প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
বৃহস্পতিবারই এই উদ্বেগের কথা জানিয়ে, দপ্তরের লোকবল বাড়াতে মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে স্টেট পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশন। বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়েই আর্সেনিকমুক্ত জল প্রকল্পের কাজ চলছে। এছাড়াও ‘জল স্বপ্ন’ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ৫ বছর। অথচ, কাজের পরিধি ও বরাদ্দকৃত অর্থের নিরিখে দপ্তরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা অন্যান্য দপ্তরের তুলনায় অতি নগন্য। পূর্তদপ্তরের জন্য বছরে বাজেট বরাদ্দ মোটের উপর ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অথচ ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনই সিভিল। সেচদপ্তরের বাজেট ৩ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা ১১ জন। জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের বছরের বাজেট ১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন ছ’জন। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য চলতি আর্থিক বছরে বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। অথচ, মাত্র ৮ জন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছ’জন। বাকি দু’জনের একজন মেকানিক্যাল এবং অন্যজন ইলেক্টিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বরাদ্দ অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ারপিছু খরচের বহর প্রায় ৪২২ কোটি। একজন ইঞ্জিনিয়ারের পক্ষে বছরে এত পরিমাণ টাকা খরচ করা কার্যত দুঃসাধ্য বলে মনে করছে সংগঠন। আর এই কারণেই বিভিন্ন প্রকল্পে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দপ্তরকে। নবান্নের কাছে সংগঠনের আর্জি, প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করতে হলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরে ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। সংগঠনের এক কর্তার কথায়, ‘জরুরি পরিষেবা বিষয়ক দপ্তরে এত কম সংখ্যক ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে সময়ে কাজ করা একরকম অসম্ভব হয়ে উঠছে।’
রাজ্যে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহে একাধিক প্রকল্প হাতে রয়েছে পিএইচই’র। তথ্য বলছে, রাজ্যে মোট ৮৩টি ব্লক আর্সেনিক কবলিত। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় রয়েছে ২১টি ব্লক। গাইঘাটা ও তেঘরিয়া সবচেয়ে বেশি বিপজ্জনক। মুর্শিদাবাদেও রয়েছে ২১টি ব্লক। এ ছাড়াও মালদহে ৭টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮টি, নদীয়ায় ১৭টি, বর্ধমানে ৫টি এবং হাওড়া-হুগলিতে দু’টি ব্লকে আর্সেনিকের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের টাকায় পরিস্রুত পানীয় জল প্রকল্পের কাজ করছে পিএইচই। পুরুলিয়াতে জাপানের আর্থিক সহায়তায় একটি বড় প্রকল্পেরও কাজ চলছে। লোকবলের অভাবে বহু প্রকল্প শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মত ইঞ্জিনিয়ারদের।