উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
সুপরিচিত সাংস্কৃতিক সংস্থা হেরিটেজ বেঙ্গল সম্প্রতি রবীন্দ্রসদনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে জন্ম শতবর্ষে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করল। প্রথিতযশা এই শিল্পীর ২০ ফুট কাটআউটের পাশে রাখা ছিল তাঁর ব্যবহৃত মোটর গাড়িটি। শিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। শিল্পীর জীবন ও কাজ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। হেমন্তর কিছু জনপ্রিয় গান অঙ্গিতা ভট্টাচার্য, জীমূত রায় ও সাগ্নিক সেন পরিবেশন করেন।
দ্বিতীয় দিন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর নানা ব্যক্তিগত স্মৃতি ভাগ করে নেন প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ও সুর দেওয়া সমস্ত গানের তালিকা সহ একটি সংকলন গ্রন্থ ‘নীল ধ্রুবতারা’ এদিন প্রকাশিত হয়। পণ্ডিত শুভজিৎ ও কল্যাণ মজুমদার সেতারে এই কিংবদন্তি শিল্পীর ১২টি জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। শেষলগ্নে হেমন্তর গাওয়া বিভিন্ন সময়ের বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে প্রায় কুড়িটি গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের নস্ট্যালজিয়ায় বেঁধে ফেলেন শ্রীকান্ত আচার্য ও জয়িতা চক্রবর্তী।
—পল্লব মিত্র
কত্থক যুগল
দ্বৈত কত্থক নৃত্যের আয়োজন করেছিল পদাতিক ডান্স সেন্টার ও সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি। প্রবীণ বেনারস ঘরানার নৃত্যশিল্পী নলিনী ও কমলিনী আর কলকাতার তরুণ শিল্পীদ্বয় সন্দীপ মল্লিক ও শৌভিক চক্রবর্তী ছিলেন জ্ঞানমঞ্চে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। বেনারস ঘরানার দাপুটে বোল, পরণ, ঠাট, আকাশচারী বোলের ইতিহাস ও চলনের ছাপ সুস্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুললেন ভগ্নীদ্বয় নৃত্য ও নাট্যের মাধ্যমে। ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে’ নিবেদনটি ছিল বেশ মনোগ্রাহী। সহযোগী শিল্পী আকবর লতিফের তবলা বাদন বহুদিন মনে থাকবে। কণ্ঠে নলিনী নিগম, বেহালায় আফজল জোহর, বাঁশীতে অতুল শঙ্কর প্রত্যেকেই যথাযথ।
সন্দীপ মল্লিক ও শৌভিক চক্রবর্তী দু’জনেই নৃত্যরসিক মহলে ইতিমধ্যেই বাহবা কুড়িয়েছেন। তাঁদের নৃত্য উপস্থাপনায় এক স্বকীয়তা লক্ষ করা যায়। উপস্থিত বুদ্ধি, অটুট বোঝাপড়া ও রেওয়াজের সমাহার ছিল এই সন্ধ্যার নিবেদনে। দু’জনেই বিরজু মহারাজের সুপ্রশিক্ষণে আরও মসৃণ হয়ে উঠেছেন। আদি তাল ও ধামারের চক্রদার, বোল, পরণ বেশ চিত্তাকর্ষক। যথাযোগ্য সঙ্গতে ছিলেন চন্দ্রচূড় ভট্টাচার্য সেতারে, সারেঙ্গিতে উমেশ মিশ্র এবং তবলায় বিশ্বজিৎ পাল ও অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায়।
—পাপিয়া চৌধুরী