সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: বুধবার রাতে তুমুল বৃষ্টিতে ময়নাগুড়ি ব্লকের পদমতি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মা গোসানির ধাম ও খয়ের খালে জলস্ফীতি ঘটে। এরফলে সেখানে হিউম পাইপ দিয়ে তৈরি ব্রিজ সহ অ্যাপ্রোচ রোড ভেঙে যায়। এতে বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার বাসিন্দা। পদমতি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙাপাড়া থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া ও পিএমজিএসওয়াই’র দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র জ্যোতির্ময় সিন্হা। তাঁরা সেখানে দ্রুত নতুন ব্রিজ করার আশ্বাস গ্রামবাসীদের দেন। গত ক’দিন ধরে টানা বৃষ্টি চলছে। তাতে মা গোসানির ধাম ও খয়ের খালে জল বেড়েছে। কিন্তু বুধবার দিনভর বৃষ্টিতে রাত ৯টা নাগাদ জলের স্রোতে অ্যাপ্রোচ রোড প্রথমে ভেঙে যায়। পরে ব্রিজটির একাংশ ভেসে যায়। এদিকে ওই ঘটনার পর এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাঁদের দাবি, এর আগেও একবার এখানে এমনটা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দা সুরেশ রায়, জয়ন্ত রায় বলেন, আমাদের এখানে একসময় এই খালের জল সংরক্ষণ করে চাষিরা সারা বছর চাষাবাদ করতেন। এখন অবশ্য গ্রামে সেচের জল মিলছে। যাতায়াতের জন্য ২০১৩ সালে হিউম পাইপ বসিয়ে ব্রিজ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়ে আমরা প্রশাসনকে বলেছিলাম এখানে হিউম পাইপের ব্রিজ করলে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে। খালের জল বাঁক নিলে কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু ওই সময়ে শোনা হয়নি। তাই এর আগেও একবার এমনটা হয়েছিল। এবারও তাই হল। আমরা চাই, নতুন করে এখানে পাকা ব্রিজ করা হোক। এরপর হিউম পাইপ বসিয়ে ব্রিজ করতে এলে আমরা বাধা দেব।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, ওই দুই খালে গ্রামে বিভিন্ন নালায় জল এসে পড়োয় এই সমস্যা হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি শুনেছি। এদিন আমি সরকারি এক ইঞ্জিনিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে এসে এলাকাটি দেখিয়েছি। আমি ওঁকে অনুরোধ করেছি, যাতে দ্রুত এখানে স্থায়ী কিছু করা যায়। ওই ইঞ্জিনিয়ার বলেন, খালে প্রচুর জল আছে। তাই এখনই কোনও কাজ করা সম্ভব নয়। হিউম পাইপে কুচুরিপানা আটকে যাওয়াতেই জল না বেরতে পারায় এমন সমস্যা হয়েছে। ব্রিজ ও অ্যাপ্রোচ রোড মিলিয়ে ১০ মিটার ক্ষতি হয়েছে। তবে জল খানিকটা কমলেই আমরা অস্থায়ীভাবে কিছু কাজ করে দেব।
প্রসঙ্গত, ৪ নম্বর বৈকুর গৌড় গ্রামের এই রাস্তা দিয়েই ব্রহ্মপুর, ভোটপাট্টি, চ্যাংরাবান্ধা, মেখলিগঞ্জ যাতায়াত করা হয়। কিন্তু ব্রিজ সহ অ্যাপ্রোচ রোড ভেঙে যাওয়ায় এখন গ্রামবাসীদের ১০-১২ কিমি পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হবে।