পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
ব্যক্তিগত জীবনের আপনার সঙ্গে কখনও বুমেরাং হয়েছে?
(হাসি) দীর্ঘদিন ধরে আমি বলতাম, আর যাই করি কখনও অভিনেত্রী হব না। আর এখন আমি ‘বুমেরাং’ নামে একটা ছবি করে ফেললাম। এর থেকে বড় বুমেরাং আর কী হতে পারে?
ছবিতে ন্যাড়া মাথার লুকটা মেনস্ট্রিম নায়িকা হিসেবে ঝুঁকির মনে হয়েছিল?
না। কারণ আমি কেরিয়ারের শুরু থেকেই নিজেকে ভাঙতে, গড়তে চেয়েছি। দুই বাচ্চার মায়ের চরিত্র করেছি। তখন সবে দু-এক বছর হল কাজ করছি। অনেকে বলেছিল, এখনই দু’বাচ্চার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা উচিত নয় বা মেনস্ট্রিম নায়িকার এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা উচিত নয়। কিন্তু আমার কখনও এমন মনে হয়নি। ন্যাড়া মাথার লুকটা প্রথমে ছবিতে ছিলই না। হঠাৎই একদিন পরিচালক শৌভিক কুণ্ডু এই লুকটার কথা বলেন। উনি যখন যুক্তি দিয়ে যখন বোঝালেন, দর্শককে চমক দেওয়ার জন্য নয়, গল্পের প্রয়োজন বলেই এটা দরকার। তখন কনভিন্সড হলাম। আসলে আমি এখনও অভিনেত্রী হিসেবে আমার কাজটা মার্ক করতে শিখিনি। এখনও সেটা দর্শক হিসেবেই দেখি। দর্শক কী বুঝবেন, সেটা খোঁজার চেষ্টা করি।
আপনার দ্বৈত চরিত্র, তার প্রস্তুতি কেমন ছিল?
দ্বৈত চরিত্রের আমার দেখা সবথেকে প্রিয় ছবি ‘সীতা অউর গীতা’। দু’জনই মানুষ এমন দ্বৈত চরিত্র অনেকে করেছেন। কিন্তু একটা চরিত্র মানুষ, আর একটা চরিত্র রোবট— এটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। পাশাপাশি এটা আমার প্রথম কমেডি। বাংলায় আমার মনে হয় প্রথমবার দ্বৈত চরিত্রে একজন মানুষ আর একটি রোবটকে দেখছেন দর্শক।
পেশাদার ব্যর্থতাকে সামলান কীভাবে?
বাবা শেখাতেন, সাফল্যকে মাথায় উঠতে দিও না। ব্যর্থতাকে মনের মধ্যে ঢুকতে দিও না। আমি জানি, সাফল্য বা ব্যর্থতা কোনওটাই স্থায়ী নয়। যে কোনও পরিস্থিতিতে পরিবার আর বন্ধুরা আমার সাপোর্ট সিস্টেম। তারা আমাকে বাস্তবটা দেখাতে থাকে সবসময়।
কেরিয়ারের সাত বছর পরও ‘দেবের প্রেমিকা’, শুধুমাত্র এই পরিচয় থেকে ‘নায়িকা’ রুক্মিণী হয়ে উঠতে অর্থাৎ ‘নায়িকা’ পরিচয়টা প্রাথমিক পরিচয় তৈরি করতে নিজেকে আর কী করতে হবে বলে মনে করেন?
আমার হাতে কী আছে, সেটা আমাকে ভাবতে হবে। সে কারণেই আমি শুধু নিজের অভিনয়টা মন দিয়ে করার চেষ্টা করি। আমি কিন্তু এই শর্তের মধ্যে নিজেকে বেঁধে রাখিনি। ফলে লোকে এসব যত বলবে, আমি তত এগিয়ে যাব।
দেবের গাইডেন্সে ভবিষ্যতে আপনিও সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিতে চান?
না না। এই মুহূর্তে আমি নেত্রী হতে চাই না (হাসি)। অভিনেত্রী হিসেবেই খুশি। তবে দেবের জন্য সবক্ষেত্রেই আমি খুব গর্ব বোধ করি। ওকে দেখে শিখতে পারি।