বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
বর্তমানে কাজের ক্ষেত্রে ভীষণভাবে এই রোবটেরই সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। ট্রান্সফর্মার বা খেলনা হিসাবে নয়, রোবটের কাজ হচ্ছে বড়বড় ইন্ডাস্ট্রিতে। টেকনোলজির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে রোবটিক্সের ক্ষেত্রেও উন্নতি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের কাজে লাগানো হচ্ছে রোবটকে। কিছু ক্ষেত্রে গৃহস্থালির কাজ যেমন রয়েছে, আবার বাণিজ্যিক বা সামরিক কাজেও রোবট সাহায্য করে। বম্ব ডিস্পোজাল, দুর্যোগ থেকে মানুষকে উদ্ধার করা বা মানুষের কষ্ট সাধ্য কাজ লাঘব করার মতো বিভিন্ন কাজে রোবটকে লাগানো হয়। রোবটকে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গণিতের কাজেও ব্যবহার করা যায়।
রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং একটি ইন্টারডিসিপ্লিনারি সাবজেক্ট। এর মধ্যে রয়েছে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং , ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এবং অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়। কম্পিউটারের ব্যবহার বিশেষভাবে করা হয়। রোবটকে ব্যবহার করার জন্য কম্পিউটার সিস্টেমের সাহায্য নেওয়া হয়। কন্ট্রোল করা, সেনসরি ফিডব্যাকের জন্য এবং ইনফরমেশন প্রসেসিংয়ের মতো কাজগুলি কম্পিউটারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষের বিকল্প হিসাবে। এখন এমন রোবটও তৈরি করা হচ্ছে যেগুলি হাঁটতে পারে, কোন জিনিস ওঠাতে বা নামাতে পারে— বলা যায় মানুষ যে ধরনের কাজ করতে পারে তার কাছাককাছি কাজ এই রোবটরা করতে পারে।
রোবট নিয়ে এখন এই রাজ্য থেকেই পড়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। রোবটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ চার বছরের বি টেক পড়া যায় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে। নেওটিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং রোবটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বি টেক কোর্সে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে অঙ্ক, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন বা কম্পিউটার সায়েন্স এই তিনটি বিষয়ে সম্মিলিতভাবে ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। আবার ছ’বছরের কোর্স শেষ করলে এম টেক ডিগ্রি পাওয়া যায়। ছাত্র-ছাত্রীরা চার বছরের বি টেক করে পড়া শেষও করতে পারে। আবার শর্ট টার্ম কোর্সেও রোবটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যায়।
উৎপাদন ক্ষেত্রে রোবটের সাহায্য নিয়ে যে অস্বাভাবিক উন্নতি হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে বড় শিল্পে পরিণত হবে এই রোবট শিল্প। রোবটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে রোবটের ডিজাইন কেমন হবে, কনস্ট্র্যাকশন কেমন হবে, অপারেশন কেমন হবে বা অ্যাপ্লিকেশন কেমন হবে সবই ঠিক করতে হয়।
মেকানিক্যাল, ইলেট্রিক্যাল বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মিলমিশে তৈরি হওয়া এই বিষয় সৃজনশীল ইঞ্জিনিয়ারদের আগ্রহের বিষয়। রোবটের ব্যবহার সামরিক, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কৃষি ক্ষেত্র, উৎপাদন শিল্প, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, বিভিন্ন কলকারখানায় হয়ে থাকে। সে কারণে রোবটিক ইঞ্জিনিয়ারদের এইসব ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ রয়েছে অটোমেশন সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে, প্রোগ্রামিং ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে, রোবট ডিজাইনার হিসাবে, প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসাবে বা টেস্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে।
নিজস্ব প্রতিনিধি