বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
ফিল্ম তৈরি হয় মূলতঃ দু’টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে – রিয়েলিজম এবং ফর্মালিজম। ছবির ক্যানভাস একটিকে ধরলে অপরটি জানালা বলা যেতে পারে। এই ক্যানভাসে ফিল্মমেকার যে ছবি ধরতে চাইছেন তা সুন্দর করে ফ্রেমের মধ্যে এঁকে তোলেন। যেটা আমরা দেখি। রিয়েলিজম হল ওই ছবিটির মধ্যে যে মূল সারাংশ যা বাস্তব জীবনের অংশ সিনেমার জানলা দিয়ে যাকে আমরা দেখতে পায় তাকে বলা হয়। এভাবে কোনও ঘটনা ফিল্মমেকার আমাদের সামনে খুব সহজভাবে তুলে ধরেন।
বিষয়টি ততটা সহজ নয়। এর জন্য প্রচুর পড়াশোনার দিকটিও থাকে। গ্ল্যামারস পেশা হলেও পড়াশোনার দিকটিকেও সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হয়। আর এর জন্য এগিয়ে আসে ফিল্ম স্টাডিজ। এর বিষয়বস্তু খুবই বড়। ছোট করে বলতে গেলে – প্রথমেই থাকে অ্যানালিসিস – যেকোন ফিল্মকে ভাগে ভাগে দেখার বিষয়। কীভাবে তাতে কাজ করা হয়েছে, কীধরনের কম্পোনেন্ট ব্যবহার হয়েছে প্রভৃতি। হিস্ট্রি – ফিল্মের বর্তমান পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে। থিওরি – ফিল্মের বিষয়ে একটি তাত্ত্বিক দিক তৈরি করা। অথোরশিপ- ফিল্মকে প্রতিটি মানুষের মনে একটি ফিল্মমেকারের সৃষ্ট বিষয় হিসাবে দেখানো। গোত্র (Genre)– কথোপকথন সহ সামাজিক ক্রিয়াগুলির মোশা পিকচার তৈরি করতে হয়। এই কাজগুলি করার জন্য ফিল্ম স্টাডিজের মধ্যে রয়েছে ইলিউশন অব মুভমেন্ট, প্রি সিনেমা টয়েজ অ্যান্ড মেশিন, ফিল্ম প্রোডাকশন, ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড এক্সিজিবিশন, সিনেমাটোগ্রাফি অ্যান্ড লাইটিং, এডিটিং, সাউন্ড, স্টুডিও সিস্টেম, ভিডিওগ্রাফি, জাপানিজ সিনেমা, ইতালিয়ান সিনেমা, হলিউডের সিনেমা সংক্রান্ত পর্যালোচনা। মুম্বই ফিল্ম, বাংলার ছবি সংক্রান্ত আলোচনা সবই থাকে। থাকে প্রচুর সংখ্যক প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস।
এরাজ্যের অনেকগুলি বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম স্টাডিজ নিয়ে পড়িয়ে থাকে। স্নাতক স্তরে বিএ এবং বিএসসি হিসাবে ফিল্ম স্টাডিজ পড়া যায়। আবার স্নাতকোত্তরস্তরেও ফিল্ম স্টাডিজ নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্সও করা যায়। আবার ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্টাডিজ নিয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা হিসাবেও পড়া যায়। আলাদা করে স্ক্রিপ্ট রাইটিং, ফোটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি, ফিল্ম ডিরেকশন, অ্যাক্টিং, ফিল্ম এডিটিং, অ্যাডভান্সড ফিল্ম মেকিংয়ের শর্ট টার্ম কোর্সও করা যায়।
পড়া শেষে কাজের সুযোগ রয়েছে গ্ল্যামারাস পেশায় প্রবেশের। টিভি প্রোডিউসার, টিভি এডিটর, টিভি নিউজ ফিচার হেড, ফিল্ম প্রোডাকশন কো-অর্ডিনেটর হওয়া যায়। এছাড়া নিজস্ব প্রোডাকশন হাউজ গড়ে তোলা যায়, ফিল্ম স্টুডিও তৈরি করা যায়, মিউজিক কোম্পানি, ডিরেকশন কোম্পানি তৈরি করা যায়। স্ক্রিপ্ট রাইটার, ডিরেকটর, ক্রিটিক বহু ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে। মিডিয়ার সাথেও যুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।