উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এ তো মানুষেরই কর্মফল। মানুষ নিজেই নিজের সর্বনাশ করেছে। তার প্রায়শ্চিত্ত করছে এখন। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আবার সব আগের মতো হবে কি না সে বিষয়ে আমি কিন্তু যথেষ্ট সন্দিহান! আমার বড় মেয়ে জ্যোতিষচর্চা করে। আমি নিজেও জ্যোতিষে বিশ্বাস করি, তা ও বলছিল আবার সবকিছু আগের মতো হওয়া সম্ভব নয়।
কিন্তু আপনার নতুন বাংলা গান ‘রাত আসে’ তো আশার আলোই দেখাতে চায়...
হ্যাঁ, গানটা শ্রীরাজ খুব সুন্দর লিখেছে, ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছে। রকেট মণ্ডল সুন্দর সুর করেছে, সফট রক টাইপের সুর। এ মাসেই অনলাইনে মুক্তি পাবে আশা অডিও থেকে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি সন্দিহান যে, আবার সবকিছু আগের মতো হবে কি না! তবে হ্যাঁ, এখন পজিটিভ ভাবতে হবে, নেগেটিভ ভাবলে মুশকিল।
সবকিছু তো বন্ধ, রেকর্ডিং করলেন কী করে?
হ্যাঁ, সে একটা গল্প! মুম্বইয়ের সমস্ত স্টুডিও বন্ধ। আমার বাড়িতে সুমিতের একটা রেকর্ডিং স্টুডিও ছিল। কিন্তু সেটাও সারানোর জন্য ভাঙা হয়েছে। তাই আমি সত্যিই চিন্তায় ছিলাম যে, রেকর্ডিং হবে কী করে! রকেট বলল, সেলফোনে গেয়ে পাঠিয়ে দিন। কিন্তু সেলফোনে কি গান রেকর্ডিং হয়? আমি রাজি হইনি। তখন আমার যে ব্যাকআপ টিম আছে সেই মুম্বই মেডলির সিইও সঞ্জয় সাহা বলল, দাঁড়ান আমি একটা সফটওয়্যারের ব্যবস্থা করছি। সেই সফটওয়্যারে আমার এই গৌরীকুঞ্জের অফিসে বসে আমি গানটা রেকর্ড করলাম। এত ভালো রেকর্ড হয়েছে যে, বোঝাই যাবে না, এটা স্টুডিওর বাইরে হয়েছে। এটাই তো বদলে যাওয়া সময়, নিউ নর্মাল! আমি এই অফিসে বসে এখনও পর্যন্ত ছ’টা ফাংশন করেছি। সবকটাই অবশ্য কর্পোরেট শো। আগামী দিনে অনলাইনেই সবকিছু হবে। গত ৩ জুলাই আমার জন্মদিনে ইউটিউবে আমার একটা চ্যানেল লঞ্চ হল। সেখানে তো বিপুল সাড়া পাচ্ছি। তার আগে আমার ‘কুমার ব্রাদার্স মিউজিক’ (কেবিএম) কোম্পানির ইউটিউব চ্যানেল চালু করেছিলাম, সেটাও বিরাট সাফল্য। আমি চাই, অন্য শিল্পীরাও ‘কেবিএম’-এর ব্যানারে গান গাইতে এগিয়ে আসুক। এটা একটা কমার্শিয়াল প্ল্যাটফর্ম।
সম্প্রতি এ আর রহমান বলেছেন, বলিউডের কোনও একটি গোষ্ঠী চাইছে না তাঁকে দিয়ে কাজ করানো হোক। তারা অন্যদেরও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। আপনি কি মনে করেন বলিউডে এ জিনিস হয়?
হয় কি, হচ্ছে তো! দেখুন, রহমান একজন অত্যন্ত সফল এবং জনপ্রিয় সুরকার। তিনি যখন বলেছেন, তখন ধরেই নেওয়া যায় যে, তিনি ঠিক কথাই বলছেন। তিনি তো আর মিথ্যে বলবেন না! তবে আমার বাবা যখন কাজ করেছেন বা আমিও যখন কাজ করেছি তখনও পলিটিক্স হতো, কিন্তু কোনও একজনকে কাজই করতে দেব না, এতটা ছোটলোকমি হতো না। আমি ফিল্ম লাইন ছেড়ে দিয়ে দিব্যি আছি এখন, কোনও সমস্যা নেই।
আপনি ফিল্ম জগতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন কেন? আপনার সঙ্গেও কি এরকম হয়েছিল?
(একটু সময় নিয়ে...খানিকটা অনিচ্ছার সঙ্গে) হ্যাঁ, আমার সঙ্গেও হয়তো পলিটিক্স হয়েছে। তবে আমি এসবকে পাত্তাই দিইনি। ধুর, (অত্যন্ত তাচ্ছিল্যের সঙ্গে, মুখে আওয়াজ করে)। আমি নিজেই সরে গিয়েছি। আমি অন্য রকমের মানুষ। দুঃখে গলায় দড়ি দেব, তেমন মানুষ নই আমি। এখন তো দিব্যি আছি। সিনেমা লাইনের বাইরে বেরিয়ে গান নিয়ে, আমার কেবিএম লেবেল নিয়ে কাজ করে, শো করে আই অ্যাম হ্যাপি। আমার আঠারোটা গান রেকর্ড হয়ে রয়েছে। শুধু ভিডিও বানানো বাকি, তাই রিলিজ করতে পারছি না। এখন তো কেউ আর গান শুধু শোনে না, দেখে! (হাসি) তবে এখন তো অনেকেই এসব নিয়ে মুখ খুলেছেন। শত্রুঘ্ন সিনহা, শেখর সুমন এঁরা তো বলছেন। এই দাদাগিরি বেশিদিন চলবে না। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হ্যাজ গট আ টাইট স্ল্যাপ।