Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

—‘তুমি পারবে?’
—‘আপনি বললেই পারব। এ আর কঠিন কী?’
প্রশ্নটা ছিল ইন্দিরা গান্ধীর। আর উত্তর? প্রণব মুখোপাধ্যায়।
সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী। আর দ্বিতীয়জন গোয়ালিয়রের রাজমাতা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়া। পেরেছিলেন প্রণবদা। প্রচুর হইচই... বিতর্ক। প্রণবদাকে টলানো গেল না।
দু’বছর পরের ঘটনা। স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান আর কে তলোয়ারের কাছে ইন্দিরা গান্ধী সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ গেল, লোনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সরকারের জন্য নয়। কয়েকজন ব্যক্তির জন্য। তলোয়ার অস্বীকার করলেন। সরকার অসন্তুষ্ট হল। বিষয়টি গেল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে। ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রণবদা ডেকে পাঠালেন তলোয়ারকে। বললেন, ‘আপনার নাম রাজকুমার, না রামকুমার আমি জানি না। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত না মানলে আপনাকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’ মানেননি তলোয়ার। প্রণবদাও তাঁর কর্তব্য করেছিলেন। অপসারিত হলেন তলোয়ার। স্টেট ব্যাঙ্কের আইন সংশোধন করে।
’৬৯ সালে রাজ্যসভার সদস্য হয়ে সংসদে প্রবেশ করেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। আর আমাদের শিক্ষাগুরু ডঃ দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। সেই বছরই আর একটি নাম যুক্ত হয়েছিল সংসদীয় রাজনীতিতে—প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। দেবীবাবু আর প্রিয়দার মাধ্যমে তখন ঠিকঠাক পরিচয়টা হয়েছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। চিনেছিলাম অবশ্য আরও দু’বছর আগে থেকে। আলাপ ছিল না। আর পরিচয় মাত্রই তিনি হয়ে গেলেন প্রণবদা। ’৭২ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এল কংগ্রেস। সিদ্ধার্থবাবু (সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়) মুখ্যমন্ত্রী। ওই নির্বাচনের আগে অজয় মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রণবদারা কংগ্রেসে যোগদান করলেন। আমি তখন চাকরি ছেড়ে রাজ্য কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এরপরই এল বিধাননগরে সর্বভারতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন। সাংগঠনিক নির্বাচন। তখন আমি প্রণবদার সঙ্গে কাজ করেছি। সেই থেকেই ঘনিষ্ঠতার শুরু। প্রণবদা জাহাজমন্ত্রকের ডেপুটি মিনিস্টার হলেন। ১৯৭৩ সালে। ডেপুটি মিনিস্টার ব্যাপারটা তো এখন উঠেই গিয়েছে। সেই সময়ে ছিল। প্রণবদা যে আমাকে কতটা স্নেহ করতেন, তার প্রমাণ পেলাম সেবার। মাত্র ২৬ বছরে বয়সে আমাকে ‘ন্যাশনাল ইনস্ট্রুমেন্টে’র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ডিরেক্টর করলেন।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার মাত্র দু’বছরের মধ্যে হাইকমান্ডের এতটা কাছাকাছি এসে যাওয়া... এ সম্ভব হয়েছিল শুধু তাঁর বাস্তববোধ এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতার জন্য। ’৭৪ সাল থেকেই সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে প্রণবদার। আর সেই সূত্রে রাজস্ব এবং ব্যাঙ্কিংয়ের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী। মনে আছে, ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার দিনই প্রণবদা, দেবীবাবুর রাজ্যসভার নির্বাচন ছিল। আমরা সবাই বিধানসভায় ছিলাম। প্রণবদা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
১৯৭৭ সালে কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেল কংগ্রেস। ইন্দিরা গান্ধী, প্রণবদা, প্রিয়দা সবাই পরাজিত। কিন্তু কী আশ্চর্য, আমি জিতে গেলাম। এমপি হয়ে দিল্লি গেলাম। ওই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কংগ্রেসের মাত্র তিনজন জিতেছিলেন। ভোটে জিতলাম বটে, কিন্তু প্রণবদার সঙ্গে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলাম। ’৭৮ সালে কংগ্রেসের বিভাজন হল। কোনও প্রবীণ নেতাই ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে থাকলেন না। কেবল প্রণবদা রয়ে গেলেন। এবং (অবসরপ্রাপ্ত জাস্টিস জে সি) শাহ কমিশনে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে কিছু বলতে অস্বীকার করলেন প্রণবদা। আর ওই ঘটনার পরেই ইন্দিরা গান্ধীর কাছে প্রণবদার অপরিহার্যতা বেড়ে গেল। আশি সালে লোকসভা নির্বাচনে জিতে ফের প্রধানমন্ত্রী হলেন ইন্দিরা গান্ধী। আমাদের কংগ্রেস(স) শোচনীয়ভাবে মুখ থুবড়ে পড়ল। হারলাম আমরা সবাই...। প্রণবদা সেবার ভোটে হেরেও বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। রাজ্যসভার সদস্য করা হল তাঁকে। সভার নেতাও করা হল।
মনে পড়ে, ১৯৭৮-এর কোনও এক সময় সংসদের সেন্ট্রাল হলে প্রণবদার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দেখেই একগাল হেসে আমাকে বলেছিলেন, ‘কী, এখন আমায় গালিগালাজ করবে তো?’ উত্তরে বলেছিলাম, ‘তা কেন? বরারর আপনাকে শ্রদ্ধা করে এসেছি। এখনও করি।’ ’৮৩ সালে প্রিয়দার ইন্দিরা কংগ্রেসে ফিরে এলাম। প্রণবদা তখন কেন্দ্রে প্রবল পরাক্রমী মন্ত্রী। সেই সময় ফের তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হল বটে, কিন্তু সেই ঘনিষ্ঠতা বা বিশ্বাস ফিরে এল না।
১৯৮৪ সাল। নিহত ইন্দিরাজি। রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলেন। এবং প্রণবদার খারাপ সময়ের শুরু। ’৮৫তে প্রিয়দা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হলেন। এরপরই প্রণবদা কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হলেন। তাঁকে কারণ দর্শানোর কোনও চিঠিও দেওয়া হয়নি। সাংবাদিক প্রীতীশ নন্দী প্রণবদার একটা ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন। যার হেডলাইন ছিল, ‘দ্য ম্যান হু নিউ টু মাচ।’ শোনা যায়, তারই ভিত্তিতে প্রণবদার বহিষ্কার।
এরপর সাতাশির বিধানসভা নির্বাচন। প্রিয়দার দেওয়া টিকিটে আলিপুর থেকে জিতলাম। প্রণবদা নতুন দল গড়ে ‘রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেসে’র নামে অনেক প্রার্থী দিয়েছিলেন। কিন্তু একজনও জিততে পারেননি। ’৮৯ সালে প্রণবদা ফিরে গেলেন কংগ্রেসে। তাঁকে কংগ্রেসের অর্থনৈতিক সেলের দায়িত্ব দেওয়া হল। মনে আছে, দিল্লিতে জওহর ভবনে একটা ছোট্ট ঘরে বসতেন তিনি।
১৯৯১ সালের লোকসভা ভোট। রাজীব গান্ধীর হত্যার পর। নরসিমা রাও প্রধানমন্ত্রী হলেন। যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হল প্রণবদাকে। তখন আবার আমার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হল বটে, তবে কোনওদিনই আমি প্রণববাবুর গোষ্ঠীতে ছিলাম না। প্রিয়দার লোক হিসেবেই পরিচিত ছিলাম। তা সত্ত্বেও ’৯৩তে আমি প্রণবদাকে রাজ্যসভায় ভোট দিই। এরপরেও ’৯৯ সালেও তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছি। ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তাঁকে ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।
২০০১ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসে ছিলাম বলে নিত্য যোগাযোগ ছিল প্রণবদার সঙ্গে। কিন্তু মতভেদটা শুরু হল ওই সময়। প্রণবদা তখন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি। কংগ্রেসের মিটিংয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া উচিত। কিন্তু প্রণবদা মানলেন না। বললেন, ‘যতক্ষণ শরিক হিসেবে মমতার সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ আছে, ততক্ষণ কোনওভাবেই সমঝোতা হতে পারে না।’ খুব রাগারাগি করলেন আমার প্রস্তাবে। আমিও রেগে পাল্টা জবাব দিলাম। সম্পর্ক ছিন্ন হল কংগ্রেসের সঙ্গে। যোগ দিলাম তৃণমূলে। এবং বিধায়ক হলাম। এত মতপার্থক্যের পরও কিন্তু আমার প্রতি প্রণবদার স্নেহের ঘাটতি হয়নি।
মনে আছে, ২০০৪ সালে রেল কলোনির সমস্যা নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। বুলুও (সুখেন্দুশেখর রায়) সঙ্গে ছিল। আমরা দেখা করতে গিয়ে দেখি, এনগেজমেন্ট পেপারে লেখা আছে সেনাপ্রধান তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসবেন। প্রণবদা তখন আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন। এদিকে সেনাপ্রধানের দেখা করার সময় এগিয়ে আসছে। প্রণবদা তাঁর সেক্রেটারিকে ডেকে পাঠালেন। বললেন, ‘আর্মি চিফকে বলো ১৫ মিনিট পরে দেখা করব। এখন আমি সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি।’ এমনই ছিলেন প্রণবদা। কে কত বড় মাপের অফিসার, সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। কোনওদিনও না।
২০০৯-এ লোকসভায় জিতে এমপি হলাম। প্রণবদা তখন লোকসভার নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই সময়ে অনেকবার প্রণবদার ঘরে গিয়েছি। সংসদে তাঁর অফিস ঘরে মমতার নিয়ে যাওয়া কেক কেটে জন্মদিনও পালন করতে দেখেছি প্রণবদাকে। লোকসভায় অর্থনৈতিক বিষয়ে প্রণবদা অত্যন্ত ভাল বক্তৃতা দিতেন। তথ্যে ভরপুর থাকত তাঁর ভাষণ। তাঁর বক্তৃতার সময় গোটা সভায় থাকত পিন পতনের নীরবতা। তখন থেকেই দেখেছি, প্রণবদা ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার সম্পর্কে কতটা ওয়াকিবহাল। এবং কী অসাধারণ তাঁর স্মৃতিশক্তি।
কলকাতায় আশুতোষ কলেজের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠান। আমি তখন কলেজের গভর্নিং বডির প্রধান। ‘রাষ্ট্রপতি’ প্রণব মুখোপাধ্যায়কে কলেজের অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানালাম। কিন্তু শরীর খারাপ থাকায় উনি আসতে পারলেন না। মাস দুয়েক পরে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ফোন... প্রণবদা। ফোন ধরেই বললেন, ‘তোমার কলেজের ফাংশানে যাব।’ নিজে ডেট দিলেন। এবং এলেনও যথা সময়ে। মঞ্চে উঠেছিলেন ছাপানো ইংরেজি বক্তৃতা নিয়ে। কিন্তু আমার এক অনুরোধেই সেই ছাপানো ইংরেজি বক্তৃতা সরিয়ে দিলেন। পুরোটা বললেন ঝরঝরে বাংলায়। এই ঘটনা ভুলব না। মানুষের মন জয় করার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল প্রণবদার।
এক পার্টি বা গোষ্ঠীতে না থাকলেও আমি বরাবর প্রণবদার গুণগ্রাহী। কাজেকর্মে বরাবর তাঁকে অনুসরণের চেষ্টা করেছি। তিনি ভারতবাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে অভিজাত এবং ধনী পরিবারের সদস্য না হয়েও শুধু মেধা, পরিশ্রম, শৃঙ্খলা এবং নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে একজন মানুষ দেশের সর্বোচ্চ পদে পৌঁছতে পারে। এবং হয়ে উঠতে পারে নির্ভরশীলতা ও অপরিহার্যতার প্রতীক। ইংরেজিতে যাকে বলে ডিপেন্ডেবল অ্যান্ড ইনডিসপেন্সেবল। দেশবাসী মনে রাখবে তাঁকে। অনুসরণ করবে...।
.........................................................
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : স্বাগত মুখোপাধ্যায় 
06th  September, 2020
মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে।  বিশদ

20th  September, 2020
দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

দু’শো বছর আগে ‘আবির্ভাব’ হয়েছিল তাঁর। বিদ্যার সাগর তিনি। করুণার মহাসমুদ্র তিনি। ঈশ্বর ছিল তাঁর মানবজগৎ, ঈশ্বর ছিল তাঁর কর্ম। কর্মেই তিনি ‘সিদ্ধপুরুষ’। চিরন্তন প্রণম্য তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিশদ

13th  September, 2020
মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।   বিশদ

06th  September, 2020
চালকহীন কংগ্রেস 
সমৃদ্ধ দত্ত

অসহযোগ আন্দোলন স্তিমিত। এখন আর আইনসভা বয়কট করার কারণ কী? প্রশ্ন তুললেন চিত্তরঞ্জন দাশ। ১৯২২ সালে কংগ্রেসের গয়া অধিবেশনে। উপস্থিত প্রতিনিধিরা একটু চমকে গেলেন। প্রাথমিকভাবে। 
বিশদ

30th  August, 2020
ভানু ১০০
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

শুধু কমেডিয়ানের পরিধিতে বেঁধে রাখা যায় না তাঁকে। পূর্ণাঙ্গ অভিনেতা তিনি। প্রত্যেকটা শটে অনন্য। মেধাবি ছাত্র হয়েও বেছে নিয়েছিলেন বিনোদনের জগৎকে। আজও টিভির পর্দায় তাঁকে দেখতে পেলে আটকে যায় রিমোট। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বুধবার তাঁর শতবর্ষ।
বিশদ

23rd  August, 2020
অদ্বিতীয়
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়

 প্রত্যেকের জীবনেই একটা মুহূর্ত আসে। গড়পড়তা জীবনধারাকে বদলে দেওয়ার মুহূর্ত। জীবনের খোলনোলচে বদলে দেওয়ার বাঁকে এসে দাঁড়াই আমরা। কারও ক্ষেত্রে ঘটনাগুলো ঘটে যায় আপনা থেকেই। তবে আমার মতো সৌভাগ্যবতীদের জন্য ঈশ্বর তৈরি রাখেন তাঁর দূতকে। আমার জীবনে সেই দেবদূত ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশদ

23rd  August, 2020
ফিকে হয়নি আজও...
আশা ভোঁসলে

প্রথম আলাপ। প্রথম দেখা একজন খাঁটি গায়ককে। পারফর্মার ছিলেন না রফি সাব। নিজেকে পারফর্মার বলতেনও না। ধ্যান, জ্ঞান, জীবন... সবটাই জড়িয়ে ছিল গান। তাঁর কণ্ঠ...।
বিশদ

09th  August, 2020
অজানা রফি

 ফিল ইন দ্য ব্ল্যাঙ্কস’ ভূমিকাতেই যাত্রা শুরু ফিকুর। বিনা মাইকেই। অধৈর্য শ্রোতারা ক্রমশ শান্ত হলেন। সেই ফকির বাবার কাওয়ালিতেই বাজিমাত ছোট্ট ছেলেটির। বিশদ

09th  August, 2020
ফিরে দেখা ব্যোমকেশ 

আবীর চট্টোপাধ্যায়: সত্যের প্রতি নিষ্ঠা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা। এই দু’টোর কম্বিনেশনের নাম সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। এমন কোনও মানুষ সামনে থাকলে ভালো লাগে। নাই বা হলেন তিনি রক্তমাংসের কেউ। তাঁকে দেখে, তাঁকে ‘পড়ে’ মনে হয়, যদি এমনটা হতে পারতাম... যদি এভাবে কেউ গাইড করত! এই আশ্রয়টাই হয়ে উঠেছে ব্যোমকেশ। 
বিশদ

02nd  August, 2020
হাতে খড়ি ধুতি পরায় 

দূরদর্শনে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সেই সিরিয়ালে যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছিলেন ব্যোমকেশ। সেই বাঙালিয়ানা, সেই সংসারী অথচ ক্ষুরধার মস্তিষ্কের ছিপছিপে চেহারার চিরকালীন চরিত্র। ‘ব্যোমকেশ’ রজিত কাপুর এখনও দর্শকের চোখে অমলিন। আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

02nd  August, 2020
স্যার এডমুন্ড হিলারি
চন্দ্রনাথ দাস

বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ১০১ বছর। তেনজিং নোরগের সঙ্গে প্রথমবার পা রেখেছিলেন পৃথিবীর শীর্ষে। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের জন্য স্যার এডমুন্ড হিলারিকে মনে রেখেছে এই দুনিয়া। কিন্তু শুধু এক্সপ্লোরার নন, তিনি ছিলেন মাটির খুব কাছাকাছি থাকা এক মানুষ। এভারেস্ট অঞ্চলের প্রতিটা গ্রাম, জনপদের মনে তিনি থেকে গিয়েছেন তাঁদের শিক্ষার, উন্নতির সোপান হিসেবে। শতবর্ষ পার করে ফিরে দেখা সেই ব্যক্তিত্বকে।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
সাফল্যের অপেক্ষায়
ডঃ সমীরণ পান্ডা

ল্যাটিন শব্দ ভ্যাক্কা (vacca) মানে গোরু। আর আঠেরোশো শতাব্দীতে মানুষকে স্মল পক্স বা বসন্ত রোগের থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য গোরুর বসন্ত রোগের গুটি থেকে যে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন বানানো হয়েছিল, সেই প্রয়াসের মধ্যেই জন্ম হয় ‘ভ্যাকসিন’ শব্দটির। 
বিশদ

19th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
আগামী বছরের আগে নয়

ডঃ শেখর চক্রবর্তী : এক ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা...। বিশ্বব্যাপী মহামারী। যা আগাম ঠেকানোর কোনও পথ আমাদের হাতে নেই। আর তাই চেষ্টা চলছে। বিশ্বজুড়ে। থেমে নেই কোনও দেশ। আমরাও না। কিন্তু দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিন তৈরি? অসম্ভব। একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বাজে কথা। 
বিশদ

19th  July, 2020
চিম 

করোনাকে দ্রুত জব্দ করার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাবনা (কনসেপ্ট) নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেটি হল, চিম (CHIM)। কন্ট্রোল হিউম্যান ইনফেকশন মডেল। এর উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না, তার ফল দ্রুত জেনে নেওয়া।
বিশদ

19th  July, 2020
একনজরে
 প্রতিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে থুতু দেওয়ার অপরাধে চার ম্যাচ নির্বাসিত হলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ফরাসি লিগে প্যারি সাঁজাঁ বনাম মার্সেই ম্যাচের শেষ লগ্নে ...

 করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। সংক্রমণ রুখতে স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন জারির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। তবে এইভাবে লকডাউনের সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ব্রিটিশ সরকারকে চিঠি দিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ...

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকে পাতিলেবু ও আনারসের গ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদেরও এই কাজে নামানো হবে। বিডিও ...

 চারদিকে জল বেষ্টিত ভূতনির চর দুষ্কৃতীদের ডেরা হয়ে উঠেছে। বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা সেখানে ঘাঁটি গাড়ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে নাম সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৯ টাকা ৯৫.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৪.৫২ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৮৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৭,১৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৭,২৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী ৩৩/৬ রাত্রি ৬/৪৪। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র ৩২/৩৩ রাত্রি ৬/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
৮ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১০/৩১। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র রাত্রি ১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে।
৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। বৃষ: ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৪ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটাল

11:13:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০১/৪ (১৬ ওভার) 

10:49:48 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪৭/৩ (১০ ওভার) 

10:14:56 PM

 আইপিএল: চেন্নাই ২৬/১ (৫ ওভার)

09:51:00 PM