প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
পুলিস তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, ত্রিকোণ প্রেমের বিবাদ ঘিরে দু’জনের মধ্যে অশান্তি। এরপরই গয়েশপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি দোকানের সামনে দু’জনে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। একটি খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিজিতের বুকে এবং মাথার ভিতরে আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁর শ্বাস আটকে যায়। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, একটি মেয়ে দু’জনের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়েছিল। প্রথমে দু’জনের কেউই এটা জানত না। জানাজানি হতেই দুই বন্ধুর মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। অভিজিৎ আগে পড়াশোনা করতেন। পরে ছেড়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে, নাদিম পড়াশোনা করছিল। দু’জনের সম্পর্কের অবনতির জেরে একে অন্যের মুখ দেখাদেখি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিজিৎকে ওই মেয়েটির জীবন থেকে সরে যেতে নাদিম হুমকি দিতে থাকে। অভিজিৎও পাল্টা তাকে সরে যেতে বলে, যা নিয়ে কথা কাটাকাটি চলছিলই।
বুধবার সন্ধ্যায় পাল্লাদহ থেকে নাদিম সোজা চলে যায় গোকুলপুরে। সেখানে একটি দোকানের সামনে অভিজিৎকে যেতে বলে। ওই দোকানের এক কর্মী ওই দু’জনেরই বন্ধু। সেখানে অভিজিৎ যাওয়ার পরই দু’জনের মধ্যেই গন্ডগোল শুরু হয়। ব্যাপারটা হাতাহাতিতে গড়ায়। এই ঘটনার পরই নাদিম পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ভোরে পাল্লাদহ থেকেই নাদিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।