প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে দিনরাত যেসব পণ্যবাহী লরি চলাচল করে, সেগুলি থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই নানা পণ্য চুরি হয়ে যাচ্ছিল। কখনও লরির চালক ও খালাসির সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগসাজশ, আবার কখনও গভীর রাতে লরি থামিয়ে স্রেফ ভয় দেখিয়ে লরি থেকে কিছু মালপত্র নামিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছিল। এই ধরনের চুরি নিয়ে পুলিসের কাছে সেভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের না-হলেও নানা জায়গা থেকে অভিযোগ জমা হচ্ছিল পুলিসের কাছে। জাতীয় সড়কের উপর সলপ মোড় ও আশপাশের কিছু এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল এই চুরির এই রমরমা কারবার। জায়গাগুলি হাওড়া পুলিসের ডোমজুড় ও সাঁকরাইল থানা এলাকার মধ্যে পড়ে। একাধিক এরকম অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পুলিস। হাওড়া সিটি পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ বুধবার রাতে এসব এলাকার একাধিক গোডাউনে অভিযান চালায়। কয়েকদিন আগে সলপ মোড়ে একটি রেস্তরাঁয় মধ্যরাতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। মদ্যপ অবস্থায় ওই দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে রেস্তরাঁর মালিককে। সেই ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তাদের জেরা করে এই চোরাই মালের সম্বন্ধে কিছু তথ্য পুলিস পায়। সলপ, ডোমজুড় এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত বাড়লে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ও সংলগ্ন এলাকায় দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি বেড়েছে। বিভিন্ন মোড়ের দোকানপাট থেকে ভয় দেখিয়ে তোলা আদায়, মালপত্র নিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যাওয়ার মতো অভিযোগ মাঝেমাঝেই ওঠে। এসব যাবতীয় কাণ্ডকারখানার সঙ্গে এইভাবে চলন্ত লরি থেকে মালপত্র চুরি বা ভয় দেখিয়ে নামিয়ে নেওয়ার মতো অপরাধের যোগসাজশ রয়েছে বলে ধারণা পুলিসের। তাই একরাতের অভিযানেই এই তদন্ত শেষ নয় বলে জানিয়েছে পুলিস। এক পদস্থ পুলিসকর্তা বলেন, আমাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। মালপত্র চুরি করে কোথায় কোথায় গুদামজাত করা হচ্ছিল, সেই খবর নেওয়ার পর আঁটঘাট বেঁধেই অভিযান করা হয়েছে। চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের ধরতে তদন্ত চলবে।