বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
জেনে রাখুন, এই স্মার্টফোনেই আছে টয়লেট সিটের চেয়ে দশগুণ বেশি রোগ-জীবাণু। যেন-তেন কারও সরবরাহ করা তথ্য এ নয়, সদ্য যুক্তরাজ্যের বাসিন্দাদের নিয়ে এই গবেষণা চালিয়েছে ইসুরেন্স প্রাদানকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘ইনসুরেন্স টু গো’। তাঁদের গবেষণাতেই উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এই চালানো গবেষণায় দেখা গিয়েছে, স্মার্টফোনের পর্দা, ব্যাক বাটন, লক বাটন এবং হোম বাটনে টয়লেট আসন এবং ফ্ল্যাশ-এর চেয়ে বেশি জীবাণু থাকে। গবেষণায় আরও উঠে এসেছে এক তৃতীয়াংশের বেশি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী পরিষ্কার তরল বা এ ধরনের কিছু দিয়ে স্মার্টফোন পরিষ্কার করেন না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘দ্য মিরর’।
যুক্তরাজ্যের বাসিন্দারা প্রতি ৬ মাসে দেশটির কুড়ি জনের মধ্যে মাত্র একজন স্মার্টফোন পরিষ্কার করেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জনপ্রিয় তিন স্মার্টফোন গ্রাহকদের নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় বায়ুজীবি ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং জীবাণুর বাসস্থান পরীক্ষা করা হয়েছে।
জীবাণুর বাসস্থান যদি প্রতি বর্গসেন্টিমিটারে একক শূন্য হয় তবে এটি আক্রান্ত নয় বলে ধরা হয়। স্মার্টফোন পর্দায় এই এককের পরিমাণ পাওয়া গেছে ২৫৪.৯, যেখানে টয়লেট আসন ও ফ্ল্যাশ-এ এককের পরিমাণ মাত্র ২৪।
স্মার্টফোনের এই জীবাণু কীভাবে ত্বক এবং স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে সে বিষয়ে ‘এলিট অ্যাসথেটিকস’-এর ডক্টর শিরিণ লাখানি বলেন, আমাদের স্মার্টফোন আসলে ত্বক নোংরা হওয়া এবং ত্বকের সমস্যার একটা বড় মাধ্যম। যা ব্রণের কারণ। নিয়মিত অ্যালকোহল দিয়ে স্মার্টফোন পরিষ্কার করে ব্যাকটিরিয়া মুক্ত রাখা যাবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ইনসুরেন্স টু গো’র কর্মকর্তা গ্যারি বিস্টোন বলেন, আমরা সাধারণত সব সময়ই স্মার্টফোন সঙ্গে নিয়ে ঘুরি। এভাবেই নানা জায়গা থেকে ওই ফোনে বাসা বাঁধে জীবাণু।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। মূলত ভার্চুয়াল জগতে সর্বক্ষণ থাকার উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে স্মার্টফোন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাম্প্রতিক গবেষণায় জীবাণুর বিস্তারে স্মার্টফোনের ভূমিকার বিষয়টি জোরালো হয়েছে।