পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
• কলেজের দুই বন্ধু। পেশার খাতিরে বহু বছর একসঙ্গে পথ চলেছেন। অনস্ক্রিনে পরিচালক যেমন চরিত্র দেন, তাতে তাঁরা পারফর্ম করেন। কিন্তু অফস্ক্রিনে এখনও কলেজ ক্যান্টিনের খুনসুটি স্পষ্ট। অজয় দেবগণ এবং টাবুর সম্পর্কটা এখনও যেন কলেজ ক্যাম্পাসেই বড় হচ্ছে। মুম্বইয়ে তাঁদের আসন্ন ছবি ‘অউর মে কাঁহা দম থা’র ট্রেলার লঞ্চে ফের তা মনে হল।
নায়কসুলভ উপস্থিতি অজয়ের। পাশে নায়িকা টাবু। কিন্তু কথা শুরু হতেই নায়ক-নায়িকার খোলস থেকে যেন বেরিয়ে এল দুই বন্ধু। হাসি, একে অপরের দিকে তাকানো, ফের সিরিয়াস মুখে প্রশ্নের সওয়াল জবাবে তখন ফিরে দেখার মুহূর্তরা হাজির।
টাবুর সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগে? জানতে চাইলে অজয়ের উত্তর, ‘এখন আর কিছু মনেই হয় না। এত কাজ করে ফেলেছি।’ টাবু কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। তাঁকে থামিয়ে যোগ করলেন, ‘ও এসেই কমপ্লেন করা শুরু করে দেয়। খুব গরম পড়েছে। এসব বলে...।’ অজয়ের দিকে তাকিয়ে টাবুর খুনসুটি, ‘ও তো গসিপ শুরু করে দেয়। সকলের কথা জিজ্ঞেস করে।’ উত্তর শেষ হতে না হতেই অজয়ের মুচকি হাসির সঙ্গে কথা উড়ে এল, ‘তার মানে ওর কাছে খবর থাকে।’
দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করছেন এই জুটি। প্রথম দিন শ্যুটিংয়ের কথা আজও মনে পড়ে? টাবু কিছু বলার আগেই অজয় বললেন ‘আমার তো মনে নেই।’ উত্তরের প্রত্যাশায় টাবুর দিকে তাকালেন নায়ক। ‘ওকে তো অনেক আগে থেকে চিনতাম। যতদূর মনে পড়ে একটা গানের শ্যুটিং ছিল প্রথম দিন।’ (এই পর্যন্ত বলে, দু’জনেই কেমন যেন অতীতে ফিরে গেলেন)। ভালোবাসার ছবি নিয়ে দর্শকের সামনে হাজির হবেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে এই ছবিটি করতে রাজি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে অজয় দাবি করলেন, ‘চিত্রনাট্য শোনার পরেই ভালো লেগেছিল আমার। বাণিজ্যিক ভাবে কী হবে তা নিয়ে ভাবছিলাম। তখন নীরজ (পাণ্ডে, পরিচালক) বলে ভেবো না। এগুলো করাও গুরুত্বপূর্ণ।’ ট্রেলারে আভাস পাওয়া যায়, ২৩ বছর বাদে আবার দেখা হচ্ছে অজয়-টাবুর। ২৩ বছর বাদে আপনারা কিছু বদলাতে চান? অজয়ের উত্তর, ‘২৩ বছর বাদে এসে কিছুই বদলাতে চাই না।’ (পাশে দাঁড়িয়ে সম্মতি দিলেন টাবুও)। ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে প্রিয় কালো কফি ছিল অজয়ের সঙ্গী। ঘনঘন তাতে চুমুক দিয়ে জানালেন, নিজে থ্রিলার দেখতে বেশি পছন্দ করেন। তবে পেশাদার জায়গায় সব ধরনের ছবিতে কাজ করতে ভালোবাসেন।
টাবুর উপস্থিতিতে কলকাতা নিয়ে কথা হবে না, তা হয় না। কলকাতায় আবার কবে যাবেন? সরাসরি তাকিয়ে নায়িকা উত্তর দিলেন, ‘কাউকে কেন ভালোবাসি বলা যায় কি? কলকাতার সঙ্গে আমার সম্পর্ক তেমনই। বছর তিনেক আগে পুজোয় কলকাতা গিয়েছিলাম। আবারও খুব তাড়াতাড়ি যাব।’
চোখে কালো চশমা, কালো শার্ট। তিনি যেন সাধারণের মধ্যেও অসাধারণ। সহজে মিশে যেতে পারেন অজয়। আর টাবু যেন ঝলমলে কিশোরী। বয়স যেন তাঁকে দেখে লজ্জা পায়। অনুষ্ঠান জুড়ে অজয়ের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টায় যোগ্য সঙ্গত করলেন তিনিও। সঙ্গে ছিলেন জিমি শেরগিল, শান্তনু মহেশ্বরী, পরিচালক সহ আরও অনেকে।