প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
স্যানিটাইজার প্রস্তুত নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার কেলেঙ্কারির অভিযোগ দাখিল হওয়ার চার দিন পর বুধবার শিলিগুড়িতে আসে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের তিন সদদ্যের একটি তদন্তকারী দল। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের ফিনান্স কন্ট্রোলের এক অফিসার। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই দল ডিআরডিসিতে হানা দেয়। মহকুমা পরিষদের পাশেই অবস্থিত অফিসে তারা দিনভর ছিল। দোতলা ওই ভবনের প্রতিটি ঘর তারা পরিদর্শন করে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, তদন্ত কমিটির সদস্যরা ভবনের একতলায় ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টরদের ঘরে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা বলেন। সেসময় ঘরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া, তদন্তকারীরা অফিসের বড়বাবু সহ অন্যান্য অফিসারদের ঘরেও যান। বিভিন্ন ফাইল ও কম্পিউটার ঘেঁটে তথ্য সংগ্রহ করেন বলে জানা গিয়েছে। দুপুরের দিকে ভবনের নীচতলায় কনফারেন্স হলে যান তদন্তকারীরা। আজ, শুক্রবার তদন্তকারীরা তালা খুলে সেই ঘরে ঢুকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। আর্থিক অনিয়মের বিষয় প্রশ্ন করা হলে তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশে এখানে এসেছি। এব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। অনিয়মের ব্যাপারে যা বলার জেলা প্রশাসন বলবে। অন্যদিকে, দু’দিন আগেই অভিযুক্ত অফিসারকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ডিআরডিসির প্রজেক্ট ডিরেক্টর তথা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট মিশন ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। তাঁকে সংশ্লিষ্ট পদগুলি থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই জায়গায় ডিআরডিসির দু’জন ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টরের মধ্যে একজনকে কিংবা মহকুমা পরিষদের সচিবকে বসানো হতে পারে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি জেলাশাসক দেখছেন। এব্যাপারে যা করার জেলাশাসক করবেন। শীঘ্রই ওই পদে স্থায়ী আধিকারিক নিয়োগ করা হবে বলেই মনে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর ওই আধিকারিককের বিরুদ্ধে স্যানিটাইজার প্রস্তুত নিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা অনিয়মের অভিযোগ তোলেন মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার। অভিযোগ, বিনা টেন্ডারে সরকারি অর্থ অগ্রিম নিয়ে খরচ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই অভিযোগে থানায় এফআইআর করার এবং অভিযুক্তের কাছ থেকে রাজ্য সরকারের বরাদ্দ অর্থ ফেরত নেওয়ার দাবি উঠেছে।