পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
জি বাংলার ‘মিঠি ঝোরা’ ধারাবাহিকে প্রথমবার নেগেটিভ চরিত্রে সুযোগ পাওয়া কি চ্যালেঞ্জিং ছিল? দেবাদৃতার উত্তর, ‘অভিনেতা হিসেবে তফাৎ শুধু এটুকুই, অন্য ধরনের একটা চরিত্র করছি। চরিত্রটা ভালো লেগেছে, ভীষণ বাস্তব মনে হয়েছে, তাই নীলু চরিত্রে অভিনয় করছি।’ এই ধারাবাহিক দর্শক ইতিমধ্যেই পছন্দ করছেন। দর্শকের রুচি বদলেছে। সেকথা মাথায় রেখেই সাজিয়েছেন নির্মাতারা। অভিনেত্রী বললেন, ‘আমরা যেমন দেখি নায়িকা ধীরে সুস্থে আসবে, খুব সুন্দর ভাবে হাঁটবে, চুল উড়বে, রোমান্টিক দৃশ্য থাকবে, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ‘মিঠি ঝোরা’ ফ্যামিলি ড্রামা।’
ব্যক্তিগত পছন্দ
কোনও চরিত্র দর্শকের দরবারে জনপ্রিয়তা না পেলেও একজন অভিনেতার কাছে পছন্দের হয়ে উঠতে পারে। সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে দেবাদৃতার। ‘আমি একটা ধারাবাহিক করেছিলাম, ‘শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত মীরা’। সেখানে ‘মীরা’ চরিত্রটা আমার খুব পছন্দের ছিল। কিন্তু ওই ধারাবাহিক সেভাবে চলেনি। আমি খুব হতাশ হয়েছিলাম। আবার ‘মিঠি ঝোরা’ নীলুও আমার অভিনয়ের খিদে কিছুটা মিটিয়েছে। কারণ কোনও পরিস্থিতিতে সে যেভাবে রিঅ্যাক্ট করে, সেটা কারও ভালো লাগবে। কারও হয়তো লাগবে না। কেউ হয়তো সেই জায়গায় নিজেকে দাঁড় করিয়ে দেখবে। আসলে প্রত্যেকটা চরিত্রেরই একটু হলেও অন্ধকার একটা দিক থাকে। তবে নীলু খুব ভারসাম্য বজায় রাখা একটা চরিত্র’, বললেন তিনি।
টিআরপি
ধারাবাহিক মানেই টিআরপির চাপ। কিন্তু দেবাদৃতা বিষয়টা অন্য ভাবে ব্যখ্যা করলেন। তাঁর কথায়, ‘টিআরপি একটা সিস্টেম, যার উপর অনেক বিষয় নির্ভর করে। পাশাপাশি মানুষ যেটা পছন্দ করবে একজন অভিনেতা হিসেবে আবার আমার সেই কাজটা পছন্দ নাও হতে পারে। সবার নিজস্ব মতামত থাকবেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলব, আমি যে শুধু হিট দিয়েছি তা নয়, আমার কাজ ফ্লপও হয়েছে। সব কিছুর জন্যই তৈরি থাকতে হবে।’
সামাজিক মাধ্যম
সামাজিক মাধ্যম এখন জীবনের অঙ্গ। কিন্তু দেবাদৃতা শুধুমাত্র প্রয়োজনেই ব্যবহার করেন বলে জানালেন। ‘আমি পাবলিক ফিগার, অনুরাগীদের অনুরোধেই সমাজমাধ্যমে থাকতে হয়। প্রয়োজনেই থাকি। আসলে আমার মনে হয় সোশ্যাল মিডিয়া খুব খারাপ জায়গায় চলে যাচ্ছে। অনেকে নিজের মান সম্মান নিজেরাই হারাচ্ছেন। এই মাধ্যমের অপব্যবহারই বেশি হচ্ছে।’
অভিনয়ের ভিত
ছোট থেকে থিয়েটার করেছেন দেবাদৃতা। সেই অভ্যেস তাঁর কাজে লাগছে। স্পষ্ট বললেন, ‘থিয়েটার আমাকে অভিনয়ে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। দর্শকদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করেছে। ধারাবাহিকে অভিনয় করতে আসার পর ক্যামেরা দেখে ভয় পাওয়ার ঘটনা আমার সঙ্গে ঘটেনি। প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসটা ছিল।’