বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
অভিজাত হোটেল ‘শাহজাহান রিজেন্সি’তে সাধারণ মানুষ চেক ইন কেন করবেন?
শঙ্করের লেখা ‘চৌরঙ্গী’ এবং চৌরঙ্গী সিনেমার পর ‘শাহজাহান রিজেন্সি’র মধ্যে অনেকগুলো যুগ বদলে গিয়েছে। সামাজিক বিবর্তন, হোটেল ব্যবসায় বিবর্তন, মানুষের ভাষা, পোশাক, জীবনযাত্রা সব কিছুতেই বদল ঘটেছে। সুতরাং ‘শাহজাহান রিজেন্সি’তে সাধারণ মানুষ নতুন অনেক কিছু পাবেন। তাই চেক ইন করতে অসুবিধা কোথায়।
ছবিটা অনুসরণ নাকি অবলম্বন?
আমি বলব উপন্যাসের অনুকরণ। ছবিতে চরিত্রদের নাম, প্রেক্ষিত বদল হলেও ছবিটা মূল উপন্যাস থেকে সরেনি। যেটুকু বদল হয়েছে সেটা সময় ও প্রেক্ষিতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। যেমন আমার চরিত্রের নাম অর্ণব সরকার। ‘চৌরঙ্গী’ ছবিতে বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত অনিন্দ্য পাকড়াশি এই ছবিতে অর্ণব। আমিই এখনকার অনিন্দ্য।
একটা কালজয়ী উপন্যাস নিয়ে জনপ্রিয় বাংলা ছবি আবার হচ্ছে। আপনি ঠিক কী কারণে রাজি হলেন?
আমি এখন চেষ্টা করছি যত বেশি সংখ্যক সৃজিত মুখোপাধ্যায়,অরিন্দম শীল, অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্তর মতো পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কাজ করতে চাই। সেখানে ছবি বা চরিত্র অনেকক্ষেত্রেই বিচার্য নয়।
আগের ছবির সঙ্গে তুলনা...
ওটা দর্শকের কাজ। একটা ছবি যখন সিনেমা হলে যায়, তখন সেটা দর্শকের সম্পত্তি। তাঁরা কীভাবে বিচার করবেন সেটা তাঁদের ব্যাপার।
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম কাজ করলেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজের ইচ্ছা ছিল। স্বস্তিকা আকর্ষণীয়, মোহময়ী-এগুলোর তুলনায় স্বস্তিকা উচ্চমানের অভিনেত্রী-এই ভাবনাটা আমাকে বেশি মোটিভেট করে।
শ্যুটিং ফ্লোরে কোনও মজার ঘটনা?
সিনেমার সেটে আমাকে নিয়ে মজার ঘটনা সেরকম কিছু ঘটেই না। কারণ আমি সবসময় এত গম্ভীর থাকি। আসলে ক্যামেরার সামনে আমি সবসময় নার্ভাস থাকি। ভীতি আগের থেকে অনেকটা কাটলেও, পুরো কমেনি।
আপনার গলায় ‘কিছুই চাইনি আমি’ মুহূর্তে ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর ট্রোলিং হয়েছে। কী বলবেন?
মঞ্চে গান গাওয়া আর প্লেব্যাক করা দুটো সম্পূর্ণ আলাদা। প্লেব্যাক নিয়েও প্রচণ্ড নার্ভাস ছিলাম। দ্বিতীয় টেকে আমার গানটা ওকে হয়। তবে আমি মনে করি গান গাওয়া একজন পেশাদার গায়কের কাজ, অভিনেতার নয়। একটা গেয়েছি, মানুষ গানটা ভালোবেসেছেন ব্যস। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, আমি অভিনয় ছেড়ে গান গাইব। ট্রোলিং জানি না কারণ আমি সোস্যাল মিডিয়াতে নেই।
সোশ্যাল মিডিয়া তো এখন প্রচারের অন্যতম মাধ্যম, আর আপনি সেখানেই নেই। এটা কি স্বেচ্ছায় সরে থাকা?
অবশ্যই। আমার জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার অ্যাকাউন্ট আছে। কিন্তু আমি সেগুলোর কোনওটারই খোঁজ রাখি না। আমার অভিনীত ছবি, থিয়েটারের প্রচার হলেই আমার প্রচার হবে।
সিনেমার চাপে মঞ্চে অভিনয়ের সময় পান?
এই বছর দুটো থিয়েটার করব। আমাদের নিজস্ব দল ‘হাতিবাগান সংঘারাম’ এর একটা নাটকে অভিনয় করব। অন্যটা পরিচালনা।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল-দুজনেরই পছন্দের অভিনেতা আপনি। দুজনের মধ্যে কাকে এগিয়ে রাখবেন?
দু’জনেই আমার মনের কাছের। আসলে আমার হৃদয় বড়। শুধু দু’জন কেন,আরও দশ জন পরিচালককে একইভাবে হৃদয়ে স্থান দিতে পারব।
এই প্রথম টেলিভিশন সিরিজে অভিনয় করলেন অথচ ‘ভূমিকন্যা’ সাফল্য পেল না। কেন এমন হল ভেবেছেন?
আমি এটা ঠিক বলতে পারব না। আসলে টেলিভিশন নিয়ে কথা বলতে গেলে আমার ক্ষোভই প্রকাশ পাবে! সেটা ‘ভূমিকন্যা’ চলেনি বলে নয়। সিনেমা, থিয়েটারে যে ধরনের কাজ হচ্ছে টেলিভিশন তার থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। টেলিভিশনে কাজ করলে টাকা পাওয়া যায়,তৃপ্তি নয়।
এই সময়কে কি আপনার কেরিয়ারের সবচেয়ে ভালো সময় বলবেন?
যদি এরপর খারাপ হয়ে যায় তখন বলব এটা সবচেয়ে ভালো সময়। তবে এটা ঠিক মাত্র তিন বছর ইন্ডাস্ট্রিতে এসে আমি যেসব পরিচালকের সঙ্গে কাজ করছি বা যেসব চরিত্রে অভিনয় করেছি-তা সে ‘ঈগলের চোখ’ এর বিষাণ হোক বা ধনঞ্জয়, নিখিলেশ-এগুলো সত্যিই অন্য অনেকের কাছে ঈর্ষার কারণ হতে পারে।
নতুন কী কী ছবির কাজ চলছে?
অপর্ণা সেনের ‘..ঘরে বাইরে’তে আমি নিখিলেশ। ছবির কাজ শেষ। ‘অপারেশন রাইটার্স’-এ অঞ্জনদা যে চরিত্র আমায় দিয়েছেন সেটা একজন অভিনেতার কাছে স্বপ্নের চরিত্র। এছাড়া অরিন্দম শীলের ‘খেলা যখন’-এ কাজ করছি।
ওয়েবের জন্য ব্যোমকেশ করেছেন, কিন্তু ফেলুদা করা হয়নি-আক্ষেপ আছে?
না। দুটো গোয়েন্দা একসঙ্গে করার ইচ্ছে নেই। ব্যোমকেশ পেয়েছি। ফেলুদা করার ইচ্ছা আর নেই।
এতো ভালো কথা বলেন-ভবিষ্যতে কখনও রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা আছে?
না না! আমি মানুষের ভালো বা খারাপ কোনওটাই করতে চাই না। সাধারণ মানুষ হয়েই থাকতে চাই।
অনির্বাণ ভট্টাচার্যর মনন কি মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে?
অবশ্যই। আজ আমি যা কিছু সেসবই মঞ্চের অবদান। সিনেমায় আসার পরেও তিন বছরে আমি যে বখে যাইনি বা ভেসে যাইনি-সেও আমার থিয়েটার শিক্ষার অবদান।
আপনার মহিলা অনুরাগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কেন বলুন তো?
হ্যাঁ সত্যি! কেন যে বাড়ছে আমি নিজেই বুঝতে পারছি না। আমি নিতান্তই সাধারণ দেখতে একজন মানুষ, রোগা, মাঝেমধ্যে নোয়াপাতি ভুঁড়ি দেখা যায়, নিতান্তই বোকাসোকা—চালাক সেজে থাকি। তাও যে কেন বাড়ছে...।
বিয়ে করছেন কবে?
এই বছরই করার ইচ্ছা রয়েছে। পাত্রীও ঠিক। তবে এর বেশি এখন আর বলা যাবে না।