Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

করোনা ভ্যাকসিনের পথে
আগামী বছরের আগে নয়

ডঃ শেখর চক্রবর্তী : এক ভয়াবহ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা...। বিশ্বব্যাপী মহামারী। যা আগাম ঠেকানোর কোনও পথ আমাদের হাতে নেই। আর তাই চেষ্টা চলছে। বিশ্বজুড়ে। থেমে নেই কোনও দেশ। আমরাও না। কিন্তু দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে ভ্যাকসিন তৈরি? অসম্ভব। একেবারেই ভিত্তিহীন এবং বাজে কথা। যাঁরা বলছেন, জানি না কোন পাঠশালায় তাঁরা পড়াশোনা করেছেন! ভ্যাকসিন বের করতে সময় লাগে। যে কোনও ভ্যাকসিনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণার পরও সেটি কতটা কার্যকর, কতটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত, সমীক্ষা চলতেই থাকে। বাজারে আসার পরও চলতে থাকে ট্রায়াল। দিন গুনে ভ্যাকসিন বের করা যায় নাকি? এ কি ফাজলামো?
বছর কয়েক আগে নাইসেডে থাকাকালীন আমাদের নামকরা চিকিৎসাবিজ্ঞানী ডাঃ সুজিত ভট্টাচার্য, ডাঃ দীপিকা শূর, ডাঃ সুমন কানুনগো-রা মিলে কত অপরিসীম পরিশ্রমে, প্রায় লক্ষাধিক জনসংখ্যায় প্রয়োগের পর কলেরা ভ্যাকসিন এনেছিলেন। তারও কয়েক বছর বাদে শান্তা বায়োটেক সেটিকে বাজারে আনল। বাণিজ্যিকভাবে। বাংলা তথা সারা দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল সেটি। ডাঃ ভানের রোটা ভাইরাস ভ্যাকসিনের কথাও মনে পড়ছে। এসব কি এক-দু’মাসে হয়? করোনার ক্ষেত্রেও বিষয়টা আলাদা হবে না। এমন একটা গুরত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে হুড়োহুড়িটা মোটেই কাজের কথা নয়। এই গবেষণায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড। গুছিয়ে সমীক্ষা করছেন ওঁরা। অথচ একবারও বলছেন না, কালই ভ্যাকসিন বের করে দেব! এত অল্প সময়ে তিনটি পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল বিচার করে সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালে প্রচুর মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করতে হয়। কয়েক কোটি দেশবাসীকে যা দেওয়া হবে, তা নিয়ে এইসব অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা ও প্রচার অবিলম্বে বন্ধ হওয়ার দরকার। আমার ব্যক্তিগত মত হল, ২০২১-এর আগে করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আসা কঠিন।
অনেকে বলছেন, আমাদের গবেষকরা তো প্রাণীদের মধ্যে বা ‘অ্যানিম্যাল মডেল’-এ পরীক্ষাপর্ব শেষ করে তারপরই মানুষের শরীরে ট্রায়াল করছেন। কাজ অনেকটা এগিয়েছে। তাহলে? জেনে রাখা উচিত, প্রাণীদের মধ্যে গবেষণা সেই অর্থে কোনও ট্রায়ালই নয়। সেখানে মূলত দু’টি বিষয় দেখা হয়। একটি ‘টক্সিকোলজি স্টাডি’—কতগুলি সূচক রয়েছে, সেগুলি দেখা। দ্বিতীয় বিষয় হল, শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হল কি না, তা নিশ্চিত করা। এছাড়া কিছু বোঝা যায় না। মানুষের উপর প্রয়োগই ভ্যাকসিন গবেষণার প্রধান অধ্যায়। সেক্ষেত্রেও এডওয়ার্ড জেনারের ভাইরাস গবেষণার দিন এখন আর নেই। কমপক্ষে দু’-তিন হাজার মানুষের উপর পরীক্ষা করতেই হবে। মানুষ সেই ভাইরাসে সংক্রামিত হবেন। কতটা প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠল, সেসব দেখতে হবে। কড়া সরকারি নিয়মকানুন মেনে স্বেচ্ছাসেবকদের যতটা সম্ভব সুরক্ষিত রাখতে হবে। এতকিছু অল্প সময়ে করা সম্ভব? সত্যি বলতে কী, আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে এরকম অদ্ভুতভাবে আগাম দিন ঘোষণা করে ভ্যাকসিন বের করার কথা বিজ্ঞানীরা স্বপ্নেও ভাবেননি। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা পরজীবী, যে কোনও জীবাণুর প্রাদুর্ভাবের পর তার টিকা বের হতে অনেক সময় লেগেছে। সবচেয়ে তাড়াতাড়ি এসেছিল হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন। তাও বেরিয়েছিল ১৪ বছর বাদে! কলেরা ভ্যাকসিন আসে রোগের দাপাদাপির ১০০ বছর বাদে। আর এঁরা নাকি বলছিলেন, এক মাস এক সপ্তাহে হিউম্যান ট্রায়াল শেষ করে করোনা ভ্যাকসিন এনে দেশকে কোভিড থেকে স্বাধীনতা দেবেন! যত্ত সব!
আসলে ভাইরাসবিদ্যাই সারা দেশে অত্যন্ত অবহেলার বিষয়। তাই এই ধরনের অশিক্ষিত কথাবার্তা শুনে আমরা উৎসাহিত হয়ে পড়ি। আশার ছলনায় ভুলি। আশপাশে দেখছি, এমন অনেকেই ভাইরোলজি নিয়ে কথা বলছেন, যাঁদের কয়েজনের এ বিষয়ে একটিও আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্র আছে কি না সন্দেহ।
সারা দেশে এখন লক্ষ লক্ষ করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। তার গুণগত মান কেউ পরখ করেছেন কি? পরীক্ষার রিপোর্টগুলি ঠিক না ভুল, সেই কোয়ালিটি কন্ট্রোলে জোর না দিলে মহামারীও নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়বে। আপাতভাবে কারও মনে হবে, তিনি সুস্থ। বাস্তবে হয়তো তিনি আক্রান্ত। আবার রিপোর্ট দেখে যাঁকে আক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে, দেখা যাবে তিনি সুস্থ। আরটিপিসিআর-এর মাধ্যমে করোনা পরীক্ষায় এই কোয়ালিটি কন্ট্রোল অত্যন্ত জরুরি বিষয়।
তবে হ্যাঁ, যত্ন করে তৈরি করতে পারলে ভ্যাকসিন অবশ্যই করোনার দিশা হতে পারে। ‘হার্ড ইমিউনিটি’ নিয়েও প্রচুর কথা চলছে। বিষয়টি বাস্তবোচিত কি না, সন্দেহ আছে! আর ৭০ শতাংশ জনসংখ্যাকে সংক্রামিত করার পর সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা এলে পরিণতি কতটা ভয়ঙ্কর হবে, ভাবতেই শিউরে উঠছি। বিদেশে ইমিউনোথেরাপি, অ্যান্টিবডি থেরাপি নিয়ে কাজ হচ্ছে। কিছু কিছু সাফল্যও আসছে। কোনওটাতেই কিছু না হলে ভাইরাসঘটিত মহামারীর স্বাভাবিক নিয়মেই এই সংক্রমণের রেখচিত্র নীচের দিকে নামবে বলে মনে হয়। স্প্যানিশ ফ্লু যখন হয়, কোথায় ছিল এত আধুনিক চিকিৎসা? আধুনিকই বা বলি কী করে! ১০০ বছর পর, জ্ঞানবিজ্ঞানের এত শিখরে উঠেও করোনা মোকাবিলায় বিরাট কী করতে পারলাম আমরা?
তবে এইটুকু স্বস্তিকর, কোনও ভাইরাস অত্যন্ত বিপজ্জনক হলে তার আয়ুষ্কাল সাধারণত বেশি হয় না। নিজেরা মারা যায়। যেমন সার্স, মার্স-এর মতো প্রচুর মারণক্ষমতার ভাইরাস বেশিদিন টেকেনি। অন্যদিকে করোনার মতো যেসব ভাইরাসের মারণক্ষমতা কম, কম ভিরুলেন্ট, তারা সবসময় প্রকৃতিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখনকার ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এইচ৩এন২, সে তো রয়েই গিয়েছে আমাদের সঙ্গে। কই, তাতে কি কাতারে কাতারে মানুষ মারা যাচ্ছেন ইনফ্লুয়েঞ্জায়? আসলে এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
করোনা বায়ুবাহিত বলেও নানা বিতর্ক হচ্ছে। দুশোর বেশি বিজ্ঞানী নাকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে বলেছেন, নোভেল করোনা ‘এয়ারবোর্ন’ ভাইরাস। আমি মানতে নারাজ। যদি বায়ুবাহিতই হতো, পৃথিবীর আরও কোটি কোটি মানুষ এতে সংক্রামিত হতেন। মুম্বইয়ের ধারাভির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যেত না। আফ্রিকা শেষ হয়ে যেত। বাতাসবাহিত ভাইরাসের অন্য দেশে যেতে তো আর ভিসা পাসপোর্ট লাগে না! হু’র প্রধান বিজ্ঞানী আমারই বন্ধু ডাঃ সৌম্যা স্বামীনাথনও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইট ইজ এ স্মলার ড্রপলেট’। করোনা ড্রপলেট সংক্রমণ। বাতাসবাহিত সংক্রমণ নয়।
আর একটু খোলসা করি। ভাইরাস একটি জীবন্ত পোষক বা হোস্ট ছাড়া বাঁচতে পারে না। হয় ব্যাকটেরিয়া, না হয় মানুষ, নয়তো জীবজন্তু—যে কোনও একটি পোষকের কোষের মধ্যে সে থাকবে, বাড়বে। এমনি এমনি ঘুরে বেড়াতে পারে না। আমাদের হাঁচি, কাশির ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা বা ড্রপলেটও এমনই একটি কোষ। তার মধ্যে ভাইরাস থাকে। আর ড্রপলেট বেরলে সামনেই পড়ে যায় না। একটু দূরে গিয়ে পড়ে। তাই আপাতদৃষ্টিতে আচরণ দেখে বায়ুবাহিত মনে হচ্ছে।
কোভিড সংক্রমণের ‘পিক’ নিয়েও নানা কথা হচ্ছে। কেউ বলছেন, সবচেয়ে বেশি রোগ সংক্রমণের ‘পিক’ নাকি এই জুলাইতেই হবে। কেউ বলছেন, ‘পিক’ আসতে এখনও দেরি। সত্যি বলতে, ১০ লক্ষ ভাইরাস আছে। কেউ জানে না, কখন কাকে আক্রমণ করবে।
একটাই সমাধান। মাস্ক পড়ুন। এর চেয়ে বড় সতর্কতা দ্বিতীয় নেই। ধারাভির মতো বস্তি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। ঠিকঠিক নিয়ম মেনেছেন চলেছেন ওঁরা। সংক্রমণের গ্রাফও নেমেছে চড়চড় করে। ওখানকার বস্তিবাসীদের মধ্যে যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে, আমার- আপনার মতো শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে তা হয়েছে কি?
অনেক বলছেন করোনা ম্যান মেড ভাইরাস। অনেকে বলছেন বাদুড়, পেঙ্গুইন থেকে এসেছে। এছাড়াও জুনোটিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে আর একটি জন্তুর কথা না বললেই নয়। সেটি হল শূকর। আমরা ভাইরোলজিতে একে বলি ‘মিক্সিং ভেসেল’। নভেল এইচ১এন১-এর ক্ষেত্রেও শূকরই ছিল ‘মিক্সিং ভেসেল’। শূকরের মধ্যেই তিনটে ভাইরাস থেকে একটি নতুন ভাইরাস বেরিয়ে এসেছিল। ওদের কিছু হয়নি। সেই ভাইরাস মানুষকে সংক্রামিত করে গিয়েছে। কত রহস্য যে আছে ভাইরোলজিতে! মানুষ সেই বিজ্ঞান জানুক। আগ্রহ বাড়ুক। আর অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তা যত কম হয়, ততই ভাইরোলজির মঙ্গল। মঙ্গল দেশের, সমাজের।
............
লেখক: প্রাক্তন ডিরেক্টর ইন চার্জ, নাইসেড, আইসিএমআর। প্রায় দু’দশকের বেশি সময় এইচআইভি, কলেরা, পক্স, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া সহ অজস্র ভাইরাস গবেষণায় যুক্ত প্রাক্তন চিকিৎসাবিজ্ঞানী 
19th  July, 2020
মাতৃরূপেণ...
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিধাননগর স্টেশন থেকে লাইন ধরে দমদমের দিকে নাক বরাবর খানিকটা হাঁটাপথ। পথ আর কই! এ তো রেললাইন! এখানে হাঁটতে মানা। তাও হাঁটে লোকে। এটাই শর্টকাট। তারপর ডানদিকের ঢাল ধরে নেমে যায়। খুচখাচ কয়েকটা কারখানার পথ মেলে এখানেই। দু’টো বস্তি পেরিয়ে বাঁয়ে ঘুরলে দেখা যায় ওই গেটটা। বন্ধ... কোনওরকমে একটা মানুষ গলে যেতে পারে, এমন একটা ফুটো শুধু রয়েছে। তার সামনেই প্লাস্টিকের চেয়ার পেতে বসে আছেন বিধুবাবু। বিধুশেখর বিশ্বাস। চেয়ারটার রং কোনও এক কালে লাল ছিল। এখন তার ছোঁয়া বেঁচেবর্তে আছে।  বিশদ

20th  September, 2020
দ্বিশত শরতে ‘সিদ্ধপুরুষ’
সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

দু’শো বছর আগে ‘আবির্ভাব’ হয়েছিল তাঁর। বিদ্যার সাগর তিনি। করুণার মহাসমুদ্র তিনি। ঈশ্বর ছিল তাঁর মানবজগৎ, ঈশ্বর ছিল তাঁর কর্ম। কর্মেই তিনি ‘সিদ্ধপুরুষ’। চিরন্তন প্রণম্য তিনি। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
বিশদ

13th  September, 2020
অ প রি হা র্য
সৌগত রায়

সালটা ১৯৭৪। কিছুটা ধন্দেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন প্রণবদাকে। অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। পদের দিক থেকে সুপ্রিম পাওয়ারফুল হয়তো নন, কিন্তু আস্থাভাজন। ইন্দিরা জানতেন, বাস্তবটা একমাত্র উনিই বলতে পারবেন। আর পারবেন কাজটা করতে। ট্যাক্স আইন ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করতে হবে দুই মহারানিকে। একজন জয়পুরের গায়ত্রী দেবী।   বিশদ

06th  September, 2020
মাস্টার নেগোশিয়েটর প্রণবদা
পি চিদম্বরম

সঠিক মনে করতে পারছি না যে প্রণবদার সঙ্গে আমার কবে এবং কীভাবে প্রথম দেখা হল। কোনও নির্দিষ্ট ইভেন্ট হলে মনে পড়ত। আসলে প্রণবদা মোটামুটি ১৯৭৫ সাল থেকেই তাঁর রাজনীতির জীবনে এবং জাতীয় স্তরে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, তিনি ততদিনে হয়েছিলেন অর্থমন্ত্রকের একজন জুনিয়র মন্ত্রী। কিন্তু সেভাবে দেখতে গেলে তরুণ রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেও সেটা ছিল স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর এবং যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।   বিশদ

06th  September, 2020
চালকহীন কংগ্রেস 
সমৃদ্ধ দত্ত

অসহযোগ আন্দোলন স্তিমিত। এখন আর আইনসভা বয়কট করার কারণ কী? প্রশ্ন তুললেন চিত্তরঞ্জন দাশ। ১৯২২ সালে কংগ্রেসের গয়া অধিবেশনে। উপস্থিত প্রতিনিধিরা একটু চমকে গেলেন। প্রাথমিকভাবে। 
বিশদ

30th  August, 2020
ভানু ১০০
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

শুধু কমেডিয়ানের পরিধিতে বেঁধে রাখা যায় না তাঁকে। পূর্ণাঙ্গ অভিনেতা তিনি। প্রত্যেকটা শটে অনন্য। মেধাবি ছাত্র হয়েও বেছে নিয়েছিলেন বিনোদনের জগৎকে। আজও টিভির পর্দায় তাঁকে দেখতে পেলে আটকে যায় রিমোট। ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বুধবার তাঁর শতবর্ষ।
বিশদ

23rd  August, 2020
অদ্বিতীয়
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়

 প্রত্যেকের জীবনেই একটা মুহূর্ত আসে। গড়পড়তা জীবনধারাকে বদলে দেওয়ার মুহূর্ত। জীবনের খোলনোলচে বদলে দেওয়ার বাঁকে এসে দাঁড়াই আমরা। কারও ক্ষেত্রে ঘটনাগুলো ঘটে যায় আপনা থেকেই। তবে আমার মতো সৌভাগ্যবতীদের জন্য ঈশ্বর তৈরি রাখেন তাঁর দূতকে। আমার জীবনে সেই দেবদূত ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিশদ

23rd  August, 2020
ফিকে হয়নি আজও...
আশা ভোঁসলে

প্রথম আলাপ। প্রথম দেখা একজন খাঁটি গায়ককে। পারফর্মার ছিলেন না রফি সাব। নিজেকে পারফর্মার বলতেনও না। ধ্যান, জ্ঞান, জীবন... সবটাই জড়িয়ে ছিল গান। তাঁর কণ্ঠ...।
বিশদ

09th  August, 2020
অজানা রফি

 ফিল ইন দ্য ব্ল্যাঙ্কস’ ভূমিকাতেই যাত্রা শুরু ফিকুর। বিনা মাইকেই। অধৈর্য শ্রোতারা ক্রমশ শান্ত হলেন। সেই ফকির বাবার কাওয়ালিতেই বাজিমাত ছোট্ট ছেলেটির। বিশদ

09th  August, 2020
ফিরে দেখা ব্যোমকেশ 

আবীর চট্টোপাধ্যায়: সত্যের প্রতি নিষ্ঠা, বিশ্লেষণী ক্ষমতা। এই দু’টোর কম্বিনেশনের নাম সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। এমন কোনও মানুষ সামনে থাকলে ভালো লাগে। নাই বা হলেন তিনি রক্তমাংসের কেউ। তাঁকে দেখে, তাঁকে ‘পড়ে’ মনে হয়, যদি এমনটা হতে পারতাম... যদি এভাবে কেউ গাইড করত! এই আশ্রয়টাই হয়ে উঠেছে ব্যোমকেশ। 
বিশদ

02nd  August, 2020
হাতে খড়ি ধুতি পরায় 

দূরদর্শনে বাসু চট্টোপাধ্যায়ের সেই সিরিয়ালে যেন বইয়ের পাতা থেকে উঠে এসেছিলেন ব্যোমকেশ। সেই বাঙালিয়ানা, সেই সংসারী অথচ ক্ষুরধার মস্তিষ্কের ছিপছিপে চেহারার চিরকালীন চরিত্র। ‘ব্যোমকেশ’ রজিত কাপুর এখনও দর্শকের চোখে অমলিন। আলাপচারিতায় অন্বেষা দত্ত।
বিশদ

02nd  August, 2020
স্যার এডমুন্ড হিলারি
চন্দ্রনাথ দাস

বেঁচে থাকলে তাঁর বয়স হতো ১০১ বছর। তেনজিং নোরগের সঙ্গে প্রথমবার পা রেখেছিলেন পৃথিবীর শীর্ষে। মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের জন্য স্যার এডমুন্ড হিলারিকে মনে রেখেছে এই দুনিয়া। কিন্তু শুধু এক্সপ্লোরার নন, তিনি ছিলেন মাটির খুব কাছাকাছি থাকা এক মানুষ। এভারেস্ট অঞ্চলের প্রতিটা গ্রাম, জনপদের মনে তিনি থেকে গিয়েছেন তাঁদের শিক্ষার, উন্নতির সোপান হিসেবে। শতবর্ষ পার করে ফিরে দেখা সেই ব্যক্তিত্বকে।
বিশদ

26th  July, 2020
করোনা ভ্যাকসিনের পথে
সাফল্যের অপেক্ষায়
ডঃ সমীরণ পান্ডা

ল্যাটিন শব্দ ভ্যাক্কা (vacca) মানে গোরু। আর আঠেরোশো শতাব্দীতে মানুষকে স্মল পক্স বা বসন্ত রোগের থাবা থেকে বাঁচানোর জন্য গোরুর বসন্ত রোগের গুটি থেকে যে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন বানানো হয়েছিল, সেই প্রয়াসের মধ্যেই জন্ম হয় ‘ভ্যাকসিন’ শব্দটির। 
বিশদ

19th  July, 2020
চিম 

করোনাকে দ্রুত জব্দ করার লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে সম্পূর্ণ নতুন একটি ভাবনা (কনসেপ্ট) নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সেটি হল, চিম (CHIM)। কন্ট্রোল হিউম্যান ইনফেকশন মডেল। এর উদ্দেশ্য হল, ভ্যাকসিন কাজ করছে কি না, তার ফল দ্রুত জেনে নেওয়া।
বিশদ

19th  July, 2020
একনজরে
 করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। সংক্রমণ রুখতে স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন জারির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। তবে এইভাবে লকডাউনের সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ব্রিটিশ সরকারকে চিঠি দিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ...

 দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সহ মালদহের ১১জনকে হন্যে হয়ে খুঁজছে এনআইএ। তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালিয়েছে তারা। ওই দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ডোমকল থেকে ধৃত ...

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকে পাতিলেবু ও আনারসের গ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদেরও এই কাজে নামানো হবে। বিডিও ...

 বিরোধীদের যাবতীয় আপত্তি অগ্রাহ্য করে কৃষি ও কৃষকদের স্বার্থ সম্পর্কিত তিনটি বিল গাজোয়ারি করে সংসদে পাশ করিয়েছে মোদি সরকার। প্রতিবাদে গোটা বিরোধী শিবির দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এনডিএ-র একাধিক শরিক দলও বেজায় ক্ষুব্ধ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে নাম সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৯ টাকা ৯৫.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৪.৫২ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৮৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৭,১৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৭,২৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী ৩৩/৬ রাত্রি ৬/৪৪। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র ৩২/৩৩ রাত্রি ৬/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
৮ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১০/৩১। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র রাত্রি ১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে।
৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। বৃষ: ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৪ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটাল

11:13:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০১/৪ (১৬ ওভার) 

10:49:48 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪৭/৩ (১০ ওভার) 

10:14:56 PM

 আইপিএল: চেন্নাই ২৬/১ (৫ ওভার)

09:51:00 PM