধের স্পিরিট ধরে রাখতে? অনেকাংশে নির্ভর করছে সরকারের নীতির উপর। বাংলাদেশের বর্তমান কর্ণধারদের উচিত, এটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিয়ে নিজভূমে বাঁচতে চাওয়া মানুষগুলির হাত শক্ত করা। তাতে বাংলাদেশেরই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এবং তা সহায়ক হবে তার ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পক্ষে। পাশাপাশি রয়েছেন চব্বিশের যোগেন মণ্ডলরাও (পিনাকী ভট্টাচার্য, গোবিন্দ প্রামাণিক অ্যান্ড কোং)। একজন মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর অভাবও অনুভূত হচ্ছে সেখানে, যিনি একাত্তরে বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এক অভূতপূর্ব বাতাবরণ গড়ে তোলেন। ‘ISLAM’ শব্দের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেন তিনি, ‘I Shall Love All Mankind’! এজন্য মুসলিমরাও সশ্রদ্ধায় তাঁকে ‘এজমালি সম্পত্তি (কমন প্রপার্টি)’ বলে ঘোষণা করেছিলেন।
ছাত্র আন্দোলনকে সর্বতোভাবে সমর্থন জুগিয়েছেন এপার বাংলার অগণিত মানুষ। কিন্তু ৫ আগস্ট এবং পরবর্তী নৈরাজ্যের ছবিতে সবচেয়ে হতাশ তাঁরা। দুই বন্ধু প্রতিবেশীর মধ্যে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্র ক্রমে প্রসারিত হচ্ছিল। সেই স্বাস্থ্যকর চিত্র যারা ধ্বংস করছে তারা কোনোভাবেই নতুন বাংলাদেশের হিতাকাঙ্ক্ষী নয়। ব্যাপারটা একুশ এবং স্বাধীনতার চেতনারও পরিপন্থী।
মাথাপিছু বর্ধিত আয় (যদিও ওইসঙ্গে বৈষম্য বৃদ্ধির সত্যটি অবাঞ্ছিত), মৃত্যুর নিম্নহার, পোশাক শিল্পের শ্রেষ্ঠত্ব, ক্রিকেট, সিনেমা, নাটক, 
গান, শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগতি বাংলাদেশকে ধরে‌ রাখতে হবে। তবে হিন্দুদের তাড়িয়ে এই সাফল্য ফিরবে না, আরও দীন হবে দেশ। যেমনটা হতে হয়েছিল 
১৯৪৭ বা ১৯৭১-এর পর অনেক বছর। ঐতিহাসিক ব্রিগেড ভাষণে বঙ্গবন্ধু মুক্তকণ্ঠে জানিয়েছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে সবার সমান অবদান রয়েছে। আর বন্ধু হিসেবে ভারতের ঋণ অপরিশোধ্য। এখন সেই ভারতকে অস্বীকার করার তাগিদে দেশেরই একদল নাগরিক প্রধান টার্গেট হলে তার চেয়ে আত্মঘাতী নীতি আর কিছু হবে না। একদিকে বাড়বে মৌলবাদী ও জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির অপ্রতিরোধ্য দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে কালিমালিপ্ত হবে সুশীল সমাজের এযাবৎকালের প্রতিটি সৎ প্রচেষ্টা।‌ ইতিমধ্যেই গার্মেন্টস-সহ একাধিক শিল্প এবং সরকারি প্রকল্প থেকে পুঁজি 
অন্য দেশে সরে যেতে শুরু করেছে বলে দুঃসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের নাটক, সিনেমা, গান, বইপত্র, সাহিত্যসৃষ্টিও কি পশ্চিমবাংলার পাঠক দর্শক শ্রোতা হারাতে তৎপর? সামনেই দুর্গাপুজো, 
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এটা নতুন বাংলাদেশের কাছে অগ্নিপরীক্ষাও বটে। গতবার বাংলাদেশে সর্বজনীন পুজো হয়েছিল ৩২ হাজারের বেশি। ওপারের কাগজগুলি লিখেছিল, দেশের বিভিন্ন এলাকার মতোই দুর্গাপুজো বাড়ছে ঢাকা শহরেও। ঢাকায় পুজোমণ্ডপের সংখ্যা ২৪৫, গতবছরের চেয়ে চারটি বেশি।
মহম্মদ ইউনুসের প্রভিশনাল গভর্নমেন্টের মেয়াদ যত ছোট হয় ততই মঙ্গল। স্বচ্ছতার সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তিতে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হোক দেশে। পরিবারতন্ত্রকে পুরো পরিত্যাগ করে বাংলাদেশের সাধারণতন্ত্রে উত্তরণ জরুরি। সেই রাজনীতির অনুশীলনে অপছন্দের দলগুলি ব্রাত্য ঘোষিত হলে সেটা হবে নতুন বড় ভুল, প্রতিহিংসার রাজনীতি, যাতে চ্যাম্পিয়ন হতে মরিয়া ছিলেন হাসিনা অ্যান্ড কোম্পানি। পরাজিত হাসিনার ছেঁড়া জুতোতেই পা গলাবেন কি তাঁর প্রতিযোগীরাও? ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতা’ আনলেন বলে যাঁরা দাবি করছেন, তাঁরাও যেন এই সুযোগে নতুন রাজা বা স্বৈরশাসক হয়ে ওঠার ভুলটি না করেন। অবশ্যই ফেরাতে হবে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি। নতুবা বৈষম্যহীন 
সমাজ গঠনের স্বপ্নটি রাজপথে একদল তরুণের রক্তপাতের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশের আশঙ্কিত ব্যর্থতা, অনবরত নাড়া দিতে থাকবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকেও। তখন উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা বলতে পারে, একটা দেশ তিন টুকরো হল, দুই টুকরো শুধু মুসলমানদের হলে আমরা একা ‘সেকু’ থাকতে যাব কোন আহ্লাদে! মুসলিমরা ততক্ষণই ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ যতক্ষণ তারা কোনও 
রাষ্ট্রে ‘সংখ্যালঘু’। সেই ম্যাও দীর্ঘমেয়াদে সামলানো ভারতের পক্ষে কঠিনই হতে পারে। পাকিস্তানের দুর্দশার মূলে তার তীব্র ভারত-বিরোধিতার 
নীতি। ভারতের চরম সর্বনাশ কামনা করতে করতেই নিজের সর্বনাশ হাসিল করে ফেলেছে দেশটি। বাংলাদেশের নব্য নায়করা তার থেকে কোনও শিক্ষা নেবেন না কি?
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বহু প্রচেষ্টার পর আটকে থাকা কাজের জটিলতা মুক্তি। কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.৭৯ টাকা১১১.৩৩ টাকা
ইউরো৯০.৯৫ টাকা৯৪.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা