প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
এদিন একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুরসভার বড়বাজারে আলুর দর নিয়ন্ত্রণে অভিযান হয়। ওই অভিযানে ছিলেন কৃষি বিপণন দপ্তর, পুলিস ও পুরসভার অফিসাররা। বড়বাজারে সব্জি ব্যবসায়ীদের দোকানে অভিযান চলাকালীন প্রশাসনের কর্তারা ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রির দোকানেও যান। প্রশাসনের আধিকারিকদের দেখে বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে আলু কেনার জন্য স্টলের সামনে ভিড় জমান। কিন্তু দোকান খোলা থাকলেও দোকানে ন্যায্যমূল্যের বোর্ড নেই ও আলু বিক্রি হচ্ছে না দেখে সেখান থেকেই স্টল মালিককে ফোন করেন কৃষি বিপণন দপ্তরের জেলার ডেপুটি ডিরেক্টর দীপঙ্কর পণ্ডিত। পরে তিনি জানান, স্টল মালিকের অসুস্থতার জন্য প্রশাসনের এই ন্যায্যমূল্যের দোকানে এদিন আলু বিক্রি হয়নি। শুক্রবার থেকে এই স্টলে আলু বিক্রি হবে। ন্যায্যমূল্যে আলু পাওয়া যায়, এ সংক্রান্ত ফ্লেক্স স্টলের সামনে লাগানো হবে। পুরসভার সবক’টি বাজারে সব্জির দর নিয়ন্ত্রণে এখন থেকে এমন আচমকা অভিযান চলবে। এদিন প্রশাসনের কর্তাদের দেখে ন্যায্যমূল্যে আলু বিক্রি হবে ধরে নিয়ে সাধারণ ক্রেতারা ওই স্টলের সামনে জড়ো হন। পরে ওই দোকানে আলু নেই দেখে ভুল ভাঙে তাঁদের। সরকারি সহায়ক মূল্যে আলু না পেয়ে সেই ক্রেতারা ক্ষোভ উগরে দেন। বাজারে আসা ক্রেতা সমীর দাস বলেন, এখানে প্রশাসনের যে ন্যায্যমূল্যের একটি আলুর দোকান আছে, তা আমরা জানতামই না। প্রশাসনের কর্তাদের দেখে জানতে পারলাম। আরএক ক্রেতা চন্দন ঘোষ বলেন, প্রশাসনের কর্তাদের দেখে আলু কিনতে এসে দেখি স্টলে আলু নেই।
প্রসঙ্গত, ২৫ আগস্ট বড়বাজারে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির জন্য স্টলটি খোলা হয়েছিল। ক্রেতারা বলেন, যেদিন খোলা হয়েছিল সেদিন এবং তারপর এক-দু’দিন আলু বিক্রি হয়েছে। অনেকেই কিনে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই কোনও এক অদৃশ্য কারণে স্টলটি বন্ধ হয়ে যায়। আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে অবশ্য বলেন, প্রশাসনের ওই ন্যায্যমূল্যের দোকানে ভুটান আলু বিক্রি হচ্ছে না বলে শোনা যাচ্ছে। সেজন্যই হয়তো মানুষ ওই দোকানে যান না। তবে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে শুক্রবার থেকে ন্যায্যমূল্যের স্টলে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হবে।