বিশেষ নিবন্ধ

এই বর্ষায় ‘বসন্ত’ ফিরেছে বাংলাদেশে!
মৃণালকান্তি দাস

আরব বসন্তের আঁতুড়ঘর ছিল তিউনিসিয়া! ২০১০-এর ১৭ ডিসেম্বর পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে মহম্মদ বওয়াজি নামে এক যুবক প্রকাশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এমনিতেই গোটা দেশ দমন-পীড়ন, দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোমড়াচ্ছিল। বওয়াজির সেই গায়ের আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে। ৪ জানুয়ারি বওয়াজির মৃত্যুতে সিদি শহরের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ গর্জে উঠেছিল। তারপর দিন দশেক ধরে দেশের সর্বত্র বিক্ষোভ এবং সরকারি বাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেল যে, তিউনিসিয়ার স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট জিন-এল-আবেদিন বেন আলি পালিয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেটা ছিল ১৪ জানুয়ারি। ক্ষমতায় এসেছিলেন শাসকদলের স্পিকার এবং বেশ কয়েকটি দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু জনতা তাতে খুশি নয়। তারা ওই জমানার পুরোপুরি বিলুপ্তি এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে গোঁ ধরে রইল। জনতাই জিতল। ২০১১-র অক্টোবরে সংসদীয় ভোট হল। কয়েকটি ধর্মনিরপেক্ষ দলকে সঙ্গে নিয়ে এনহাদা ইসলামি পার্টি কোয়ালিশন সরকার গড়ল।
তিউনিসিয়ায় শুরু হলেও বসন্তের পলাশ ফুটল আরও কয়েকটি আরব দেশে। জানুয়ারিতে যখন তিউনিস জনতা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল, সেই সময় মিশরের মানুষও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়াজ তুলল। তারা চিৎকার করে বলল, ‘হোসনি মুবারক, তোমার জন্য বিমান নিয়ে অপেক্ষা করছে বেন আলি।’ গোটা দেশ কায়রোয় জড়ো হল। কায়রোর সব রাস্তা মিশল ‘তাহরির স্কোয়ারে।’ ২৫ জানুয়ারি যে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা চলল ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওই দিন হোসনি মুবারক পদত্যাগ করলেন। বলা ভালো, জনতা পদত্যাগ করতে বাধ্য করল। ২০১১-এ তিউনিসিয়ায় যা শুরু হয়েছিল, অচিরেই তা মরু-বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল। তিউনিসিয়া, মিশরের পাশাপাশি লিবিয়া, ইয়েমেন, বাহরিন, সিরিয়া, মরক্কো, জর্ডনেও স্বৈরাচারী ও পারিবারিক একনায়কতন্ত্রী সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ রাস্তায় নামল। লিবিয়ার কুখ্যাত শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গদ্দাফির অপসারণের দাবিতে উত্তাল হল গোটা দেশ। ২০ অক্টোবর টিভি চ্যানেলগুলি গোটা দুনিয়াকে দেখাল, কীভাবে স্বৈরাচারী গদ্দাফিকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে মারছে একদল যুবক। কেউ খোঁজ নেয়নি, সেই যুবক কারা? এখন তারা কোথায়? সেদিন আরব দুনিয়ার একের পর এক দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার দায় কার?
গোটা দুনিয়া শুধু দেখেছে, একটার পর একটা দেশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর কীভাবে মরুদেশগুলি থেকে চিরতরে বসন্ত পালিয়ে গিয়েছে। আজ আরবের আকাশে শুধুই যুদ্ধবিমান আর মাটিতে ভ্রাতৃঘাতী ইসলামি উন্মাদনা। শুধু তিউনিসিয়াতেই নয়, আরবের যে সব দেশে ‘বসন্ত’ এসেছিল, তার কোনওটিতেই তা স্থায়ী হতে পারেনি। একনায়কতন্ত্র বা পরিবারতন্ত্র উৎখাত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার যোগ্য দাবিদার না থাকায় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। সেই শূন্যতাকে ব্যবহার করেছে উগ্র ইসলামি গোষ্ঠীগুলি। প্রতিটি দেশে চলছে গৃহযুদ্ধ। হানাহানি। দলে দলে যুবক যোগ দিচ্ছে বিভিন্ন ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীতে। ওই গোষ্ঠীগুলি জানে, বেকার, গরিব ও ধর্মান্ধ যুবকদের নিজেদের দলে টানা সহজ। অথচ, সেই সব দেশের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীরা আজ উধাও। এরাই তো একসময় ‘কুখ্যাত’ শাসকের তকমা দিয়ে বেন আলি, গদ্দাফিদের পতন চেয়েছিলেন। ডেকে এনেছিলেন ‘আরব বসন্ত’। সেই সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের কেউ প্রশ্ন করার নেই— গদ্দাফিহীন লিবিয়ায় এতদিনেও শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হল না কেন? কেন দিনের পর দিন সিরিয়ার নিরাপরাধ মানুষদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মরতে হচ্ছে? চোদ্দ বছর আগে লিবিয়া, সিরিয়া বা ইয়েমেনে জনতার হুঙ্কার যে বসন্তের উপস্থিতি ঘোষণা করেছিল, তা আজ বেপাত্তা। ওই তিনটি দেশই এখন গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত, দিশেহারা। বাকি আরব দেশগুলিতে কায়েম হয়েছে অভিজাত শ্রেণির শাসন-ই। যা অতীত, তাই বর্তমান...।
অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের ঘটনা দেখলে ভয় হয়। সেই একই ছবি। সেই গৃহযুদ্ধ, আগুন, ধ্বংসলীলা। দেখে মনে হবে, ভরা বর্ষায় সেখানকার তথাকথিত ছাত্রসমাজ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকরা যেন ‘বসন্ত’ খোঁজার চেষ্টা করেছেন। ২০২৩-এ বাংলাদেশে ভোটের আগে এই কথাই তো বলেছিলেন মস্কোয় রুশ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে আরব বসন্ত তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আমেরিকা। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে এই ষড়যন্ত্র করছেন।’ সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে অনেকে উড়িয়ে দিলেও, বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ হতে বেশি সময় লাগেনি।
প্রথমে কোটা আন্দোলন দিয়ে শুরু। তারপর কোটা সমস্যা মিটতেই নয় দফা আন্দোলনের ডাক। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেমে আসে এক দফায়— হাসিনা সরকারের পদত্যাগ চাই। ‘অন্তর্বর্তীকালীন গণতান্ত্রিক সরকার’ গঠনের ডাক দেয় গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। সাতটি ‘বামপন্থী’ ছাত্র সংগঠন নিয়ে গঠিত এই ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’। আসলে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছিল বাংলাদেশের ‘বামপন্থী’ ছাত্র সংগঠনগুলিও। শুনলে অবাক হবেন, এই ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব’ আসলে বিএনপি-জামাতের দীর্ঘদিনের। ফলে এই ইস্যুতে রাস্তায় নামার আহ্বান জানায় বিএনপি, জামাত ও হেফাজতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও। হাসিনা সরকার ফেলতে সাম্প্রদায়িক দলের সঙ্গে হাত মেলাতে কুণ্ঠাবোধ করেনি বামপন্থীরা। কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, আসল লক্ষ্য হাসিনাকে উৎখাত করা। দেশকে মৌলবাদীদের হাতে তুলে দেওয়ার ভয়ঙ্কর চক্রান্ত। আর সবকিছু পরিকল্পনার পিছনে হয়তো ছিল ঢাকার পাকিস্তানি হাইকমিশন সহ বিদেশি শক্তিগুলি। এ যেন মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের ‘বদলা’!
কোটা সংস্কারের দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলন শেষ পর্যন্ত পরিণত হয় রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক পালাবদলে। যার পরিণামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সেনার ঘেরাটোপে দেশ ছাড়তে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। সঙ্গে বোন রেহানা। হাসিনা ‘গণভবন’ ছাড়তেই এতদিন ঘাপটি মেরে থাকা মৌলবাদী ইসলামি গোষ্ঠীগুলিও মুখোশ খুলে ফেলে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পূর্ণাঙ্গ মূর্তি ভাঙা শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। ধানমন্ডির যে বাড়িতে নিহত হন বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান, হাসিনা বিরোধী আগুনে পুড়ে ছাই সেই সব স্মৃতি। সিঁড়ির মাঝ বরাবর রাখা ছিল তাঁর বুলেটবিদ্ধ দেহের সাদা-কালো ছবি। পাঁচ দশক আগে বাংলাদেশে রক্তাক্ত পালাবদলের সময় ওখানেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল শেখ মুজিবের দেহ। সেই ৩২ ধানমন্ডির মিউজিয়ামে জ্বলেছে ‘জাতির জনক’-এর স্মৃতি। মুছে গিয়েছে বঙ্গবন্ধুর যাবতীয় স্মৃতি। বাংলাদেশের কোনও বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিক তার প্রতিবাদ করেননি। বরং সেই ছবি ভাইরাল করে উল্লাস দেখিয়েছে কিছু ‘বিশ্বাসঘাতক’-এর দল!
হাসিনা দেশ ছাড়তেই তাণ্ডব। সমাজমাধ্যমে বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, গণভবনে ঢুকে আন্দোলনকারীদের একাংশের দাপাদাপি। যে যা পেরেছে সব লুঠ করেছে। কারও হাতে টেলিভিশন, কেউবা ফুলের টব, কারও হাতে রাজহাঁস-মুরগি। কেউ বা ছুটেছে চেয়ার হাতে। এমনকী বাদ যায়নি লেপ-তোষকও। একজন যুবককে আবার হাসিনার শয়নকক্ষে ঢুকে তাঁর বিছানায় সটান শুয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। ওই কয়েক ঘণ্টা বোঝাই দায়, এরা আন্দোলনকারী নাকি লুটেরা। শেখ হাসিনা তো এদেরই এতদিন ‘রাজাকার’ বলতেন। তাঁর ভুল কোথায় ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আর কারও নেই...।
বাংলাদেশের বাইরে গোটা দুনিয়ার হাতে ছবি আসছে প্রতিদিন। ছবি দেখেই টের পাওয়া যায়, ছাত্রসমাজের নামে আসলে হামলা চালিয়েছে কারা? বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলি সেইসব ছবি যতই লুকিয়ে রাখুক না কেন, বিশ্ববাসী জেনে গিয়েছে সিরাজগঞ্জে থানায় ঢুকে ১৩ পুলিস সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করার ক্ষমতা একমাত্র ‘সন্ত্রাসবাদীদের’ হয়। তারাই পারে দেশের স্বপ্ন ধ্বংস করতে। যে স্বপ্নে একটা দেশে গড়ে উঠেছিল মেট্রোরেল। এ যেন ২০১৩ সালের সেই বিএনপি-জামাতের হিংসালীলার পুনরাবৃত্তি! নয়তো কোটা আন্দোলনের রেশ কেন বাংলাদেশের প্রান্তিক হিন্দু পরিবারগুলির উপর এসে পড়বে?
শহিদ মিনারে হাজারো কণ্ঠে ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’ গানের সঙ্গে ড্রোন শট দিয়ে উপর থেকে ছবিটি দেখতে খুব সুন্দর। শুনলে হৃদয়ে আবেগ ঝরে পড়ে। সমস্যা হল এই সুন্দরের আড়ালে অসুন্দরও লুকিয়ে ছিল। তা টের পাওয়া গিয়েছে হাসিনার পদত্যাগের পর। মুখোশ খুলে বেরিয়ে পড়েছে আসল চেহারা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা হত্যার বিচার চেয়েছিল। কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনে এত মানুষের প্রাণ গিয়েছে, যা দেশের কেউ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। বিচার ব্যবস্থায় আস্থা নেই, তাই নয় দফা দাবি তুলেছিলেন। তারপর হঠাৎ গোটা দেশকে অগ্নিগর্ভ করে তুলতে এক দফা দাবি। ছাত্র নেতারা বলে ফেলেছেন, সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে একটি সম্মিলিত মোর্চা গঠন করার কথা। বলে ফেলেছেন, সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাঁরা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ‘জাতীয় রূপরেখা’ হাজির করবেন। অর্থাৎ ছাত্র নেতারা এখন রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষে মত্ত। কেন? কোটা থেকে সরাসরি চলে গেলেন মোর্চা গঠন করে বাংলাদেশের রূপরেখা তৈরিতে? তাহলে তো প্রমাণ হয়ে গেল, হাসিনাকে উৎখাত করাই আন্দোলনের একমাত্র অভিমুখ ছিল। ছাত্রনেতারা তো এখন আর চাকরি নয়, ক্ষমতা চায়। আর এই ভয়ঙ্কর শক্তির মুখোশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের তথাকথিত বামপন্থী ছাত্ররা! যারা সারা জীবন আন্দোলনে শুধুই ‘রোমান্টিকতা’ খুঁজে বেড়ান! কেউ খেয়ালই করছেন না, হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকেই তো এখন লাল থেকে কালোতে ফিরে আসছেন। আসলে কোটা আন্দোলনের হিসেবটা শুরু থেকে এটাই ছিল। তার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করা হয়েছে মাত্র। সেই আবেগের জোরে বাংলাদেশে পালাবদল। একেবারে ‘আরব বসন্ত’-র জেরক্স কপি!
ভয় হয়... হয়তো একদিন লিবিয়া, সিরিয়ার তালিকায় উঠবে বাংলাদেশেরও নাম। সেদিন ফিরেও তাকাবে না আমেরিকা, পাকিস্তান, চীন কিংবা রাষ্ট্রসঙ্ঘ। মরুদেশগুলির মতোই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে গোঁড়া ইসলামিক দেশ। মৌলবাদী সংগঠনগুলি এখন সেই স্বপ্নে বিভোর...।
1Month ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বহু প্রচেষ্টার পর আটকে থাকা কাজের জটিলতা মুক্তি। কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায় বিশেষ উন্নতি। আয় বাড়বে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৭.৭৯ টাকা১১১.৩৩ টাকা
ইউরো৯০.৯৫ টাকা৯৪.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা