উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিশাল স্টারকাস্ট নিয়ে আসছে এই ধারাবাহিক। দুলাল লাহিড়ী, রত্না ঘোষাল, চন্দন সেন, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, সোহিনী সেনগুপ্ত, অনুশ্রী দাস, জয়শ্রী— মূলত এঁরাই তৈরি করেছেন সৌজন্যর পরিবার। প্রোমো জানান দিচ্ছে, মধ্যবিত্ত একান্নবর্তী এই পরিবারের প্রতিটা চরিত্র নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে রঙিন। আর সেই পরিবারেরই এক সদস্যকে জন্মদিনের পার্টির আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে সৌজন্যের সঙ্গে প্রথম দেখা গুনগুনের। তবে পার্টির আমন্ত্রণ জানাতেই গুনগুনের প্রতি ছুটে আসে সৌজন্যের তির্যক সংলাপ, ‘সরি, আমাদের বাড়ির মেয়েরা রিসর্টে গিয়ে পার্টি অ্যাটেন্ড করে না!’বোঝাই যাচ্ছে, প্রথম আলাপ নেহাতই সুখকর নয়। কী লেখা রয়েছে তাদের ভাগ্যে তা অন্বেষণ করবে কাহিনী। আর এই পরিবার প্রসঙ্গে লীনার বক্তব্য, ‘আসলে এই ধরনের একান্নবর্তী পরিবার এখন প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তাছাড়া এই করোনার সময়ে মানুষ খুবই টেনশনে রয়েছেন। তাঁদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্যই এইরকম বৈচিত্র্যে ভরা একটা পরিবার তৈরি করলাম।’
কৌশিক ও তৃণা এর আগে বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে কাজ করলেও এই প্রথম একসঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন। ‘কলের বউ’ ধারাবাহিকের পর বেশ অনেকটা সময় নিয়ে আবার ধারাবাহিকে ফিরছেন তৃণা। বলছিলেন, ‘সাধারণত একটা প্রজেক্টের পর আমি ইচ্ছে করেই কিছুটা সময় নিই। তাহলে নতুন উদ্যমে কাজটা শুরু করা যায়।’ গুনগুন মেয়েটি কি একটু সাহসী? ‘আমি বলব, সোজাসাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করে। আর সেখান থেকেই বিবাদের সূত্রপাত। চরিত্রটা খুবই সমকালীন।’ অন্যদিকে ‘ফাগুন বউ’-এর পর আবার ছোটপর্দায় কৌশিক। এবারে লিড চরিত্র, দায়িত্বও বেশি। ‘সবে প্রোমো শ্যুট হয়েছে বলে আমি খুব বেশি বলতে চাই না। তবে লীনাদির সঙ্গে কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি নিজেকে বারবার প্রমাণ করার সুযোগ দেবেন তিনি,’ বিশ্বাস কৌশিকের। তবে, ইন্ডাস্ট্রির একঝাঁক শক্তিশালী অভিনেতাদের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন বলে তাঁরা যে বেশ টেনশনে রয়েছেন, সেকথাও জানিয়ে রাখলেন তৃণা ও কৌশিক।
সৌজন্যর পরিবারের আভাস পাওয়া গেলেও গুনগুনের পরিবারটি ঠিক কীরকম? জানা গেল গুনগুনের বাবা ও এক পিসি রয়েছে যে চরিত্রগুলোয় অভিনয় করছেন যথাক্রমে অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ও শুচিস্মিতা। এই প্রসঙ্গে খুব বেশি খোলসা করতে না চাইলেও লীনা জানালেন, ‘গুনগুনের জীবনে দুঃখ রয়েছে। কোনও একটা সময় ও বুঝতে পারবে যে অর্থ সুখ দিতে পারে না, ভালো থাকা ও ভালোবাসাই জীবনকে সুখকর করে তোলে।’ ধারাবাহিকের প্রযোজক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ও গল্প নিয়ে বেশ আশাবাদী। তাঁর কথায়, ‘।’ চলতি সপ্তাহেই শুরু হবে শ্যুটিং।